চট্টগ্রামে নিজের ঘরে এসেই যেন নিজেদের হারিয়ে ফেলল চিটাগং ভাইকিংস। আগের ম্যাচে বিপিএলের রেকর্ড সংগ্রহ গড়ে তাদের বড় ব্যবধানে হারিয়েছে রংপুর রাইডার্স। এবার অপেক্ষাকৃত দুর্বল রাজশাহী কিংসও মুশফিকের দলের বিপক্ষে গড়েছে ৫ উইকেটে ১৯৮ রানের পাহাড়সমান পুঁজি। অর্থাৎ জিততে হলে ১৯৯ করতে হবে স্বাগতিকদের।
Advertisement
টস হেরে ব্যাট করতে নেমে শুরু থেকেই আগ্রাসী চেহারায় হাজির রাজশাহী কিংস। পাওয়ার প্লে'র প্রথম ৬ ওভারে সৌম্য সরকার আর লরি ইভান্স গড়েন ৫০ রানের উদ্বোধনী জুটি।
এক ম্যাচ বিরতি দিয়ে ফেরা সৌম্য সরকার ঝড় তোলার আভাস দিচ্ছিলেন। তবে ২০ বলে ৫ বাউন্ডারিতে ২৬ রান করে তিনি আবারও ভুল করে বসেন। খালিদ আহমেদকে তুলে মারতে গিয়ে মুশফিকুর রহীমের ক্যাচ হন।
এরপর দলকে এগিয়ে নেয়ার দায়িত্ব পালন করেছেন লরি ইভান্স আর জনসন চার্লস। এই যুগল ৫৩ বলের জুটিতে যোগ করেন ৭০ রান। ২৯ বলে ৩৬ রান করা ইভান্সকেও ফেরান সেই খালিদ। অফ সাইডের বলে ব্যাট চালাতে গিয়ে উইকেটরক্ষক মোহাম্মদ শাহজাদের গ্লাভসবন্দী হন ইংলিশ এই ব্যাটসম্যান।
Advertisement
জনসন চার্লস একটা প্রান্ত আগলে ছিলেন। হাফসেঞ্চুরি পূরণ করা এই ব্যাটসম্যানকে ইনিংসের ১৭তম ওভারে এসে ফেরান আবু জায়েদ রাহি। ৪৩ বলে ৫ চার আর ২ ছক্কায় চার্লস করেন ৫৫ রান।
তবে উইকেটে আসার পর থেকেই মারমুখী ছিলেন রায়ান টেন ডেসকাট। মাঝে কয়েকটি বলে বড় শট খেলতে না পারলেও ১২ বলে ৪ ছক্কায় ২৭ রান করেন তিনি। আবু জায়েদের করা ইনিংসের ১৯তম ওভারে এসে রানআউটের কবলে পড়েন ডেসকাট।
এরপর ব্যাটে ঝড় তুলেছেন ক্রিশ্চিয়ান জঙ্কার। মাত্র ১৭ বলে ১ চার আর ৩ ছক্কায় ৩৭ রানের বিধ্বংসী ইনিংস খেলে শেষ ওভারে এসে আউট হয়েছেন তিনি।
চিটাগং ভাইকিংসের খালিদ আহমেদ ৩২ রান খরচায় নিয়েছেন ২টি উইকেট। একটি করে উইকেট ডেলপোর্ট আর আবু জায়েদের।
Advertisement
এমএমআর/এমএস