দেশজুড়ে

অটোস্ট্যান্ড নিয়ে যুবলীগের দু’পক্ষের সংঘর্ষে কর্মী নিহত

পাবনা শহরের পৈলানপুরে অটোবাইক স্ট্যান্ডের আধিপত্য নিয়ে দু’গ্রুপের সংঘর্ষে প্রতিপক্ষের হামলায় অরিন নামের এক যুবলীগ কর্মী নিহত হয়েছেন। এ ঘটনায় আহত হয়েছেন ১০ জন। আহতদের মধ্যে গুরুতর অবস্থায় ৩ জনকে পাবনা জেনারেল হাসপাতালে ভর্তি করা হয়।

Advertisement

তাদের মধ্যে যুবলীগ কর্মী অনিককে (২৮) রাজশাহী মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে নেয়ার পথে পথিমধ্যে তার মৃত্যু হয়। অনিক পাবনা শহরের পৈলানপুর মহল্লার হাসান আলী ভুট্টুর ছেলে। নিহত অনিক অটোবাইক স্ট্যান্ডের মাস্টার পদে দায়িত্ব পালন করতো বলে পুলিশ জানায়। পাবনা সদর থানা পুলিশের ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা ওবাইদুল হক জানান, জেলা আওয়ামী লীগের উপপ্রচার সম্পাদক হাজী শরিফ ও বঙ্গবন্ধু ফাউন্ডেশনের সম্পাদক ও যুবলীগ নেতা আব্দুল্লাহ আল মামুন গ্রুপের মধ্যে অটোবাইক স্ট্যান্ডের আধিপত্য নিয়ে দীর্ঘদিন ধরে বিরোধ চলছিল। এরই জের ধরে মঙ্গলবার দুপুর দেড়টার দিকে এ সংঘর্ষের ঘটনা ঘটে।

প্রত্যক্ষদর্শীরা জানায়, দু’গ্রুপের সংঘর্ষে শহরের রুপকথা রোড এবং পৈলানপুর মোড় রণক্ষেত্রে পরিণত হয়। এসময় চারদিকে আতঙ্ক ছড়িয়ে পড়ে। আতঙ্কে মুহূর্তের মধ্যে এলাকার সব দোকানপাট বন্ধ হয়ে যায়। মানুষ নিরাপদ আশ্রয়ের জন্য দিগবিদিক ছুটোছুটি করে। এসময় পৈলানপুরে ইছামতি নদীপাড়ে প্রতিষ্ঠিত হাজি শরিফের অফিস ইয়াকুব আলী স্মৃতি সংঘে ব্যাপক ভাঙচুর করা হয়।

হাজি শরিফ অভিযোগ করেন, তার অফিসে রক্ষিত বঙ্গবন্ধু ও প্রধান মন্ত্রী শেখ হাসিনার ছবি এবং আসবাবপত্র ভাঙচুরসহ ৫ কর্মী সমর্থককে আহত করা হয়। আহত যুবলীগ কর্মী অনিক পরে হাসাপাতালে নেয়ার পথে মারা যায়।

Advertisement

প্রতিপক্ষ মামুন গ্রুপের প্রধান আব্দুল্লাহ আল মামুন জানান, প্রথমে হাজি শরিফ গ্রুপের ছেলেরা তার সমর্থক যুবলীগ কর্মী আল-আমিনকে ছুরিকাঘাতসহ ৫ জনকে আহত করে। পাবনা থানা পুলিশের ওসি (তদন্ত) আসাদুজ্জামান জানান, পুলিশ খবর পেয়ে ঘটনাস্থলে গিয়ে পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে আনে। এলাকায় অতিরিক্ত পুলিশ মোতায়েন রয়েছে। এখন পরিস্থিতি শান্ত।

তিনি আরও বলেন, পুলিশ ঘটনা তদন্ত করে আইনগত ব্যবস্থা নেবে। আইনের হাত থেকে কেউ রেহাই পাবে না। এ দিকে এ ঘটনার জের ধরে ওই এলাকায় উত্তেজনা বিরাজ করছে। এ ঘটনায় কোনো পক্ষই থানায় মামলা দায়ের করেননি। আহত অন্যদের ক্লিনিকে ভর্তি করা হয়েছে বলে পুলিশ জানায়।

একে জামান/এমএএস/এমএস

Advertisement