কৃষি উন্নয়নের ধারাবাহিকতা বজায় রেখে ক্ষুধামুক্ত, পুষ্টিসমৃদ্ধ, মেধাবী জাতি গঠনের প্রচেষ্টা অব্যাহত রাখতে সবার প্রতি আহ্বান জানিয়েছেন প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা। তিনি বলেন, রূপকল্প ২০২১ এবং ২০৪১ বাস্তবায়নের মাধ্যমে সর্বকালের সর্বশ্রেষ্ঠ বাঙালি, জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের ক্ষুধা-দারিদ্র্যমুক্ত ও সুখী-সমৃদ্ধ স্বপ্নের সোনার বাংলাদেশ বিনির্মাণে সম্মিলিতভাবে কাজ করতে হবে।
Advertisement
প্রধানমন্ত্রী ২৪ জানুয়ারি জাতীয় সবজি মেলা উপলক্ষে এক বাণীতে এ আহ্বান জানান।
তিনি বলেন, বর্তমান বিশ্বে সবজি উৎপাদনে বাংলাদেশের অবস্থান তৃতীয় উল্লেখ করে প্রধানমন্ত্রী বলেন, বাংলাদেশের উর্বর মাটি ও আবহাওয়া সবজি চাষের জন্য অত্যন্ত উপযোগী। ফলে স্বল্প সময়ে ও স্বল্প খরচে সারা বছর শাকসবজি চাষ করে কৃষকরা তাদের জীবনমান উন্নয়নসহ দেশের আর্থিক উন্নয়নে ভূমিকা রাখতে সক্ষম হচ্ছেন।
তিনি বলেন, পরিবেশ ও স্বাস্থ্যের কথা বিবেচনা করে রাসায়নিকদ্রব্যমুক্ত সবজি চাষে জোর দেয়া হচ্ছে। তবে সংগ্রহোত্তর ব্যবস্থাপনার কিছুটা ঘাটতি থাকায় সবজির সংগ্রহোত্তর ব্যবস্থাপনাসহ বাজারজাতকরণে আমাদের সরকার বিশেষভাবে গুরুত্বারোপ করেছে।
Advertisement
শেখ হাসিনা বলেন, জীবন ধারণের কৃষিকে বাণিজ্যিক কৃষিতে রূপান্তরের লক্ষ্যে সরকার কৃষিবান্ধব নীতি ও বাস্তবমুখী বিভিন্ন পদক্ষেপ গ্রহণ করেছে। কৃষির সার্বিক উন্নয়নে সার, বীজসহ সব কৃষি উপকরণের মূল্যহ্রাস, কৃষককে সহজশর্তে ও স্বল্পসুদে ঋণ সুবিধা প্রদান, ১০ টাকায় ব্যাংক অ্যাকাউন্ট খোলার সুযোগসহ কৃষকদের নগদ সহায়তা প্রদান করা হচ্ছে।
তিনি বলেন, সরকার সব সময়েই কৃষি বিজ্ঞানী এবং প্রকৌশলীদের মূল্যায়ন করেছে। কাজের স্বীকৃতিস্বরূপ বিভিন্ন পুরস্কারসহ কৃষি বিজ্ঞানীদের প্রণোদনা প্রদান করা হচ্ছে। ফলে সাম্প্রতিক সময়ে শাকসবজিসহ সব ধরনের কৃষিপণ্য উৎপাদনে অভূত সাফল্য অর্জিত হয়েছে।
জাতীয় সবজি মেলা উপলক্ষে সংশ্লিষ্ট সবাইকে অভিনন্দন জানিয়ে শেখ হাসিনা বলেন, ‘জাতীয় সবজি মেলা ২৪ থেকে ২৬ জানুয়ারি অনুষ্ঠিত হচ্ছে জেনে আমি আনন্দিত।’
এবারের সবজি মেলার প্রতিপাদ্য ‘নিরাপদ সবজি করব চাষ, পুষ্টি মিলবে বার মাস’ সময়োপযোগী হয়েছে বলেও তিনি উল্লেখ করেন। প্রধানমন্ত্রী ‘জাতীয় সবজি মেলা ২০১৯’ এর সার্বিক সাফল্য কামনা কামনা করেন।
Advertisement
এফএইচএস/জেএইচ/এমএস