প্রথম কোনো বাংলাদেশি হিসেবে এনওয়াইপিডির ক্যাপ্টেন পদে পদোন্নতি পেয়েছেন খন্দকার আব্দুল্লাহ। সেই সঙ্গে পরম সাহসিকতার সঙ্গে পাতাল রেল স্টেশনে একা সন্ত্রাসীদের সঙ্গে লড়াই করার জন্য পুলিশ ডিপার্টমেন্টের স্বীকৃতি অর্জন করেছেন সায়ীদ আলী।
Advertisement
এই দুই কৃতি পুলিশ অফিসারের সম্মানে গতকাল কনস্যুলেট অফিসে বিশেষ এই সম্মাননার আয়োজন করা হয়। পেশাগত ক্ষেত্রে সাফল্যের জন্য বাংলাদেশি বংশোদ্ভূত দুই পুলিশ কর্মকর্তা খন্দকার আবদুল্লাহ ও সাইদ আলীকে সম্মাননা দেয়া হয়েছে। শুক্রবার নিউইয়র্কে কনস্যুলেট জেনারেল আয়োজিত অনুষ্ঠানে এই সম্মাননা দেয়া হয়।
সম্মাননা অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন জাতিসংঘে বাংলাদেশের স্থায়ী প্রতিনিধি ও রাষ্ট্রদূত মাসুদ বিন মোমেন। সম্মানিত অতিথি হিসেবে ছিলেন নিউইয়র্কের ডেপুটি চিফ অব পুলিশ চার্লস শ্যুল। এ সময় ওই দুই কৃতি পুলিশ অফিসারের পরিবারের সদস্যরা উপস্থিত ছিলেন।
কনসাল জেনারেল সাদিয়া ফয়জুন্নেসা বলেন, বাংলাদেশি-আমেরিকান কর্মকর্তাদের মধ্যে প্রথমবারের মতো খন্দকার আবদুল্লাহ নিউইয়র্ক সিটি পুলিশ ডিপার্টমেন্টে (এনওয়াইপিডি) ক্যাপ্টেন পদে পদোন্নতি পেয়েছেন। ক্যাপ্টেন আবদুল্লাহ তার যোগ্যতা ও কর্মদক্ষতার মাধ্যমে এনওয়াইপিডিতে এই সম্মানজনক পদ অর্জন করেন।
Advertisement
অনুষ্ঠানে জাতিসংঘের রাষ্ট্রদূত মাসুদ বিন মোমেন বলেন, প্রবাসীদের যেকোনো ধরনের সাফল্য বাংলাদেশের মুখকে উজ্জ্বল করে। দুই পুলিশ অফিসারকে বিশেষভাবে ধন্যবাদ জানিয়ে তিনি বলেন, তাদেরকে দেখে পৃথিবীর বিভিন্ন প্রান্তে ছড়িয়ে থাকা আগামী প্রজন্ম ভালো কাজের জন্য উদ্বুদ্ধ হবে।
নিউইয়র্কের ডেপুটি চিফ অব পুলিশ চার্লস শ্যুল বলেন, এনওয়াইপিডিতে পুলিশ, ট্রাফিক ও অন্যান্য পদ মিলিয়ে প্রায় ১ হাজার বাংলাদেশি সদস্য নিয়োজিত রয়েছেন। তারা এই বাহিনীতে অত্যন্ত নিষ্ঠার সঙ্গে কাজ করছে বলে প্রশংসা করেন তিনি।
অনুষ্ঠানে সাংবাদিক ছাড়াও সুধী, জাতিসংঘ স্থায়ী মিশন ও কনস্যুলেটের কর্মকর্তারা উপস্থিত ছিলেন। সবমিলিয়ে ‘অদম্য বাংলাদেশ’ শীর্ষক অনুষ্ঠানটি পরিণত হয় এক আনন্দ আড্ডায়।
এমআরএম/এমএস
Advertisement