চেক প্রতারণার মামলায় তিন বছরের সাজাপ্রাপ্ত আসামি ঠিকাদার খোরশেদ আলম দুই বছর পলাতক থাকার পর আদালতে এসে আত্মসমর্পণ করেছেন। সোমবার দুপুরে তিনি আত্মসমর্পণ করলে নীলফামারীর জুডিশিয়াল ম্যাজিস্ট্রেট আদালতের বিচারক মো. সামিউল ইসলাম তাকে কারাগারে পাঠান।মামলার সূত্র মতে, রংপুরের আলম কনস্ট্রাকশন নামের ঠিকাদারী প্রতিষ্ঠানের মালিক খোরশেদ আলম ২০০৬ সালের ৪ জুন নীলফামারীর উত্তরা মিলস নামে একটি ব্যবসায়িক প্রতিষ্ঠানে ২৮০ ড্রাম বিটুমিন ক্রয় করে মূল্য পরিশোধের জন্য রংপুরের ক্রেডিট অ্যান্ড কমার্স ব্যাংক লিমিটেডের একটি চেক দেন। উত্তরা মিলস এর সত্বাধিকারী সুজিত কুমার চক্রবর্তী ওই চেকে ব্যাংক হিসাব থেকে বার বার চেষ্টা করে টাকা তুলতে ব্যর্থ হন। এরপর ২০০৯ সালের তিনি চেক জালিয়াতির একটি মামলা নীলফামারীর আদালতে দায়ের করেন। আদালতের বিচারক ২০১৩ সালের ৫ মে চেক প্রতারণার মামলায় তিন বছরের সশ্রম কারাদণ্ড, পাঁচ হাজার টাকা জরিমানা, অনাদায়ে তিন মাসের বিনাশ্রম কারাদণ্ড প্রদান করেছিলেন। কিন্তু রায় প্রদানের সময় থেকে ওই ঠিকাদার পলাতক ছিলেন। তার নামে গ্রেফতারী পরোয়ানা জারি করা হয়েছিলো। দীর্ঘ দুই বছর পলাতক থাকার পর ঠিকাদার নিজেই আদালতে এসে আত্মসমর্পণ করলে আদালত তাকে কারাগারে পাঠিয়ে দেন। বাদী পক্ষের কৌশলী মোহম্মদ হুজুর আলী বিষয়টি জাগো নিউজকে নিশ্চিত করেন।জাহেদুল ইসলাম/এমজেড/আরআইপি
Advertisement