জিমি এন্ডারসনের বয়স ৩৬ হলেও এখনো এতটুকু কমেনি তার বোলিংয়ের ধার। দুর্দান্ত গতি, নিখুঁত সুইং দিয়ে এখনো বিপক্ষে দলের খেলোয়াড়দের পর্যুদস্ত করতে পটু তিনি। যার শেষ সংযোজন ওয়েস্ট ইন্ডিজ। স্বাগতিক উইন্ডিজদের বিপক্ষে অ্যান্ডারসনের ৪ উইকেটেই শেষ সেশনে এসে ঘুরে দাঁড়ায় ইংল্যান্ড। প্রথম দিন শেষে উইন্ডিজদের সংগ্রহ ৮ উইকেট হারিয়ে ২৬৪ রান।
Advertisement
বার্বাডোজের কিংস্টন ওভালে টস জিতে ব্যাটিংয়ের সিদ্ধান্ত নেন উইন্ডিজ অধিনায়ক হোল্ডার। দুই ওপেনার ব্রাথওয়েট এবং ক্যাম্পবেল দারুণ সূচনা এনে দেন। প্রথম উইকেট জুটিতে আসে ৫৩ রান যার ৪৪ রানই করেন ক্যাম্পবেল। মঈন আলির বলে লেগ বিফোরের ফাঁদে পড়েন তিনি।
দ্বিতীয় উইকেট জুটিতে ফর্মের তুঙ্গে থাকা শাই হোপকে নিয়ে দলের হাল ধরেন ব্রাথওয়েট। কিন্তু ব্যক্তিগত ৪০ রানে বেন স্টোকসের বলে আউট হলে কিছুটা ধাক্কা খায় উইন্ডিজরা। কেননা ২ রানের ব্যবধানে ড্যারেন ব্রাভোকেও ফেরান স্টোকস। ১২৬ রানে ৩ উইকেট হারিয়ে বিপর্যয়ে পড়ে উইন্ডিজ।
রস্টন চেজকে সঙ্গে নিয়ে এবার ইনিংস মেরামতের কাজে লাগেন শাই হোপ। এক প্রান্ত আগলে রেখে তুলে নেন অর্ধশতক। কিন্তু ইনিংস বড় করতে পারেননি তিনি। ব্যক্তিগত ৫৭ রানে এন্ডারসনের প্রথম শিকারে পরিণত হন।
Advertisement
ছয় নম্বরে নামা হেটমায়ারকে নিয়ে দারুণভাবে ঘুরে দাঁড়ানোর ইঙ্গিত দেন রস্টন চেজ। তুলে নেন নিজের ৭ম টেস্ট ফিফটি। কিন্তু এরপরেই যেন খেই হারিয়ে ফেলেন তিনি। দলীয় ২৪০ রানে ব্যক্তিগত ৫৪ রান করে এন্ডারসনের দ্বিতীয় শিকারে পরিণত হন।
দিনের শেষ ভাগে এসে হোল্ডার, ডাউরিচদের ব্যর্থতায় ২৪০-৫ থেকে ২৬৪-৮ এ পরিণত হয় উইন্ডিজ। দিন শেষে হেটমায়ার অপরাজিত আছেন ৫৬ রানে। ২৪ ওভার বল করে ১২ মেডেন দিয়ে ৩৩ রানের বিনিময়ে অ্যান্ডারসন নেন ৪ উইকেট এবং বেন স্টোকস নেন ৩ উইকেট।
আরআর/বিএ
Advertisement