লক্ষ্য ১৯৬ রানের। টি-টোয়েন্টি ক্রিকেটে যেটাকে বেশ কঠিনই বলতে হবে। কঠিন এই লক্ষ্য পেরুতে যে মারকাটারি ব্যাটিংয়ের দরকার ছিল, খুলনা টাইটান্সের কেউ সেটা করতে পারলেন না। ১১ বল বাকি থাকতেই ১৩৭ রানে গুটিয়ে গেছে তাদের ইনিংস। ফলে ম্যাচটা ৫৮ রানের বড় ব্যবধানে জিতেছে সিলেট সিক্সার্স।
Advertisement
অথচ শুরুটা বেশ ভালোই করেছিলেন খুলনার দুই ওপেনার ব্রেন্ডন টেলর আর জুনায়েদ সিদ্দিকী। ১৫ বলের উদ্বোধনী জুটিতে তারা তুলেন ২৭ রান। ১১ বলে ২০ রান করে ফেরেন জুনায়েদ। ২৩ বলে ৩৪ করেন টেলর।
পরের ব্যাটসম্যানরা কেউ সেই ধারাটা ধরে রাখতে পারেননি। আল আমিনের ১০ বলে ১৬ কিংবা আরিফুল হকের ২১ বলে ২৪ রানের ইনিংসটা মোটেই দলের প্রয়োজন মেটানোর মতো ছিল না।
সিলেটের পক্ষে ২০ রান খরচায় ৩টি উইকেট নেন নাবিল সামাদ। মাত্র ৬ রানে ২ উইকেট নেন তাসকিন আহমেদ।
Advertisement
এর আগে আফিফ হোসেন, সাব্বির রহমান আর মোহাম্মদ নওয়াজের ঝড়ো ব্যাটিংয়ে ভর করে ৪ উইকেটে ১৯৫ রানের বড় সংগ্রহ গড়ে সিলেট সিক্সার্স।
ওপেনিংয়ে কাউকে দিয়েই শান্তি পাচ্ছিল না সিলেট সিক্সার্স। বারবার পরিবর্তন করতে হচ্ছিল। একবার ইনিংস ওপেন করতে নেমে দারুণ সফলতা পেয়েছিলেন সাব্বির রহমান। করেছিলেন ৮৫ রান। কিন্তু এরপর আবারও ওপেনিংয়ে দিচ্ছেন ব্যর্থতার পরিচয়।
খুলনা টাইটান্সের বিপক্ষে এই ম্যাচে আবারও পরিবর্তন। এবার আফিফ হোসেন ধ্রুবকে নিয়ে ইনিংস ওপেন করতে নামলেন লিটন দাস এবং মোটামুটি সফল। ৭১ রানের দারুণ এক জুটি গড়ার পর বিচ্ছিন্ন হন এ দু’জন। ২২ বলে ৩৪ রান করে আউট হন লিটন দাস।
জেসন রয় কোনো রান (মাত্র ১ রান) করতে না পারলেও পুষিয়ে দিয়েছেন ধ্রুব, সাব্বির এবং পাকিস্তানের মোহাম্মদ নওয়াজ। আফিফ হোসেন ধ্রুব ৩৭ বল খেলে ৪৯ রান করে দিয়ে যান। তার ব্যাটেই বলা যায় বড় স্কোরের ভিত গড়ে ওঠে সিলেটের।
Advertisement
ঝড়টা তোলেন সাব্বির রহমান। চার নম্বরে ব্যাট করতে নেমে ২৯ বল খেলেন তিনি। রান করেন অপরাজিত ৪৪। ৪টি বাউন্ডারির সঙ্গে ২টি ছক্কার মার আসে তার ব্যাট থেকে।
শেষ মুহূর্তে আরও বেশি ঝড় তোলেন পাকিস্তানের মোহাম্মদ নওয়াজ। ২১ বলে ৩৯ রান করে অপরাহিত থাকেন তিনি। ৩টি বাউন্ডারির সঙ্গে ছক্কার মার মারেন ২টি।
খুলনার হয়ে ৩ উইকেট নেন তাইজুল ইসলাম এবং ১ উইকেট নেন জুনায়েদ খান।
এমএমআর/এমএস