প্রবাস

গৃহকর্মীদের আর্তনাদ আর কত!

কিছুদিন আগেও সৌদি আরবের প্রতিটি ঘরে ইন্দোনেশিয়ান গৃহকর্মী ছিল। সৌদি নাগরিকদের যৌন নির্যাতনের ফলে ইন্দোনেশিয়ান সরকার ধীরে ধীরে সৌদি থেকে নারী কর্মীদের ফেরত নিয়ে এসেছে এবং দেশে কর্মসংস্থান করেছে। ইন্দোনেশিয়ান মেয়েরা খুবই শান্ত স্বভাবের যে কারণে তারা তাদের গৃহকর্তার (কপিল) যৌন নির্যাতন মুখ বুজে সহ্য করতো।

Advertisement

কিন্তু বাংলাদেশের মেয়েরা সৌদি আরবের পুরুষদের এ ধরনের অমানবিক অত্যাচার কোনোভাবেই মেনে নেননি। যে কারণে কাজের সন্ধানে বাংলাদেশের নারী গৃহকর্মীরা সৌদিতে গেলেও বিক্রি করেননি নিজেদের সম্মান। আর তাই এ ধরনের ঘটনার খবর প্রতিনিয়ত আসছে আমাদের কাছে।

পরিস্থিতি এমন হয়েছে যে, এ সময় সৌদি গৃহকর্তারা নিজেরা যেমন এ কাজে লিপ্ত হচ্ছে তেমনি তাদের ছেলেদেরও গৃহকর্মীদের যৌন চাহিদায় উৎসাহী করে তুলছেন। ইন্দোনেশিয়ান মেয়েরা এ ধরনের কাজে নিজেরা উৎসাহী হলেও বাংলাদেশের নারী গৃহকর্মীরা তাদের নিজেদের রক্ষা করার জন্য সর্বাত্মক চেষ্টা করছেন।

বিষয়টি নিয়ে সরকারি এবং বেসরকারি পর্যায়ে উদ্যোগ নেয়া হলেও সৌদি থেকে বাংলাদেশি নারী গৃহকর্মীদের নীরবে ফিরে আসার এ ঘটনা বেড়ে চলার প্রমাণই দিচ্ছে।

Advertisement

প্রতিনিয়ত মালিকের অত্যাচারে গৃহকর্মীদের আর্তনাদ যেমন দেশের শ্রমবাজারকে অস্থিতিশীল করে তুলছে। তেমনি এমন ঘটনায় নির্যাতিত এসব নারীদের নিয়ে ভাবিয়ে তুলছে আমাদের।

তাই বাংলাদেশ সরকারের উচিত সৌদি আরব থেকে শুরু করে মধ্যপ্রাচ্যের বিভিন্ন দেশ থেকে নারী গৃহকর্মীদের ফিরিয়ে নিয়ে এসে ধীরে ধীরে দেশে কর্মসংস্থান বাড়ানো। তাহলে একদিকে যেমন এসব আর্তনাদ কমে আসবে, তেমনি দেশীয় কর্মসংস্থানে এসব নারীরা নিজেদের পায়ে দাঁড়াতেও পারবেন।

উল্লেখ্য, বাংলাদেশ থেকে সৌদি আরবে অভিবাসী শ্রমিক হিসেবে কাজ করতে যাওয়া শতাধিক শ্রমিক কয়েকদিন আগে বাংলাদেশে ফেরত এসেছেন; যাদের ৮১ জনই নারী। শুধু ২০১৮ সালেই সৌদি আরব থেকে ১০ হাজারের বেশি শ্রমিক বাংলাদেশে ফেরত এসেছেন।

রাশিদুল ইসলাম জুয়েল, সিঙ্গাপুর প্রবাসী সাংবাদিক ও লেখক

Advertisement

এমআরএম/জেআইএম