দূতাবাসে শ্রমিকদের হামলা ভাঙচুরের ঘটনায় আটক ২০৯ বাংলাদেশি শ্রমিকের মধ্যে ১৫৮ জনকে মুক্তি দিয়েছে কুয়েত সরকার। বুধবার বাংলাদেশ দূতাবাসের কাউন্সিলর ও দূতালয় প্রধান মো. আনিসুজ্জামান স্বাক্ষরিত বিজ্ঞপ্তিতে এ তথ্য নিশ্চিত করেছেন। বাংলাদেশ দূতাবাসের রাষ্ট্রদূত এস এম আবুল কালাম এবং বহুমুখী কূটনৈতিক প্রচেষ্টায় ২২ জানুয়ারি ১৫৮ জন শ্রমিককে মুক্তি দেয় দেশটির সরকার। বাকি ৫১ জন শ্রমিকের মধ্যে ২০ জনকে দূতাবাসের ভিডিও ফুটেজের মাধ্যমে মারধোর ও ভাঙচুরের ঘটনা সরাসরি জড়িত থাকার প্রমাণ থাকায় তাদের মুক্তি দেয়নি।
Advertisement
এ ছাড়া অন্য ৩১ জন শ্রমিকের নামে পূর্বের বিভিন্ন ধরনে মামলা ও অভিযোগ থাকার কারণে তাদেরকেও আটক রেখেছে স্থানীয় প্রশাসন। তবে দূতাবাসের পক্ষ থেকে আটকদের শ্রমিকদের মুক্তির ব্যাপারে জোর চেষ্টা চালিয়ে যাচ্ছে।
উল্লেখ্য, ২০ জানুয়ারি রোববার থেকে প্রবাসীদের সেবা প্রদানের সবধরনের কার্যক্রম যথারীতি অব্যাহত রয়েছে।
১৭ জানুয়ারি সকালে খালেদিয়া এলাকায় বাংলাদেশ দূতাবাসে লেসকো কোম্পানির চার শতাধিক আকামাহীন শ্রমিক বকেয়া বেতন, থাকা-খাওয়াসহ বিভিন্ন সমস্যা সমাধানের দাবিতে দূতাবাসে অবস্থান নেন। এক পর্যায়ে তারা উত্তেজিত হয়ে দূতাবাস ভাঙচুর করে।
Advertisement
চার-পাঁচ মাসের বেতন বকেয়া হওয়ায় তারা অস্বাস্থ্যকর পরিবেশে মানবেতর জীবন যাপন করেছেন। অনেক সময় আকামা না থাকার কারণে পুলিশি ঝামেলার শিকারও হতে হয়।
এ অবস্থায় ভুক্তভোগী শ্রমিকরা বাংলাদেশ দূতাবাসে রাষ্ট্রদূত এস এম আবুল কালামের কাছে দালালদের নাম, পাসপোর্টের কপি ও সিভিল আইডি নম্বরসহ লিখিত অভিযোগ দেন। এর প্রেক্ষিতে রাষ্ট্রদূত সংশ্লিষ্ট কোম্পানির সঙ্গে বিস্তারিত আলাপ করে সমস্যা সমাধানের আশ্বাস দেন এবং পরে তাদের নিজ নিজ কর্মস্থলে ফিরে যাওয়ার জন্য অনুরোধ করেন।
তার বক্তব্যে ভুক্তভোগীরা আশ্বস্ত হতে না পেরে ফিরে যাওয়ার সময় দূতাবাসের কর্মকর্তাদের সঙ্গে বাকবিতণ্ডায় জড়িয়ে পড়েন। এক পর্যায়ে তারা দূতাবাসে ব্যাপক ভাঙচুর চালায়। এ সময় দূতাবাসের টিভি, কম্পিউটারসহ আসবাবপত্রের ব্যাপক ক্ষতি এবং দূতাবাসের তিন কর্মকর্তা আহত হন। পরে স্থানীয় পুলিশ এসে পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে আনে।
এমআরএম/জেআইএম
Advertisement