দেশজুড়ে

কুমিল্লার ঘটনায় জনপ্রতি ২০ হাজার টাকা আর্থিক সহায়তার ঘোষণা

কুমিল্লার চৌদ্দগ্রামে ঘুমন্ত শ্রমিকদের ওপর কয়লার ট্রাক উল্টে ১৩ জন নিহত হওয়ার ঘটনায় জেলা প্রশাসনের পক্ষ থেকে জনপ্রতি ২০ হাজার টাকা আর্থিক সহায়তা প্রদানের ঘোষণা দেয়া হয়েছে। দুর্ঘটনার খবর পেয়ে কুমিল্লা জেলা প্রশাসক আবুল ফজল মীর ঘটনাস্থল পরিদর্শন শেষে এ ঘোষণা দেন।

Advertisement

জেলা প্রশাসক ছাড়াও ঘটনাস্থল পরিদর্শনে আসেন পুলিশের চট্টগ্রাম রেঞ্জের অতিরিক্ত ডিআইজি ফয়েজ আহমেদ, উপজেলা পরিষদের চেয়ারম্যান আবদুস সোবহান ভূঁইয়া হাসান, কুমিল্লার অতিরিক্ত পুলিশ সুপার আবদুল্লাহ আল মামুন, পৌর মেয়র মিজানুর রহমান ও উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা মো. শেখ শহিদুল ইসলাম প্রমুখ।

চৌদ্দগ্রাম থানার অফিসার ইনচার্জ (ওসি) আবদুল্লাহ আল মাহফুজ জানান, কুমিল্লা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে নিহতের মরদেহের ময়নাতদন্তের কাজ চলছে, পরে পুলিশের ব্যবস্থাপনায় নিহতদের মরদেহ তাদের গ্রামের বাড়িতে পাঠানো হবে। তিনি আরও জানান, দুর্ঘটনার বিষয়ে বিকেলের মধ্যে প্রশাসনের পক্ষ থেকে তদন্ত কমিটি গঠন করা হবে। এর আগে শুক্রবার ভোরে জেলার চৌদ্দগ্রাম উপজেলার ঘোলপাশা ইউনিয়নে করিমপুর (দোসরী) এলাকায় কাজী অ্যান্ড কোং নামের একটি ইটভাটায় মর্মান্তিক এ দুর্ঘটনা ঘটে। দুর্ঘটনার পর পালিয়েছে ট্রাকের চালক ও হেলপার।

স্থানীয়রা জানান, কয়লা ভর্তি ট্রাক (ঢাকা মেট্রো-ট-১৬-০১১৪) থেকে কয়লা নামার প্রস্তুতি নিচ্ছিলেন শ্রমিকরা। হঠাৎ করে ট্রাকটি উল্টে শ্রমিকদের থাকার ঘরের ওপরে পড়ে। এসময় বেশিরভাগ শ্রমিক ঘুমিয়ে থাকার কারণে ঘটনাস্থলে ১২ শ্রমিক নিহত ও ৩ জন আহত হয়েছেন। পরে হাসপাতালে নেয়ার পর আরও একজনের মৃত্যু হয়।

Advertisement

নিহতরা হচ্ছেন নীলফামারী জেলার জলঢাকা উপজেলার নিজপাড়া গ্রামের সুরেশ চন্দ্র রায়ের ছেলে রঞ্জিত চন্দ্র রায় (৩০), তার ভাই তরুণ চন্দ্র রায় (২৫), একই গ্রামের জাহাঙ্গীর আলমের ছেলে মো. সেলিম (২৮), অমল চন্দ্র রায়ের ছেলে দিপু চন্দ্র রায় (১৯), কিশোর চন্দ্র রায়ের ছেলে শংকর চন্দ্র রায় (২১), রাম প্রসাদের ছেলে বিপ্লব (১৯), কামিক্ষার ছেলে অজিত রায় (২০), শিমুলবাড়ী গ্রামের মনোরঞ্জন চন্দ্র রায় (১৯), একই গ্রামের খোকা চন্দ্র রায়ের ছেলে মৃনাল চন্দ্র রায় (২১), পাঠানপাড়া গ্রামের নুর আলমের ছেলে মোরসালিন (১৮), একই গ্রামের ফজলুল করিমের ছেলে শামসু (১৮), রাজবাড়ী গ্রামের খোকা চন্দ্র রায়ের ছেলে বিকাশ চন্দ্র রায় (২৮) ও ধলু চন্দ্র রায়ের ছেলে কনেক চন্দ্র রায় (২৫)।

গুরুতর আহত দুইজনকে কুমিল্লা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে প্রেরণ করা হয়েছে বলে উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সের জরুরি বিভাগ থেকে জানা গেছে।

মর্মান্তিক ওই দুর্ঘটনায় নিহতদের প্রতি গভীর শোক ও শোকার্ত পরিবারগুলোর প্রতি সমবেদনা জানিয়েছেন স্থানীয় সংসদ সদস্য ও সাবেক রেলমন্ত্রী মো. মুজিবুল হক।

মো. কামাল উদ্দিন/এসআর/এমএস

Advertisement