একই দলে অ্যালেক্স হেলস, ক্রিস গেইল আর এবি ডি ভিলিয়ার্স। তারা একসঙ্গে যেদিন জ্বলে উঠবেন, সেদিন কি হবে, ভাবা যায়! ভাবতে হবে না। ঢাকায় মিরপুরের শেরে বাংলা ক্রিকেট স্টেডিয়ামে আগত দর্শকরা সামনে থেকেই এই বিনোদনটা উপভোগ করতে পারলেন। রংপুর রাইডার্সের এই তিন তারকা একই দিনে জ্বলে উঠলেন, ব্যাট হাতে আগুন ঝড়ালেন।
Advertisement
যে আগুনে পুড়ে ছাই হলো মাহমুদউল্লাহ রিয়াদের খুলনা টাইটান্স। ১৮২ রানের বড় লক্ষ্য দিয়েও হেলস-গেইল আর ডি ভিলিয়ার্সের তাণ্ডবের কারণে জয় তুলে নিতে পারেনি তারা। মাশরাফি বিন মর্তুজার রংপুর ম্যাচটা জিতেছে ৩ বল আর ৬ উইকেট হাতে রেখে।
বড় লক্ষ্য তাড়া করতে নেমে ওপেনিংয়েই দলকে দারুণ সূচনা এনে দেন অ্যালেক্স হেলস আর ক্রিস গেইল। গেইল অবশ্য পাওয়ার প্লের প্রথম ছয় ওভার একেবারেই মারেননি। সঙ্গী হেলসকে স্ট্রাইক দিয়েছেন বারবার। ৬ ওভারে রংপুর তুলে ৫৮ রান। এর মধ্যে হেলসেরই ছিল ৫৪, গেইলের মাত্র ৪।
অষ্টম ওভারে এসে ছক্কা শুরু করেন গেইল। ইয়াসির শাহর ওই ওভারের প্রথম দুই বলে দুই ছক্কা হাঁকান ক্যারিবীয় ব্যাটিং দানব। ওই ওভারেই চতুর্থ বলে বিধ্বংসী হেলসকে বোল্ড করেন ইয়াসির। ২৯ বলে ৮ বাউন্ডারি আর ৩ ছক্কায় হেলসের ব্যাট থেকে আসে ৫৫ রান।
Advertisement
এরপর নেমে তাণ্ডব শুরু করেন ডি ভিলিয়ার্স। মাত্র ২৫ বলে ৩ বাউন্ডারি আর ৪ ছক্কায় ৪১ রান করা ভিলিয়ার্সকে এলবিডব্লিউ করে ঝড় কিছুটা থামান মাহমুদউল্লাহ।
কিন্তু গেইল তো রয়েই গিয়েছিলেন। বাকি সময়টায় তাণ্ডব চালানোর কাজটা সেরেছেন তিনি। ৩৯ বলে ২ বাউন্ডারি আর ৫ ছক্কায় ৫৫ রানে থাকা গেইলকে শেষ পর্যন্ত ফেরান জুনায়েদ খান। তবে ততক্ষণে রংপুরের জয় অনেকটাই নিশ্চিত হয়ে গেছে।
গেইল আউট হওয়ার পর শেষ ৮ বলে ১১ রান দরকার ছিল রংপুরের, শেষ ওভারে দরকার ছিল ৬ রান। ইয়াসির শাহর ওই ওভারের প্রথম বলে ডাউন দ্য উইকেট খেলতে গিয়ে আউট হয়ে যান মোহাম্মদ মিঠুন (১৫)। তবে রাইলি রুশো মাথা গরম করেননি। ওভারের তৃতীয় বলে ছক্কা হাঁকিয়ে ম্যাচ শেষ করে দেন তিনি (৩ বলে ১০)।
এর আগে ৬ উইকেটে ১৮১ রানের লড়াকু সংগ্রহ গড়েছিল খুলনা টাইটান্স। নাজমুল হোসেন শান্ত করেন ৩৫ বলে ৪৮। এছাড়া ব্রেন্ডন টেলর ২০ বলে ৩২ আর ডেভিড ওয়েজ ১৫ বলে খেলেন ৩৫ রানের হার না মানা ইনিংস।
Advertisement
এমএমআর/এমকেএইচ