খোদাভীরু কিংবা নামাজী হিসেবে বাংলাদেশ জাতীয় দলের ক্রিকেটারদের রয়েছে বেশ সুনাম। পারতপক্ষে কেউই সময়ের নামাজ মিস করেন না। এমনকি আন্তর্জাতিক ম্যাচ থাকলেও বিরতির ফাঁকে ঠিকই সময় বের করে নামাজ আদায় করে নেন জাতীয় দলের ক্রিকেটাররা।
Advertisement
সে ধারাবাহিকতা বজায় রাখা হলো বিপিএলের ম্যাচেও। শুক্রবার জুমার নামাজের কথা মাথায় রেখে ম্যাচের সময় এমনিতেই পিছিয়ে নেয়া হয়েছে ৩০ মিনিট। অন্য সব দিন বেলা ১.৩০ মিনিটে দিনের প্রথম ম্যাচ শুরু হলেও শুক্রবার দিনের প্রথম ম্যাচটি মাঠে গড়ায় বেলা ২.০০টা থেকে।
এর কারণ একটাই যাতে করে খেলোয়াড়দের থেকে শুরু করে মাঠে আগত দর্শক-সমর্থকরা নিজেদের জুমার নামাজটা আদায় করে নিতে পারেন ঠিকভাবে। এটুকু পর্যন্ত করা হয়েছে বিপিএলে ঢাকার দুই পর্ব কিংবা সিলেট পর্বেও। কিন্তু চট্টগ্রাম পর্বে ঘটলো নতুন ঘটনা।
খেলোয়াড় ও দর্শকদের সুবিধার্থে ম্যাচের সময় পেছানো বাদেও, এগিয়ে আনা হয়েছে জুমার নামাজের সময়ও। সাধারণত দেশের সব মসজিদেই গড়পড়তা ১.২০ থেকে ১.৪০ এর মধ্যে শুরু হয় জুমার নামাজের জামাত। কিন্তু চট্টগ্রামের জহুর আহমেদ চৌধুরী স্টেডিয়াম লাগোয়া জামে মসজিদে জুমার নামাজের সময় ৩০ মিনিট এগিয়ে শুরু করা হয়েছে বেলা ১.০০টা থেকে।
Advertisement
যাতে করে দুই দলের খেলোয়াড় এবং কোচিং স্টাফের মুসলিম সদস্যরা নিজেদের জুমার নামাজ আদায় করে ঠিক সময়েই ধরতে পারেন মাঠের খেলা। দুই দলের লড়াই বেলা ২.০০টায় শুরু হলেও, অধিনায়কদের টস করার জন্য মাঠে থাকতে হয় ত্রিশ মিনিট আগেই।
তাই দিনের প্রথম ম্যাচে রাজশাহী কিংসের অধিনায়ক মেহেদি হাসান মিরাজ ও সিলেট সিক্সার্সের অধিনায়ক সোহেল তানভির যাতে করে জুমার নামাজ আদায় করেই টস করতে যেতে পারেন সে লক্ষ্যেই ত্রিশ মিনিট এগিয়ে বেলা একটায় পড়া হয়েছে জুমার নামাজ।
কাকতালীয় হলেও সত্যি, বিপিএলের গত মৌসুমেও রাজশাহী এবং সিলেটের মধ্যকার ম্যাচেই খেলোয়াড়রা নিয়েছিলেন জুমার নামাজের বিরতি। তবে সেবার টসের আগে নয়, টস করেই মিরপুর শেরে বাংলা জাতীয় ক্রিকেট স্টেডিয়াম লাগোয়া বিসিবি একাডেমিতে জুমার নামাজ আদায় করে মাঠে নেমেছিলেন মুশফিকুর রহীম, নাসির হোসেন, সাব্বির রহমান, মুমিনুল হক, তাইজুল ইসলাম ও নুরুল হাসান সোহানরা। সেবার ক্রিকেটারদের সুবিধার্থে ১.৩০ মিনিটের বদলে দশ মিনিট পিছিয়ে ১.৪০ মিনিটে শুরু করা হয়েছিল জুমার জামাত।
এআরবি/এসএএস/এমএস
Advertisement