রাজশাহীতে কলেজ শিক্ষককে ফাঁসাতে গিয়ে ফেঁসে গেলেন নগর পুলিশের (আরএমপি) দুই সদস্য। অভিযুক্ত পুলিশের এএসআই ও কনস্টেবলের বিরুদ্ধে শাস্তিমূলক ব্যবস্থা নেয়ার সুপারিশ করা হয়েছে।
Advertisement
অভিযুক্তরা হলেন- নগরীর চন্দ্রিমা থানা পুলিশের সহকারী উপ-পরিদর্শক (এএসআই) আবদুল মমিন ও কনস্টেবল গোলাম মোর্তজা। আবদুল মমিন বর্তমানে আরএমপির পুলিশ লাইনে প্রশিক্ষণে রয়েছেন।
মঙ্গলবার রাতে জেলার বাগমারার ভবানীগঞ্জ সরকারি কলেজের শিক্ষক আশরাফুল আলমকে ফাঁসাতে যান এএসআই আবদুল মমিন ও কনস্টেবল গোলাম মোর্তজা। এক নারীকে টোপ হিসেবে ব্যবহার করে ওই শিক্ষকের কাছে ২০ হাজার টাকা দাবি করেন তারা। কৌশলে পরিচিত লোকজনকে সঙ্গে নিয়ে ওই দুই পুলিশ সদস্যকে আটকান ওই শিক্ষক।
ভুক্তভোগী শিক্ষক আশরাফুল আলম বলেন, মঙ্গলবার রাত ৮টার দিকে শিরোইল এলাকায় হাঁটতে বের হই। ওই সময় রাস্তার পাশে এক নারীকে দিয়ে দাঁড়িয়েছিলেন দুই ব্যক্তি। ওই নারীকে কটূক্তির অভিযোগ আনেন তারা। একপর্যায়ে তারা দুইজন নিজেদের পুলিশ পরিচয় দিয়ে আমাকে থানায় নিতে চান।
Advertisement
ওই শিক্ষক আরও বলেন, ছেড়ে দেয়ার শর্তে তারা প্রথমে ২০ হাজার টাকা দাবি করেন। পরে ১২ হাজার টাকায় ছেড়ে দিতে রাজি হন। এরপর টাকা দেয়ার নাম করে তাদের নগরীর ভদ্রা এলাকায় নিয়ে যাই। এরপর পরিচিত জনদের ডেকে তাদের আটক করি। খবর পেয়ে চন্দ্রিমা থানা পুলিশের ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) হুমায়ুন কবির জড়িতদের শাস্তির প্রতিশ্রুতি দিয়ে উদ্ধার করে নিয়ে যান।
অভিযোগের বিষয়ে জানতে কয়েক দফায় চেষ্টা করেও পুলিশের এএসআই আবদুল মমিনের মুঠোফোনে সংযোগ পাওয়া যায়নি। তবে অভিযুক্ত কনস্টেবল গোলাম মোর্তজা দাবি করেন, ঘটনা আসলে এমন কিছুই নয়। এই অভিযোগ ভিত্তিহীন।
এ বিষয়ে চন্দ্রিমা থানা পুলিশের ওসি হুমায়ুন কবির বলেন, এএসআই মমিন থানায় কর্মরত থাকলেও পুলিশ লাইনে প্রশিক্ষণে আছেন। সেখান থেকে কেন তিনি থানা এলাকায় এসেছিলেন সেটি খতিয়ে দেখছে পুলিশ। এছাড়া অভিযুক্ত দুই পুলিশ সদস্যের বিরুদ্ধে বিভাগীয় ব্যবস্থা নেয়ার সুপারিশ করা হয়েছে বলেও জানান ওসি।
ফেরদৌস সিদ্দিকী/এএম/জেআইএম
Advertisement