গত ছয় দিন ধরে অচল হয়ে আছে দেশের অন্যতম নৌরুট মাদারীপুর জেলার শিবচরের কাওড়াকান্দি-শিমুলিয়া ঘাট। পদ্মায় নাব্যতা সংঙ্কট ও তীব্র স্রোতের কারণে ফেরি চলাচল বন্ধ রাখা হয়েছে। ফলে এ নৌরুট হয়ে রাজধানী ঢাকায় যাত্রীবাহী নৈশকোচ ও পণ্যবাহী পরিবহন পৌঁছাতে পারছে না। আর এতে করে দেখা দিয়েছে চরম দুর্ভোগ। এদিকে পণ্যবাহী পরিবহনগুলোকে কাওড়াকান্দি-শিমুলিয়া নৌরুট পরিহার করে দৌলতদিয়া-পাটুরিয়া হয়ে পার হতে নির্দেশ দিয়েছে কর্তৃপক্ষ।বিআইডব্লিউটিসির কাওড়াকান্দি ঘাট সূত্র জানিয়েছে, এই নৌরুটে চলাচলকারী ১৮টি ফেরির মধ্যে নাব্যতা সঙ্কটের কারণে চারটি রোরো ফেরি চলাচল বন্ধ রয়েছে গত বুধবার থেকে। এছাড়া অন্যান্য ১৪টি ফেরি পদ্মার স্রোতের তীব্রতার কারণে বৃহস্পতিবার রাত থেকে বন্ধ করে দিয়েছে কর্তৃপক্ষ। স্রোত উপেক্ষা করে এ ফেরিগুলো পদ্মা পার হতে না পারায় এবং চ্যানেলমুখে নাব্যতা সঙ্কট থাকায় ফেরি চলাচলের এই প্রতিবন্ধকতা সৃষ্টি হয়েছে।এদিকে বিআইডব্লিউটিএর সূত্র জানায়, নৌরুট সচল রাখতে নাব্যতা সঙ্কট নিরসনের জন্য খননকাজে নিয়োজিত খনন যন্ত্রগুলো স্রোতের তীব্রতার কারণে খননকাজ চালাতে পারছে না। ফলে একপ্রকার বন্ধ রয়েছে খনন কাজ। এছাড়াও ঘূর্ণি স্রোতের কারণে খননকৃত স্থানে খুব দ্রুত পলি এসে আবার জমাট বেঁধে যাচ্ছে। ফলে খনন কাজে সুফল তেমনভাবে আসছে না।নৌরুটের এ অবস্থা চলতে থাকলে আসন্ন ঈদে ঘরমুখো মানুষেরা দুর্ভোগে পড়তে বলে আশঙ্কা করছেন সাধারণ যাত্রীরা।তবে ঘরমুখো যাত্রীদের দুর্ভোগের কথা চিন্তা করে নৌপরিবহন মন্ত্রী শাজাহান খান এ নৌরুটে প্রয়োজনে ফেরি চলাচলের বিকল্প পথ তৈরি করা হবে বলে সাংবাদিকদের জানিয়েছেন।এছাড়া স্রোত উপেক্ষা করে চলাচলের উপযোগী ফেরি ইউটিলিটি গত শুক্রবার পাটুরিয়া থেকে কাওড়াকান্দি-মাওয়া নৌরুটে আনা হলেও চ্যানেলমুখে নাব্যতা সঙ্কটের কারণে চলাচল করতে পারেনি। ফেরিটি মাওয়া থেকে পরিবহন নিয়ে কাওড়াকান্দি আসার পথে চ্যানেলমুখ থেকে আবার মাওয়া ঘাটে ফিরে যায়।গত বৃহস্পতিবার থেকে এ রুটে ফেরি চলাচল বন্ধ থাকায় কাওড়াকান্দি ঘাটে আটকা পড়েছে অসংখ্য পণ্যবাহী পরিবহন। বর্তমানে দক্ষিণাঞ্চল থেকে এ রুটে পণ্যবাহী পরিবহন প্রবেশ না করতে নির্দেশ দিয়েছে কর্তৃপক্ষ।বিআইডব্লিউটিসির কাওড়াকান্দি ঘাটের সহকারী ব্যবস্থাপক আব্দুল বাতেন মিঞা জাগো নিউজকে বলেন, ফেরি চলাচল বন্ধ রয়েছে গত বৃহস্পতিবার থেকে। নৌরুটে নাব্যতা সঙ্কট ও স্রোতের তীব্রতায় ফেরি চলাচল ব্যাহত হওয়ায় বন্ধ রাখা হয়েছে চলাচল। তবে ফেরি চলাচল স্বাভাবিক হওয়ার বিষয়টি এখনও বলা যাচ্ছে না।এ কে এম নাসিরুল হক/এমজেড/এমএস
Advertisement