টি-টোয়েন্টি ক্রিকেট মানেই মারদাঙ্গা ব্যাটিং আর চার-ছক্কার ফুলঝুরি। সাড়ে তিন ঘণ্টার লড়াইয়ে এক মুহূর্তের জন্য ঝিমিয়ে থাকতে চান না গ্যালারিতে থাকা দর্শকরা। মাঠের খেলোয়াড়রা আগ্রাসী ব্যাটিং ও বাউন্ডারির ঝড় বইয়ে পূরণ করবেন মনের স্বাদ- এমন আশা নিয়েই বসে থাকেন সবাই।
Advertisement
কিন্তু এবারের বিপিএলের শুরুটা ছিলো না তেমন। ঢাকায় ১৪ ম্যাচের প্রথম পর্বে গড়পড়তা রান হয়েছে ইনিংস প্রতি মাত্র ১৪০ করে। বাউন্ডারি হয়েছে কদাচিৎ, ম্যাচগুলো ছিলো ম্যাড়ম্যাড়ে। তবে ৮ ম্যাচের জন্য সিলেট গিয়ে রানের মুখ দেখেছে বিপিএল। ইনিংস প্রতি হয়েছে প্রায় ১৬০-৬৫ করে রান, ছিলো মারদাঙ্গা ক্রিকেটের পসরা। সে ধারা বজায় রেখে ঢাকার দ্বিতীয় পর্বেও জমেছে খেলা, দেখা মিলেছে রানবন্যার ম্যাচের।
টুর্নামেন্টের ২৮ ম্যাচ শেষে পাঁচ দিন ও ১০ ম্যাচের জন্য বিপিএল এখন স্থানান্তরিত হয়েছে দেশের বন্দর নগরী চট্টগ্রামে। জহুর আহমেদ চৌধুরী স্টেডিয়ামে শুক্রবার দুপুরে (বেলা ২.০০টায়) সিলেট সিক্সার্স ও রাজশাহী কিংসের মধ্যকার ম্যাচ দিয়ে পর্দা উঠবে চট্টগ্রাম পর্বের।
খেলা শুরুর আগে সবার মনেই জল্পনা-কল্পনা, কেমন হবে বিপিএলের চট্টগ্রাম পর্বের খেলা? রান হবে তো মন মতো? মিলবে টি-টোয়েন্টি ক্রিকেটের সত্যিকারের স্বাদ? জমবে তো সবগুলো খেলা? মাঠের খেলা গড়ানোর আগে এসব প্রশ্নের উত্তর দেয়া যায় কেবল এক উপায়েই, তা হলো উইকেটের চরিত্র বিশ্লেষণ করে।
Advertisement
কেমন হবে উইকেটের চরিত্র তা ভালো বলতে পারবেন কেবল মাঠের কিউরেটর জাহিদ রেজা বাবু। কিন্তু যেহেতু তিনি কোড অব কন্ডাক্টের কারণে উইকেট বা উইকেটের চরিত্র নিয়ে কিছু বলার এখতিয়ার রাখেন না। তাই তাকেও জিজ্ঞেস করা সম্ভব না উইকেটের ব্যাপারে।
তবে আজ (শুক্রবার) সকালে জাগোনিউজের সঙ্গে একান্ত আলাপে তিনি জানিয়েছেন উইকেট থাকবে বরাবরের মতোই স্বাভাবিক চরিত্রের। চট্টগ্রামের উইকেট স্বাধারণত যেমন হয়, ঠিক তেমনই। আর জহুর আহমেদ চৌধুরী স্টেডিয়ামের অতীত পরিসংখ্যান জানান দেয়, সাধারণত এখানে রান হয় প্রচুর। স্বাচ্ছন্দ্যেই বল আসে ব্যাটে, ব্যাটসম্যানরা খেলতে পারেন আরামে। ফলে বিপিএলের চট্টগ্রাম পর্বে রান নিয়ে চিন্তায় পড়তে হবে না দলগুলোর।
তবে উইকেটের বাইরে চট্টগ্রামের কন্ডিশনের ব্যাপারে দিয়েছেন গুরুত্বপূর্ণ তথ্য। জানিয়েছেন শীতের প্রভাব খুব একটা না থাকলে রাতে শিশির খুব জ্বালাতন করবে চট্টগ্রামে। জাহিদ রেজা বাবুর ভাষ্যে, ‘এখানে (চট্টগ্রামে) দিনে বেশ গরম। সময় যতো গড়ায় তত গরম বাড়তেই থাকে। রাতেও তেমন ঠাণ্ডা হয় না পরিবেশ। তবে শিশির এবং কুয়াশা পড়ে বেশ।’
কুয়াশার কথা মাথায় রেখেই এবারের বিপিএলের সময়সূচী এগিয়ে আনা হয়েছিল প্রথমে। তবে সেটি আবার পিছিয়ে নেয়া হয়েছে সন্ধ্যা সাড়ে ৬টায়। এর মধ্যে আবার শুক্রবার অর্থাৎ আজকের দ্বিতীয় ম্যাচটি শুরু হবে সন্ধ্যা ৭টায়, যা শেষ হতে বেজে যাবে প্রায় রাত সাড়ে ১০টা। ফলে মাঠের শিশির নিয়ে আলাদা করে পরিকল্পনা রাখতেই হবে দলগুলোকে।
Advertisement
এআরবি/এসএএস/এমকেএইচ