নৌপরিবহন প্রতিমন্ত্রী খালিদ মাহমুদ চৌধুরী বলেছেন, প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার নেতৃত্বে বাংলাদেশ ঘুরে দাঁড়িয়েছে। এখন আমাদের উন্নয়নের লক্ষ্যে কাজ করতে হবে। বর্তমান সময়টাকে কাজে লাগাতে হবে, কোনোভাবেই এ সময়কে অবহেলা করা যাবে না।
Advertisement
তিনি বলেন, আগামী প্রজন্মের জন্য কাজগুলো এগিয়ে নিতে হবে। প্রধানমন্ত্রী উন্নয়নের লক্ষ্যমাত্রা নির্ধারণ করেছেন, সে অনুযায়ী সবাইকে কাজ করতে হবে।
ঢাকায় বাংলাদেশ স্থলবন্দর কর্তৃপক্ষের অফিসে কর্মকর্তা-কর্মচারীদের সঙ্গে মঙ্গলবার মতবিনিময়ের সময় নৌপরিবহন প্রতিমন্ত্রী এসব কথা বলেন।
খালিদ মাহমুদ চৌধুরী বলেন, স্থলবন্দরগুলো দেশের অর্থনৈতিক সমৃদ্ধিতে গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা পালন করছে। এগুলোকে আরও বিকশিত ও বিস্তৃত করতে কার্যকর ভূমিকা পালন করতে হবে। স্থলবন্দরগুলোর মাধ্যমে আমদানি-রফতানির পাশাপাশি বাণিজ্যিক ও আঞ্চলিক সম্পর্ক উন্নয়ন, জোরদার ও সম্প্রসারণ করা হচ্ছে। স্থলপথে আমদানি-রফতানি কার্যক্রম সহজতর করার লক্ষে স্থলবন্দরগুলোর উন্নয়ন কার্যক্রম চলমান রয়েছে।
Advertisement
সভায় জানানো হয়, ২০০১ সালে প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা ১২টি স্থলবন্দরের গেজেট করেন। এর মধ্যে দুটি সচল ছিল। ২০০৯ সালে প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা ক্ষমতায় আসার পর নতুন করে ১১টি স্থলবন্দর গেজেটভুক্ত করা হয়। বর্তমানে ২৩টি স্থলবন্দর রয়েছে। এর মধ্যে ১২টি স্থলবন্দর যথা- বেনাপোল, ভোমরা, বুড়িমারী, আখাউড়া, নাকুগাঁও, তামাবিল, সোনাহাট, সোনামসজিদ, হিলি, টেকনাফ, বিবিরবাজার, তামাবিল ও বাংলাবান্ধা চালু রয়েছে। বিলোনিয়া, গোবড়াকুড়া-কড়ইতলী, রামগড়, চিলাহাটি, টেগামুখ, দৌলতগঞ্জ, শেওলা, ধানুয়াকামালপুর, বাল্লা, দর্শনা ও বিরল স্থলবন্দরগুলোর উন্নয়ন প্রক্রিয়াধীন।
সভায় জানানো হয় যে, স্থলবন্দরগুলোর কার্যক্রম আরও গতিশীল ও আধুনিকায়নরে লক্ষে ২৯ জানুয়ারি ঢাকায় আগারগাঁওয়ে স্থলবন্দর কর্তৃপক্ষের নিজস্ব জমিতে স্থলবন্দরের প্রধান কার্যালয়ের ভিত্তিপ্রস্তর স্থাপন করা হবে।
সভায় মন্ত্রণালয়ের সচিব মো. আবদুস সামাদ ও বাংলাদেশ স্থলবন্দর কর্তৃপক্ষের চেয়ারম্যান তপন কুমার চক্রবর্তী বক্তব্য দেন।
এফএইচএস/জেডএ/পিআর
Advertisement