বিনোদন

বিরক্ত হয়ে বিদায় নিলেন ন্যান্সি!

অতি উৎসাহীদের নিয়ে বিরক্ত জনপ্রিয় কণ্ঠশিল্পী নাজমুন মুনিরা ন্যান্সি। কোনো কিছুই আর ব্যক্তিগত বলে থাকছে না। সব পাবলিক হয়ে যাচ্ছে। সবকিছুতেই অন্যে এসে নাক গলাচ্ছে। এসব বিরক্তি নিয়েই ফেসবুককে বিদায় জানান এই গায়িকা।

Advertisement

জাগো নিউজকে ন্যান্সি বলেন, ‘ফেসবুক যোগাযোগের মাধ্যম। এখানে সবার সঙ্গে খুব সহজেই যোগাযোগ করা যায়। কিন্তু বাংলাদেশে ফেসবুক ব্যবহারকারীরা এর খুব ‘মিসইউজ’ করেন, যা করার কথা নয়, যা বলার কথা নয় সবই করা হচ্ছে, বলা হচ্ছে এখানে।

তাছাড়া প্রাইভেসি বলেও কিছু থাকে না। একজন সাধারণ ভক্তও অভিভাবকের মত পরামর্শ দিয়ে ফেলেন। অহেতুক আগ্রহ দেখান সবকিছুতে। বাজে মন্তব্য করেন। তাই ফেসবুক থেকে সরে যাচ্ছি।’

তিনি আরও বলেন, ‘ফেসবুকের আসক্তিও খুব বাজে জিনিস। আমি গান ও পরিবারকে সময় দেয়াটাই উত্তম বলে মনে করছি। কারণ মেয়েরা এখন বড় হচ্ছে। তাদের সুষ্ঠুভাবে বেড়ে ওঠার পরিবেশ তৈরি করে দেয়াটাই এখন সবচেয়ে বেশি প্রয়োজন।’

Advertisement

ন্যান্সি আরও বলেন, ‘ফেসবুকে আমার অসংখ্য ফেক আইডি রয়েছে। যেগুলো নিয়ে নানা সময় বিব্রতকর পরিস্থিতিতে পড়তে হয়। দেখা যায় অনেকে সেই ফেক আইডির সঙ্গে চ্যাট করে। দেখা হলে বলে আমাকে চিনেন না আপা আমি ফেসবুকে আপনার সঙ্গে চ্যাট করি তো। বিষয়গুলো বেশ বিব্রত করে আমাকে।’

এসব ফেক অ্যাকাউন্ট থেকে সবাইকে সাবধান থাকতে আহ্বান করেছেন ন্যান্সি। সেই সঙ্গে কবে আবার ফেসবুকে আসবেন জানতে চাইলেন ন্যান্সির ভাষ্য, আপাতত ফেসবুকে আসার ইচ্ছা নেই। তবে কখনও যদি নিরাপদ মনে করি তখন আসতেও পারি।

আরও সমস্যার কথা জানিয়ে ন্যান্সি বলেন, ‘ফেসবুকে অ্যাকাউন্টের পাশাপাশি আমার একটা পেজও ছিল। মানুষে যেন বুঝে পেজটা আমার আসল এজন্য প্রতি সপ্তাহে এতে লাইভেও আসতাম। পরে দেখা যায় লাইভের সেই ভিডিওগুলো নিয়ে অন্যরা এডিট করে নেতিবাচক ভাবে উপস্থাপন করে ইউটিউবে আপলোড করে। এগুলো এখন আর দেখতে ভালো লাগে না।

তার ওপর আবার নিজের আইডিতে পারিবারিক কিছু ছবি ছেড়ে সেগুলো পাবলিক নয় শুধু ফেন্ডস মুড করে আপলোড করলেও সেগুলো কে বা কারা ছড়িয়ে দিচ্ছে। ঘরোয়া ড্রেসের সেই ছবিগুলো নিয়ে আমার সঙ্গে যোগাযোগ না করেই নিউজ করে দিচ্ছে। যে ছবিগুলো ফ্রেন্ডদের বাইরে কেউ দেখুন সেটা আমি চাচ্ছি না। কিন্তু প্রকাশ করে দিচ্ছে।

Advertisement

তাই সরে গেলাম। এখন থেকে ফেসবুকে আমার কোনো অ্যাকাউন্ট থাকবে না। যেগুলো পাবেন সেগুলোর সব ফেক।’

এলএ/পিআর