ভারত-বাংলাদেশের ত্রিপুরা সীমান্ত থেকে নারী শিশুসহ ৩১ রোহিঙ্গাকে গ্রেফতার করা হয়েছে। মঙ্গলবার পশ্চিম ত্রিপুরার একটি আদালত তাদের ১৪ দিনের জেল হেফাজতে পাঠিয়েছে। চারদিন ধরে তারা সীমান্তের জিরো পয়েন্টে আটকা পড়ে ছিলেন। খবর পার্স ট্যুডে।
Advertisement
গত ১৮ জানুয়ারি থেকে ভারত-বাংলাদেশের ত্রিপুরা সীমান্তের নোম্যানসল্যান্ডে ৬ পুরুষ, ৯ নারী ও ১৬ শিশুসহ রোহিঙ্গারা আটকে ছিলেন। কোনো দেশই তাদেরকে স্বীকার করতে চায়নি। বিজিবির দাবি ছিল তারা ভারত থেকে এসেছে। অপরদিকে বিএসএফ তাদেরকে ভারত থেকে বাংলাদেশে ঠেলে দিয়েছে। উভয়পক্ষের মধ্যে কয়েকবার পতাকা বৈঠক করেও কোনো ফল হয়নি।
বিএসএফের ডিআইজি ব্রিজেশ কুমার কঠোরভাবে বিজিবির দাবিকে ভিত্তিহীন বলে উড়িয়ে দিয়ে তা প্রত্যাখ্যান করেছিলেন। বিএসএফের উপ-মহাপরিদর্শক সি এল বেলওয়া বলেন, রোহিঙ্গারা বাংলাদেশ থেকে ভারতে আসার চেষ্টা করলে আমরা তাদেরকে বাধা দিয়েছি। আমরা মানবিক কারণে তাদেরকে খাওয়ার পানি ও অন্যান্য প্রয়োজনীয় সামগ্রী দিয়েছি।
চারদিন ধরে প্রচণ্ড শীতের মধ্যে খোলা আকাশের নীচে অসহায় অবস্থায় থাকার পরে অবশেষে আমতলি থানা এলাকার রায়েরমুড়া সীমান্ত থেকে বিএসএফ তাদেরকে আটক করে আমতলি থানায় হস্তান্তর করে। সেখান থেকে তাদেরকে পশ্চিম ত্রিপুরার স্থানীয় এক আদালতে তোলা হলে বিচারক ১৪ দিনের জেল হেফাজতের নির্দেশ দেন।
Advertisement
গ্রেফতার হওয়া আব্দুল সুকুর নামের এক রোহিঙ্গা গণমাধ্যমকে বলেন, তারা ট্রেনে চেপে জম্মু-কাশ্মির থেকে ত্রিপুরা পৌঁছান। সীমান্ত দিয়ে বাংলাদেশ ঢোকার চেষ্টা করলে বিজিবি তাদের আটক করে ফেরত পাঠিয়ে দেয়।
তিনি বলেন, ‘জম্মু-কাশ্মির থেকে রোহিঙ্গাদের জোর করে ফেরত পাঠানো হয়েছে। সরকার এবং ওখানকার লোকজন বলেছে আমরা যেন জম্মু-কাশ্মির খালি করে দেই। সে কারণে আমরা বাংলাদেশে যাওয়ার চেষ্টা করছিলাম।’
শাজিদা বেগম নামে এক রোহিঙ্গা নারী বলেন, গত কয়েকদিনে কোনও ওষুধ না পেয়ে তার বাচ্চা অসুস্থ হয়ে পড়েছে।
শাহজাহান নামের এক রোহিঙ্গা বলেন, ‘জাতিসংঘের দেয়া আমাদের রিফিউজি কার্ড রয়েছে। কিন্তু ওই কার্ড বিজিবি ও বিএসএফ মিলে কেড়ে নিয়েছে। আমরা শুধু নিরাপদে বাঁচতে চাই।’
Advertisement
টিটিএন/পিআর