এবারের বিপিএলের শুরু থেকেই নানা অনিয়ম আর প্রশাসনিক দুর্বলতা নিয়ে সমালোচনা হচ্ছে। বিভিন্ন প্রযুক্তির স্বল্পতা থেকে শুরু করে ধারাভাষ্য পর্যন্ত সময়ে সময়ে হাস্যরসের খোরাক জোগাচ্ছে। এবার এই তালিকায় যোগ হলো বিদ্যুৎ বিভ্রাট।
Advertisement
চট্টগ্রামের জহুর আহমেদ চৌধুরী স্টেডিয়ামে সিলেট সিক্সার্স আর রাজশাহী কিংসের খেলা চলছে। এরই মধ্যে আনুমানিক বিকেল ৪টা ২২ মিনিট থেকে ৫টা ৫ মিনিট পর্যন্ত চলেছে বিদ্যুৎ বিভ্রাট। প্রায় ৪৩ মিনিট স্টেডিয়ামপাড়ায় বিদ্যুৎ ছিল না। যার ফলে বন্ধ ছিল অফিসিয়াল ইলেকট্রনিক স্কোরবোর্ডও।
শুধু স্কোরবোর্ডই নয়, প্রেসবক্সে বিকল্প ব্যবস্থায় বিদ্যুতের ব্যবস্থা করা হলেও সেখানে টেলিভিশন সম্প্রচার বন্ধ ছিল। ফলে গণমাধ্যমকর্মীরা ওই সময়টায় টিভিতে খেলা দেখতে পারেননি। এমনকি বিদ্যুৎ ঘাটতিতে নেট সমস্যায় মডেমও ব্যবহার করা সম্ভব হয়নি।
যেহেতু ইলেকট্রনিক স্কোরবোর্ড এবং প্রেসবক্সেও টেলিভিশন সম্প্রচার বন্ধ ছিল, তাই ধরেই নেয়া যায় থার্ড আম্পায়ারের রুমেও টিভি চালু রাখা যায়নি। এক্ষেত্রে জরুরী কোনো আউটের কল থাকলে কিভাবে সেটা সামলানো হতো?
Advertisement
বিষয়টি নিয়ে জহুর আহমেদ চৌধুরী স্টেডিয়ামের প্রশাসন ব্যবস্থাপনা কমিটির সঙ্গে যোগাযোগ করা হলে এক কর্মকর্তা বলেন, 'স্টেডিয়াম ও তার আশপাশের এলাকায় ৪টা ২০ মিনিটের পর থেকেই বিদ্যুৎ চলে গেছে। তবে আমরা বিকল্প জেনারেটরের ব্যবস্থায় ভিআইপি, দুই দলের ড্রেসিংরুম, গ্র্যান্ডস্ট্যান্ড, মিডিয়া সেন্টার, প্রেসবক্সসহ জরুরী দরকারের জায়গাগুলো সচল রেখেছি।'
তার এই দাবির সঙ্গে পুরোপুরি একমত পোষণের উপায় নেই। মূল স্টেডিয়ামে জরুরী জায়গাগুলোয় বিকল্প ব্যবস্থায় বিদ্যুৎ সচল রাখতে পারলে তো ইলেকট্রনিক স্কোরবোর্ডও চালু থাকার কথা ছিল। সেটা হয়নি।
এ ধরণের একটি আন্তর্জাতিক টুর্নামেন্ট আয়োজনের আগে কেন বিদ্যুৎ বিভাগ ও সংশ্লিষ্টদের সঙ্গে কথা বলে আয়োজক ব্যবস্থাপকরা আগাম প্রস্তুতিমূলক কোনো পরিকল্পনা করে রাখলেন না, সেই প্রশ্নটা উঠেছে জোরেসোরেই।
এদিকে অফিসিয়ালি ৫টায় ফ্লাডলাইটের আলো জ্বলার কথা থাকলেও সোয়া ৫টার মধ্যেও স্টেডিয়ামের পুরো ফ্লাডলাইট জ্বলেনি। এদিকে সন্ধ্যাও ঘনিয়ে এসেছে। বোঝাই যাচ্ছে, বিদ্যুৎ যদি এই সময়টায় না আসতো, তবে ম্যাচটাই বন্ধ করে দিতে হতো।
Advertisement
বিপিএলের মতো একটা জমজমাট আন্তর্জাতিক আসরের প্রথম দিন কেন ৪৩ মিনিট জহুর আহমেদ চৌধুরী স্টেডিয়ামে বিদ্যুৎ সম্প্রচার বন্ধ ছিল? এই প্রশ্নের সত্যিকার সদুত্তর মেলেনি। তবে স্টেডিয়ামের প্রশাসনিক ব্যবস্থাপনায় নিয়োজিত ব্যক্তিরা জানিয়েছেন, যান্ত্রিক ত্রুটির কারণেই বিদ্যুৎ ছিল না। বিদ্যুৎ অফিস থেকে যে লাইনটি জহুর আহমেদ চৌধুরী স্টেডিয়ামে সংযোগ দেয়া হয়েছে, সেটাতেই যান্ত্রিক ত্রুটি দেখা দিয়েছে।
সেই লাইন এখনও চালু হয়নি। বিকল্প লাইনে বিদ্যুৎ চালুর ব্যবস্থা করা হয়েছে। সেটা করতেই পৌনে এক ঘন্টার মতো সময় লেগেছে বলে জানিয়েছে স্টেডিয়াম কর্তৃপক্ষ।
এআরবি/এমএমআর/এমএস