জাতীয়

ন্যায়ভিত্তিক সমাজ প্রতিষ্ঠার দায়িত্ব সবার : তথ্যমন্ত্রী

তথ্যমন্ত্রী ড. হাছান মাহমুদ বলেছেন, ‘সহিংসতা-উগ্রবাদ বিশ্বব্যাপী সমস্যা। বাংলাদেশ এ সমস্যা থেকে বিচ্ছিন্ন নয়। শুধু উগ্রবাদই নয়, সমাজে আমরা আরও নানা কারণে অসহিষ্ণুতার প্রকাশ ঘটতে দেখি। সেখানে উগ্রবাদ-সহিংসতা ও উন্মাদনার প্রকাশ পায়। সামান্য কারণে পাশবিক নির্যাতনের মতো ঘটনাও ঘটছে। আবার উল্লাস থেকে উন্মাদনার ঘটনাও সংঘটিত হচ্ছে। সমাজকে সহিংসতা ও উগ্রবাদ থেকে মুক্ত করতে হলে রাজনৈতিক দলগুলোর পাশাপাশি সবার সহযোগিতা প্রয়োজন। একই সঙ্গে ন্যায়ভিত্তিক সমাজ প্রতিষ্ঠায় সবাইকে দায়িত্বশীল ভূমিকা পালন করতে হবে।’

Advertisement

রাজধানীর সিরডাপ মিলনায়তনে শনিবার ডিবেট ফর ডেমোক্রেসি আয়োজিত ‘সহিংস উগ্রবাদ বিরোধী’বিতর্ক প্রতিযোগিতার উদ্বোধন অনুষ্ঠানে এসব কথা বলেন তিনি।

প্রতিযোগিতা অনুষ্ঠানে সভাপতিত্ব করেন ডিবেট ফর ডেমোক্রেসির চেয়ারম্যান হাসান আহমেদ চৌধুরী কিরণ। এ প্রতিযোগিতায় সহযোগিতা করছে মানুষের জন্য ফাউন্ডেশনের সম্প্রীতি প্রকল্প।

হাছান মাহমুদ বলেন, ‘শুধু মেধাবী হলেই হবে না। একই সঙ্গে দেশাত্মবোধ ও মমত্ববোধও তৈরি হতে হবে। স্বপ্নের বাংলাদেশের জন্য স্বপ্নের মানুষও তৈরি করতে হবে। যারা ভবিষ্যতে দেশ চালাবে এবং কর্মক্ষেত্রে দায়িত্ব পালন করবে তাদের মধ্যে যুক্তি তর্কের প্রতিযোগিতা বাড়াতে হবে। ন্যায় ও যুক্তিভিত্তিক সমাজ সঠিক বিতর্ক চর্চার মধ্যে দিয়েই গড়ে তুলতে হবে। তাই সহিংসতা-উগ্রবাদ প্রতিরোধে শ্রেণিকক্ষ, সভা সমাবেশ, তৃণমূল পর্যায়ে আলোচনা করতে হবে। যাতে শিক্ষার্থীদের মাঝে সামাজিক মনন সৃষ্টি এবং সহিংসতা উগ্রবাদ-জঙ্গিবাদ প্রতিরোধ করা সম্ভব হয়।’

Advertisement

সভাপতির বক্তব্যে ডিবেট ফর ডেমোক্রেসির চেয়ারম্যান হাসান আহমেদ চৌধুরী কিরণ বলেন, ‘দেশের রাজনৈতিক দলের মধ্যে গণতন্ত্র যত বেশি বিকশিত হবে ততই সহিংসতা উগ্রবাদের ঝুঁকি কমবে। একই সঙ্গে রাজনৈতিক স্থিতিশীলতা যতটা দৃঢ় হবে ততই তরুণরা উগ্রবাদের বিরুদ্ধে রুখে দাঁড়াবে। সব ধরনের উগ্রবাদ মোকাবিলার পাশাপাশি একই সঙ্গে যে সব রাজনৈতিক, সামাজিক কারণে তরুণরা সহিংস উগ্রবাদের দিকে ধাবিত হয় সেগুলো চিহ্নিত করে তা সমাধান করতে হবে। তবে মনে রাখতে হবে উগ্রবাদ সহিংসতা প্রতিরোধে গ্রেফতার বা হত্যাই কোনো সমাধান নয়।’

উদ্বোধনী প্রতিযোগিতায় ‘রাজনৈতিক দলগুলোর দায়িত্বপূর্ণ ভূমিকাই পারে সহিংস উগ্রবাদ বন্ধ করতে’ শীর্ষক বিষয়ে তেজগাঁও কলেজের শিক্ষার্থীদের পরাজিত করে লালমাটিয়া মহিলা কলেজ বিজয়ী হয়।

উদ্বোধনী দিন মোট ১৬টি শিক্ষা প্রতিষ্ঠানের অংশগ্রহণে ৮টি প্রতিযোগিতা অনুষ্ঠিত হয়। প্রতিযোগিতা শেষে বিজয়ীদের ক্রেস্ট ও সার্টিফিকেট দেয়া হয়। প্রতিযোগিতায় বিচারক ছিলেন আবু মোহাম্মদ রইস, আতিকুর রহমান লিটন, সাংবাদিক জেমসন মাহবুব, সাংবাদিক দিপু সারোয়ার এবং জাহিদ রহমান।

Advertisement

জেইউ/এনডিএস/এমকেএইচ