বন্দরনগরীর দামপাড়া পুলিশ লাইন্সের সীমানা প্রাচীরঘেঁষা ফুটপাত। তার পাশেই খোলা কিছুটা উঁচু ভিটি। উন্মুক্ত এ স্থানটি দীর্ঘদিন ধরেই নোংরা আবর্জনায় ভরপুর। শুধু তাই নয়। সে স্থানে মলমূত্র ত্যাগও করতেও দেখা যায়।
Advertisement
এর বিপরীত দিকেই অবস্থিত বাংলাদেশ মহিলা সমিতি বালিকা উচ্চ বিদ্যালয় ও কলেজ। আর সকাল থেকে রাত অবধি শিক্ষার্থী-অভিভাবকসহ অসংখ্য মানুষ এই পথ ধরেই চলাফেরা করেন। ফলে এই ফুটপাত দিয়ে পার হবার সময় পথচারীদের নাক চেপে যেতে দেখা যায়।
এমন অস্বস্তিকর অবস্থা সবাই অনেকটা সয়েই নিয়েছেন। কারণ অবস্থার উত্তরণে ছিল না কোনো উদ্যোগ। তবে বিষয়টি ভাবিয়ে তোলে চার তরুণ শিক্ষার্থীকে। তাদের নিজেদের উদ্যোগ ও ইচ্ছায় রাতারাতি বদলে যায় সেই স্থানের চিত্র। নোংরা ফুটপাতের পাশের স্থান রূপ নেয় ফুল বাগানে। মলমূত্র ও আবর্জনায় ভরা সে স্থান ফুলের ছোঁয়ায় বদলে গেল।
খোঁজ নিয়ে জানা যায়, এ পথ দিয়ে প্রতিদিন চলাফেরা করতে গিয়ে নোংরা স্থানটি তাদের চোখে পড়ে। তারা চিন্তা করে শত শত শিক্ষার্থীসহ অসংখ্য পথচারীদের এই পথ পাড়ি দিতে গিয়ে সমস্যার সম্মুখীন হতে হয়। উৎকট গন্ধে হাঁটাচলা করাই দায়। যেই ভাবা সেই কাজ।
Advertisement
বৃহস্পতিবার রাতে এই চার তরুণ স্থানটি পরিষ্কার করে। শোভা বাড়াতে রোপণ করে ১০টি গাঁদা ফুলের চারা। এতে বদলে যায় ফুটপাতের পুরনো চিত্র।
জানা গেছে, এই চার তরুণ শিক্ষার্থী চট্টগ্রাম উত্তর জেলা ছাত্রলীগের কর্মী। তারা হলেন- আমজাদ হোসেন, অমিত হাসান সৌরভ, মনিরুল ইসলাম আরাফাত ও মোহাম্মদ রুমি। এদের মধ্যে রুমি চট্টগ্রাম পলিটেকনিক এবং অন্যরা চট্টগ্রাম বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষার্থী।
এ বিষয়ে যোগাযোগ করা হলে আমজাদ হোসেন জাগো নিউজকে বলেন, আমাদের চারপাশে এমন অনেক জায়গা আছে। নিজেরা সুন্দর থাকার পাশাপাশি একটু সচেতন হলের নোংরা জায়গাগুলোও সুন্দর রাখতে পারি। এতে তৈরি হবে বাসযোগ্য এলাকা, সমাজ ও রাষ্ট্র।
বিএ/জেআইএম
Advertisement