রেলপথমন্ত্রী মো. নুরুল ইসলাম সুজন বলেছেন, জনগণের সঙ্গে সরকারের সংযোগ তৈরি করতে প্রিন্ট ও ইলেকট্রনিক মিডিয়া গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা পালন করছে। বৃহস্পতিবার দুপুরে পঞ্চগড় প্রেসক্লাব আয়োজিত এক সংবর্ধনা অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথির বক্তব্যে তিনি এ কথা বলেন। এ সময় তিনি রেলপথ মন্ত্রণালয়ের দায়িত্ব সততা ও নিষ্ঠার সঙ্গে পালন করতে গণমাধ্যমকর্মীদের সহযোগিতা কামনা করেন।
Advertisement
রেলমন্ত্রী বলেন, মুক্তিযুদ্ধের চেতনা, স্বাধীনতা ও সার্বভৌমত্বের প্রশ্নে কোনো আপোস নেই। ৭৫ এর ১৫ আগস্ট জাতির জনক বঙ্গবন্ধুকে স্বপরিবারে হত্যার পর স্বাধীনতা বিরোধীদের প্রতিষ্ঠিত করে দেশকে অকার্যকর রাষ্ট্রে পরিণত করা হয়েছে। শেখ হাসিনার নেতৃত্বে আওয়ামী লীগ ক্ষমতায় এসে মুক্তিযুদ্ধের চেতনা প্রতিষ্ঠিত হয়েছে।
তিনি বলেন, প্রধানমন্ত্রী সাংবাদিকদের কল্যাণে নানা পদক্ষেপ নিয়েছেন। রাজনীতির নামে যারা মুক্তিযুদ্ধ, স্বাধীনতাকে বিতর্কিত করে তাদের রাজনৈতিক ও গণতান্ত্রিক অধিকার থাকতে পারে না। রাজনৈতিক ভিন্নমত থাকতে পারে, কিন্তু প্রতিষ্ঠিত সত্যকে বিকৃত করা যাবে না। মুক্তিযুদ্ধের চেতনায় দেশপ্রেমে উদ্ধুদ্ধ হয়ে জনমানুষের কল্যাণে সাংবাদিকতা পেশাকে কাজে লাগানোর জন্য তিনি সাংবাদিকদের প্রতি আহ্বান জানান।
পঞ্চগড় প্রেসক্লাবের সভাপতি সফিকুল আলমের সভাপতিত্বে অনুষ্ঠানে পঞ্চগড়ের অতিরিক্ত জেলা প্রশাসক মোহাম্মদ গোলাম আজম, জেলা আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক আনোয়ার সাদাত সম্রাট, চেম্বার সহ-সভাপতি মেহেদী হাসান খান বাবলা, প্রেসক্লাব সাধারণ সম্পাদক সাইফুল আলম বাবু, সাংবাদিক শহীদুল ইসলাম শহীদ, এস এ মাহমুদ সেলিম প্রমুখ বক্তব্য রাখেন।
Advertisement
এর আগে মন্ত্রী পঞ্চগড় রেল স্টেশন পরিদর্শনকালে এক সুধী সমাবেশে যোগ দেন। এ সময় তিনি বলেন, বিএনপি তাদের শাসন আমলে বাংলাদেশ রেলওয়েকে ধ্বংসের দ্বারপ্রান্তে নিয়ে গিয়েছিল, সেই মৃত অবস্থা থেকে পুনর্জীবিত করেছে আওয়ামী লীগ সরকার। গত দশ বছরে বাংলাদেশ রেলওয়েকে ঢেলে সাজানোর উদ্যেগ নেয়া হয়েছে। প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা ২০১১ সালে রেলওয়েকে যোগাযোগ মন্ত্রণালয় থেকে আলাদা করে রেল মন্ত্রণালয় সৃষ্টি করেছেন। রেলের অগ্রযাত্রাকে অব্যাহত রাখতে নতুন নতুন প্রকল্প হাতে নেয়া হয়েছে। কয়েক মাসের মধ্যে ৫০টি নতুন কোচ আমদানি করা হবে। পঞ্চগড় রেলওয়ে স্টেশনকে আধুনিকায়ন করা হবে। যাত্রী পারাপারের জন্য ওভারব্রিজ করা হবে।
তিনি বলেন, ঢাকা থেকে চিটাগাং রুটে হাইস্পিড ট্রেন চলাচলের কাজ শুরু হয়ে গেছে। প্রত্যেক জেলার সঙ্গে রেলের সংযোগ ঘটানো হবে। উত্তরবঙ্গের জন্য আলাদা রেল ব্রিজ নির্মাণের পরিকল্পনা করা হয়েছে। পঞ্চগড় থেকে বাংলাবান্ধা, চিলাহাটি থেকে হলদিবাড়ি হয়ে ভারতের সঙ্গে রেল যোগাযোগের কাজ অচিরেই শুরু হবে। মায়ানমার হয়ে চীনের সঙ্গেও রেল যোগাযোগের উদ্যোগ নেয়া হচ্ছে।
এ সময় বাংলাদেশ রেলওয়ের পশ্চিমাঞ্চলের জিএম খন্দকার শহীদুল ইসলাম, পুলিশ সুপার গিয়াস উদ্দিনন আহমেদ, বাংলাদেশ রেলওয়ের পশ্চিমাঞ্চলের চিফ ইঞ্জিনিয়ার আফজাল হোসেন, বিভাগীয় রেলওয়ে ম্যানেজার মো. মিজানুর রহমান প্রমুখ উপস্থিত ছিলেন।
সফিকুল আলম/এমএএস/পিআর
Advertisement