জাতীয়

দোহাজারী- ঘুনদুম রেললাইন দ্রুত বাস্তবায়নের উদ্যোগ

দোহাজারী থেকে রামু হয়ে কক্সবাজার এবং রামু থেকে ঘুনদুম পর্যন্ত সিঙ্গেল রেললাইন ডুয়েল গেজ ট্র্যাক নির্মাণ প্রকল্পের কাজ দ্রুত বাস্তবায়নের উদ্যোগ নেয়া হয়েছে। প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার বিশেষ দশ প্রকল্পের এটি অন্যতম।

Advertisement

নতুন সরকারের সরকারি ক্রয়-সংক্রান্ত মন্ত্রিসভা কমিটির প্রথম বৈঠকেই প্রকল্পটি দ্রুত শেষ করার লক্ষ্যে পরামর্শক নিয়োগের বিষয়টি অনুমোদন পেতে যাচ্ছে বলে সংশ্লিষ্ট সূত্রে জানা গেছে।

বুধবার (২৩ জানুয়ারি) নবনির্বাচিত অর্থমন্ত্রী আ হ ম মুস্তফা কামালের সভাপতিত্বে সচিবালয়ের মন্ত্রিপরিষদ বিভাগের সভাকক্ষে প্রথমবারের মতো সরকারি ক্রয় ও অর্থনৈতিক বিষয়-সংক্রান্ত মন্ত্রিসভা কমিটির বৈঠক অনুষ্ঠিত হবে। জিওবি ও এশীয় উন্নয়ন ব্যাংকের অর্থায়নে এ প্রকল্প ২০২২ সালের মধ্যে শেষ করার লক্ষ্যমাত্রা নির্ধারণ করেছে সরকার।

জানা গেছে, এ প্রকল্প দুই ধাপে বাস্তবায়ন হবে। প্রথম ধাপে দোহাজারী থেকে কক্সবাজার পর্যন্ত এবং দ্বিতীয় ধাপে রামু থেকে বান্দরবানের নাইক্ষ্যংছড়ির ঘুনদুম পর্যন্ত রেললাইন নির্মাণ করা হবে। এটি নির্মাণে ব্যয় ধরা হয়েছে ১৮ হাজার ৩৪ কোটি টাকা। পুরো প্রকল্পটি বাস্তবায়ন হলে কক্সবাজারবাসীর দীর্ঘদিনের স্বপ্ন পূরণ হবে। ডুয়েল গেজের রেললাইনটি স্থাপনের মধ্য দিয়ে পাল্টে যাবে এখানকার অর্থনৈতিক চিত্র। আমূল পরিবর্তন ঘটবে যোগাযোগ ব্যবস্থায়। রেল মন্ত্রণালয়ের এক ঊর্ধ্বতন কর্মকতা বলেন, ‘দোহাজারী থেকে রামু হয়ে কক্সবাজার এবং রামু থেকে ঘুনদুম পর্যন্ত সিঙ্গেল লাইন ডুয়েল গেজ ট্র্যাক নির্মাণ প্রকল্প দ্রুত বাস্তবায়নে প্রধানমন্ত্রীর কার্যালয়ের নির্দেশ রয়েছে। দশ মেগা প্রকল্পের মধ্যে এটি অন্যতম। এডিবির অর্থায়নে লক্ষ্যমাত্রা অনুযায়ী ২০২২ সালের মধ্যে প্রকল্পটি শেষ করা সম্ভব। এ কারণে ক্রয়-সংক্রান্ত মন্ত্রিসভা কমিটির প্রথম বৈঠকেই প্রকল্পটি রাখা হয়েছে। নতুন অর্থমন্ত্রীর সভাপতিত্বে প্রকল্পটি বাস্তবায়নে পরামর্শক নিয়োগের বিষয়টি অনুমোদন দেয়া হবে বলে আশা করা হচ্ছে।’

Advertisement

প্রসঙ্গত, দোহাজারী থেকে রামু হয়ে কক্সবাজার এবং রামু থেকে ঘুনদুম পর্যন্ত রেললাইন নির্মাণ প্রকল্পের ডিপিপি একনেকে অনুমোদন পায় ২০১০ সালের ৬ জুলাই। ২০১১ সালে প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা কক্সবাজারবাসীর স্বপ্নের রেলপথের এই মেগা প্রকল্পের উদ্বোধন করেন। গত ১৬ সেপ্টেম্বর দেশি-বিদেশি তিনটি কোম্পানির সঙ্গে রেলপথ নির্মাণের চুক্তি স্বাক্ষর করে রেলওয়ে। এ প্রকল্পের জন্য প্রায় দেড় হাজার একর জমি অধিগ্রহণ করা হবে।

এমইউএইচ/এএইচ/এমএস