পর্যটন নগরী কক্সবাজার জেলা সদরের অদূরে উপজেলা চকরিয়া। প্রায় সাড়ে তিন লাখ জনবসতির এ এলাকার অধিকাংশই কৃষক। উপজেলার সুরাজপুরে সবজি চাষে ভাগ্য বদলেছে অনেকের। এর মধ্যে একজন মো. জাহাঙ্গীর। বর্তমানে এলাকায় তিনি সফল সবজি চাষি হিসেবেই পরিচিত। তার সফলতায় অনুপ্রাণিত হয়ে নিজের গ্রাম ও পাশের গ্রামের মোহাম্মাদ পুতু ও ফজলের মতো অনেকেই সবজি চাষে আগ্রহী হয়ে উঠেছেন।
Advertisement
বর্ষাকালে চকরিয়ার মাতামুহুরী নদী তীরবর্তী এলাকায় প্রচুর পরিমাণ পলি পড়ে। এর ফলে নদীর পাড়ের মাটির উর্বরা শক্তি বৃদ্ধি পায়। এসব উর্বর জমির অধিকাংশে তামাক চাষ হতো। সেই তামাক চাষিরা এখন ঝুঁকছেন সবজি চাষে। স্থানীয় কৃষি সম্প্রসারণ অধিদফতরের মাঠ পর্যায়ের কর্মকর্তা ও কর্মচারীদের নিরলস প্রচেষ্টায় ক্রমান্বয়ে আলু, সরিষা, ভুট্টা, চীনাবাদামসহ বিভিন্ন রকমের রবিশস্য তামাকের বিকল্প ফসল হিসেবে জায়গা করে নিচ্ছে।
> আরও পড়ুন- শীতে ব্রোকলি চাষ করবেন যেভাবে
আবাদযোগ্য এসব জমির পাশাপাশি বাড়ির আঙিনা ও বিভিন্ন স্থানে পতিত জমি পড়ে থাকতো বলে জানান জাহাঙ্গীর। বর্তমানে বাড়ির আঙিনাসহ প্রায় ২.৫ কানি পতিত জমিতে উন্নত জাতের সবজি চাষ করেন তিনি। এসব রবিশস্য খুচরা বিক্রির পাশাপাশি পাইকাররাও তার জমি থেকে কিনে নিয়ে যায়। সবজি বিক্রি করে এ বছর তিনি প্রায় ৪০ হাজার টাকা আয় করেন।
Advertisement
কৃষক জাহাঙ্গীর জাগো নিউজকে বলেন, ‘বিভিন্ন সবজির বীজ পেয়ে বাড়ির আঙিনায় লাউ ও শিমের চাষ করেছি। পতিত জমিতে বাঁধাকপি, ফুলকপি ও বরবটি লাগিয়েছি। এতে আর্থিকভাবে লাভবান হচ্ছি।’
> আরও পড়ুন- জাফরান চাষে সফল শেকৃবির গবেষকরা
জাহাঙ্গীরের মতো উচ্চ ফলনশীল সবজির বীজ পেয়ে গরিব চাষিরা বাড়ির আঙিনায় ও বিভিন্ন পতিত জায়গায় মৌসুমী সবজি চাষ করে যেমন লাভের মুখ দেখছেন, ঠিক তেমনি পরিবারের পুষ্টির চাহিদাও পূরণ হচ্ছে।
এসইউ/জেআইএম
Advertisement