গরু লালন-পালনের গুরুত্বপূর্ণ প্রযুক্তির সর্বাধুনিক পদ্ধতির ব্যবহার শুরু হয়েছে বাংলাদেশে। নতুন এ প্রযুক্তির মাধ্যমে স্বয়ংক্রিয়ভাবে মোবাইলেই পাওয়া যাবে গরুর জাত নির্ণয় ও উন্নয়ন সংক্রান্ত সেবা, ডিজিটাল তথ্য সংরক্ষণ, হিট নির্ণয়, গর্ভধারণ অবস্থা, গরুর প্রসবের সম্ভাব্য সময় নির্ণয়, গরুর গতিবিধি ও তাপমাত্রা নির্ণয় এবং প্রাথমিক চিকিৎসার নির্দেশনা।
Advertisement
গরুর জন্য এই আইওটি প্রযুক্তি সেবা আনছে সূর্যমুখী নামের একটি প্রতিষ্ঠান।
সূর্যমুখী লিমিটেডের ব্যবস্থাপনা পরিচালক ও প্রধান নির্বাহী কর্মকর্তা ফিদা হক জানান, এই আইওটি প্রযুক্তিতে একটি বায়োসেন্সর গবাদি প্রাণির পাকস্থলীতে স্থাপন করানো হয়। এই বায়োসেন্সর বা বোলাস প্রাণির পাকস্থলী থেকে রেডিও ফ্রিকোয়েন্সি শনাক্তকরণ প্রক্রিয়ায় তথ্য তৈরি করবে এবং তা ক্লাউডে পাঠাবে। আর সফটওয়্যারের মাধ্যমে গবাদি পশুর দরকারি ও হালনাগাদ তথ্য খামারির মোবাইলে চলে যাবে।
তিনি বলেন , বোলাস এবং আনুষাঙ্গিক প্রযুক্তি অস্ট্রিয়ার স্ম্যাক্সটেক কোম্পানি হতে আনা হয়েছে। নতুন প্রযুক্তির কোনো পার্শ্বপ্রতিক্রিয়া নেই। স্ম্যাক্সটেক বোলাস গবাদি প্রাণীর পাকস্থলিতে অন্তত ৫ বছর কার্যকর থাকে।যুক্তরাষ্ট্রের ফুড অ্যান্ড ড্রাগ অ্যাডমিস্ট্রেশন, ফেডারেল কমিউনিকেশন কমিশন এবং জার্মান এগরিকালচার সোসাইটির স্বীকৃতি প্রাপ্ত এই প্রযুক্তিতে।
Advertisement
ইতোমধ্যে পাইলট প্রকল্পে প্রযুক্তিটির ব্যবহার চলছে বলে জানিয়েছেন ফিদা হক।
আরএম/এএ