জাতীয়

‘বিআরটিএর দুর্নীতি নিয়ে খুবই বিব্রত ছিলাম’

সড়ক পরিবহন ও সেতুমন্ত্রী ওবায়দুল কাদের বলেছেন, বিআরটিএতে পুরোপুরি ডিজিটালাইজেশন প্রক্রিয়া শুরু হয়েছে। ফলে অনিয়ম দুর্নীতি কমবে। বিআরটিএতে অনিয়ম-দুর্নীতি নিয়ে খুবই বিব্রত ছিলাম।

Advertisement

তিনি বলেন, ‘বিভিন্ন সময় অভিযান চালিয়েছি, ভিজিট করেছি- আগের তুলনায় পরিস্থিতি অনেকটা ভালো হয়েছে। অভিযোগ আগের মতো ততটা নেই। এরপরও ভেতরে সমস্যা আছে। যারা অনিয়ম-দুর্নীতি করছেন তারা সংশোধন হয়ে যান।

বুধবার (২৩ জানুয়ারি) রাজধানীর বনানীতে নবনির্মিত বিআরটিএ ভবনে বাংলাদেশ সড়ক পরিবহন কর্তৃপক্ষ (বিআরটিএ) কর্মকর্তাদের সঙ্গে মতবিনিময় সভায় তিনি এ কথা বলেন।

ওবায়দুল কাদের বলেন, ‘নির্বাচনী অঙ্গীকার-ওয়াদা পূরণ করতে চাই। আপনারা স্বচ্ছতার সঙ্গে নিজ নিজ দায়িত্ব পালন করুন। নতুন সরকারের বার্তা- আমরা দুর্নীতিমুক্ত করতে চাই। বিআরটিতে যেন কেউ হয়রানির শিকার না হয়। একসময় গাড়ি না এনেও বিআরটিএ থেকে গাড়ির ফিটনেস নেয়া যেত। এখন কিছুটা পরিবর্তন হয়েছে। আমি পুরোপুরি পরিবর্তন চাই।’

Advertisement

তিনি আরও বলেন, ‘বিআরটিএর ভেতরে বাহিরে দালালের দৌরাত্ম্য। ভেতরের সঙ্গে যোগসাজশ না থাকলে কীভাবে বাহির থেকে দালালরা ভেতরে এসে কাজ করে। এ বিষয়ে নিজেরা সংশোধন হয়ে যান। বিআরটিএতে যেন আর দালাল না দেখি। বিআরটিএর যেসব কর্মকর্তা দুর্নীতি করেন তারা সংশোধন হয়ে যান- না হলে নিয়ম অনুযায়ী ব্যবস্থা নেয়া হবে। বিআরটিএ যোগ্য জনবল বাড়ানো হবে। প্রতিষ্ঠানটির গতি ফেরাতে যা যা দরকার সবই করা হবে।

তিনি বলেন, ‘দালাল, দুর্নীতি, অনিয়মের কারণে অতীতে বিআরটিএর দুর্নাম ছিল। ভবিষ্যতে এমন হোক, তা চাই না। আমি কমিশনের অংশীদার নই। পত্রিকায় রিপোর্ট হলে দায় এড়াতে পারি না। যাদের কারণে সুনাম নষ্ট হবে, তাদের সংশোধন হতে নির্দেশ দিচ্ছি। না হলে আইন মতে ব্যবস্থা নেয়া হবে।

বিভিন্ন সেতুর টোল আদায়ে যেন বিশৃঙ্খলা না হয়, সে বিষয়ে নির্দেশ দিয়ে মন্ত্রী বলেন, ‘টোল আদায়ে অনিয়ম দূর করতে হবে। অনিয়ম দূর করতে সহজ উপায় খোঁজারও নির্দেশ দেন তিনি।’

সভায় বাংলাদেশ সড়ক পরিবহন কর্তৃপক্ষের ঊর্ধ্বতন কর্মকর্তারা উপস্থিত ছিলেন।

Advertisement

এএস/এএইচ/জেআইএম/এসজি