ময়মনসিংহে শহীদ সৈয়দ নজরুল ইসলাম কলেজের সহকারী অধ্যাপক শেখ মো. শরিফুল আলমকে ট্রাফিক পুলিশ মারধর করায় বিক্ষোভ ও থানায় হামলা চালিয়ে ভাঙচুর করেছে কলেজের শিক্ষার্থীরা। এ সময় তারা পুলিশের সঙ্গে সংঘর্ষে জড়ালে রাবার বুলেট, টিয়ার সেল ও লাঠিচার্জ করে পুলিশ। এতে পুলিশ ও শিক্ষার্থীসহ ১৫ জন আহত হয়েছেন। আহতদের ময়মনসিংহ মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে ভর্তি করা হয়েছে।
Advertisement
বুধবার সকালে শহরের শহীদ সৈয়দ নজরুল ইসলাম কলেজের সহকারী অধ্যাপক শেখ মো. শরিফুল আলমের গাড়ির সঙ্গে একটি অটোরিকশার ধাক্কা লাগে। এতে রাস্তায় প্রচণ্ড জ্যামের সৃষ্টি হয়। পরে ট্রাফিক পুলিশ এসে ঘটনার মধ্যস্থতা করতে চাইলে ওই শিক্ষকের সঙ্গে ট্রাফিক পুলিশের বাকবিতণ্ডা হয়। এক পর্যায়ে ওই পুলিশ সদস্য শিক্ষককে মারধর ও আটক করে পুলিশ ফাঁড়িতে নিয়ে যান।
এ ঘটনা কলেজের শিক্ষক-শিক্ষার্থীদের মাঝে ছড়িয়ে পড়লে শিক্ষার্থীরা বিক্ষোভ মিছিল করে শহরের বিভিন্ন পয়েন্টে বেশ কয়েকটি অটোরিকশা ভাঙচুর করে। পরে বিক্ষুব্ধ শিক্ষার্থীরা কোতোয়ালি মডেল থানা ও ২নং পুলিশ ফাঁড়িতে হামলা চালিয়ে ভাঙচুর করে। পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে আনতে লাঠিচার্জ, রাবার বুলেট ও টিয়ার সেল নিক্ষেপ করে পুলিশ। এ সময় দু’পক্ষের সংঘর্ষে পুলিশ ও শিক্ষার্থীসহ ১৫ জন আহত হন।
আহত শিক্ষক শেখ মো. শরিফুল আলম বলেন, ওই অটোরিকাশার চালকের সঙ্গে আমার বাকবিতণ্ডার সময় যানজট সৃষ্টি হলে ওই ট্রাফিক পুলিশ এসে আমাকে ধাক্কা দেয়। আমি শিক্ষক পরিচয় দিয়ে তাকে ধাক্কা দেয়ার কারণ জানতে চাইলে সে আবারও আমাকে ধাক্কা দেয়। পরে আমিও তাকে ধাক্কা দিলে কয়েকজন পুলিশ এসে আমাকে মারধর করে ২নং পুলিশ ফাঁড়িতে নিয়ে যায়। সেখানেও আমাকে গালমন্দ করে। পরে কলেজের শিক্ষক-শিক্ষার্থীরা আমাকে ছাড়িয়ে নিয়ে আসে।
Advertisement
জেলা পুলিশ সুপার শাহ আবিদ হোসেন বলেন, ট্রাফিক পুলিশের সঙ্গে কলেজ শিক্ষকের বাকবিতণ্ডা ও মারধরের গুজবে শিক্ষার্থীরা বেশ কিছু যানবাহন ভাঙচুর এবং ফাঁড়িতে হামলা করে। এক পর্যায়ে পুলিশের সঙ্গে শিক্ষার্থীদের সংঘর্ষ হয়। পরে পুলিশ ফাঁকা গুলি ছোড়ে। এতে বেশ কয়েকজন শিক্ষার্থী ও পুলিশ আহত হয়। তবে বর্তমানে পরিস্থিতি শান্ত রয়েছে।
জেলা প্রশাসক ও কলেজ গভর্নিং বডির সভাপতি ড. সুভাষ চন্দ্র বিশ্বাস বলেন, শিক্ষককে মারধরের ঘটনা শুনে আমি তাৎক্ষণিক কলেজে যাই। বিষয়টি তদন্ত করা হচ্ছে।
রকিবুল হাসান রুবেল/এফএ/এমকেএইচ
Advertisement