প্রবাস

লেবাননে দ্বৈত ব্যাডমিন্টন টুর্নামেন্টে মাসুম জুটি চ্যাম্পিয়ন

জনপ্রিয়তার মাপকাঠিতে ব্যাডমিন্টনকে বাংলাদেশের জনপ্রিয় খেলা বলা যায় কিনা তা নিয়ে বিতর্ক হতেই পারে। কারণ ব্যাডমিন্টন এখনো বাংলাদেশের মৌসুমী খেলা হিসেবেই পরিগণিত হয়। মূলত শীতের মৌসুমে ব্যাডমিন্টন খেলার ধুম পড়ে বাংলাদেশে।

Advertisement

বিশেষ করে রাত নেমে আসার পরই বৈদ্যুতিক আলোর ঝলকানিতে কেট আর ফেদারের শব্দে মুখরিত থাকে প্রায় প্রতিটি এলাকা। এলাকায় পাল্লা দিয়ে চলে একের পর এক ব্যাডমিন্টন টুর্নামেন্ট। এ সময়কে বিবেচনায় নিয়ে আসলে মনে হবে ব্যাডমিন্টনই বাংলাদেশের সবচেয়ে জনপ্রিয় খেলা। কিন্তু লেবাননে এর চিত্রটা একটু ভিন্ন। এখানে প্রবাসীদের ব্যাডমিন্টন খেলার প্রতি সাধ থাকলেও অনেকেরই সাধ্য নাই। কারণ লেবাননে পর্যাপ্ত পরিমাণে মাঠ থাকলেও সেগুলো সবই ইনডোর এবং সেগুলো ভাড়া নিয়ে খেলতে গেলে প্রতি ঘণ্টায় চড়ামূল্য পরিশোধ করতে হয়।তারপরও প্রবাসীরা থেমে নেই। বৈরুত একাদশ ক্লাব-এর কিছু ক্রীড়ামোদি প্রবাসী এবারই লেবাননে প্রবাসী বাংলাদেশিদের ১৬টি দলের অংশগ্রহণে ‘হাজমিয়ার হোপস’ ইনডোর গ্রাউন্ডে আয়োজন করে ‘বিজয় দিবস দ্বৈত ব্যাডমিন্টন টুর্নামেন্ট।’

সম্প্রতি টুর্নামেন্টটির জমকালো উৎসবমুখর পরিবেশে ফাইনাল খেলা অনুষ্ঠিত হয়। ফাইনালে মাসুম জুটি ২-০ সেটে সোহাগ জুটিকে পরাজিত করে চ্যাম্পিয়ন হওয়ার গৌরব অর্জন করে। পরে পুরস্কার বিতরণী অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথি ও সভাপতি চ্যাম্পিয়ন ও রানার্স জুটির হাতে ট্রফি তুলে দেন।

অসাধারণ খেলে দর্শক, খেলোয়াড় ও আয়োজকদের বিচারে টুর্নামেন্টে সেরা খেলোয়াড়ের পুরস্কার অর্জন করেন প্রসেনজিত। খেলায় রেফারীর দায়িত্ব পালন করেন শিহাব মিয়া ও মাসুদ পারভেজ নিলয়।

Advertisement

আয়োজক কমিটির ক্রীড়া সম্পাদক ইয়াকুব আলীর সঞ্চালনায় ফাইনাল ম্যাচের পুরস্কার বিতরণী অনুষ্ঠানে সভাপতিত্ব করেন বৈরুত একাদশ ক্লাবের সভাপতি জুম্মন মিয়া। প্রধান অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন ক্লাবটির সাংগঠনিক সম্পাদক নাঈম মিয়া। বিশেষ অতিথি হিসেবে আরো উপস্থিত ছিলেন জসীম আহম্মেদ, খোকন মিয়া ও বাংলাভিশন সাংবাদিক বাবু সাহা।

আয়োজক কমিটির পক্ষে আরও উপস্থিত ছিলেন বৈরুত একাদশ ক্লাবটির প্রতিষ্ঠাতা সদস্য সৈয়দ রাসেল, মাসুম মিয়া ও সোহাগ মিয়া।

প্রধান অতিথি নাঈম মিয়া বলেন, প্রবাসে এ ধরনের আয়োজন সত্যি-ই প্রশংসনীয়। কিছু সময়ের জন্য আমি হারিয়ে গিয়েছিলাম কৈশরে। ভবিষ্যতে প্রবাসী বাংলাদেশিদের সম্পৃক্ত করে এ ধরনের আয়োজন নিয়ে সামনে আশারও পরামর্শ দেন তিনি।

১৬ ডিসেম্বর প্রবাসী বাংলাদেশিদের ১৬টি দল নিয়ে ‘বিজয় দিবস দ্বৈত ব্যাডমিন্টন টুর্নামেন্ট’ যাত্রা শুরু করেছিল। ফাইনাল খেলা ও পুরস্কার বিতরণী অনুষ্ঠানে উপস্থিত ছিলেন বিভিন্ন শ্রেণি-পেশার প্রবাসী বাংলাদেশিরা।

Advertisement

বাবু সাহা, লেবানন থেকে/এমআরএম/জেআইএম