দ্রুত অর্থনৈতিক অগ্রযাত্রায় দেশের বেসরকারি খাতের ভূমিকা ও ধারাবাহিক জাতীয় প্রবৃদ্ধি অর্জনের গল্প আন্তর্জাতিক সম্মেলনে তুলে ধরল ব্যবসায়ীদের শীর্ষ সংগঠন এফবিসিসিআই।
Advertisement
ভারতের গুজরাটে অনুষ্ঠিত ‘ভাইব্রেন্ট গ্লোবাল সামিট ২০১৯’-এ সংগঠনটির সিনিয়র সহ-সভাপতি শেখ ফজলে ফাহিম এই গল্প শোনান। সম্প্রতি অনুষ্ঠিত তিন দিনব্যাপী এ সম্মেলনের উদ্বোধন করেন ভারতের প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদি। অনুষ্ঠানে পাঁচটি দেশের প্রধানমন্ত্রী ও ১৫টি দেশের মন্ত্রীরা উপস্থিত ছিলেন। সার্ক, আসিয়ান, ইউরোপীয় ইউনিয়ন, অস্ট্রেলিয়া ও আফ্রিকার ২০টি দেশের চেম্বার অব কমার্সের প্রতিনিধিরা সম্মেলনে অংশ নেন।
অংশগ্রহণকারী দেশগুলোর সরকার ও বাণিজ্য সংগঠনগুলোর মধ্যে যোগাযোগ আরও কার্যকর ও গতিশীল হবে বলে আশা প্রকাশ করা হয় সম্মেলনে।
শেখ ফজলে ফাহিম সম্মেলনের তৃতীয় দিনে ‘বাংলাদেশের আর্থ-রাজনৈতিক উন্নয়ন ২০০৯-২০১৮ এবং এফবিসিসিআইয়ের ভিশন ২০৪১’ শীর্ষক প্রবন্ধ উপস্থাপন করেন।
Advertisement
প্রবন্ধে বাংলাদেশের ধারাবাহিক ৭ দশমিক ৬৮ শতাংশ জাতীয় প্রবৃদ্ধি অর্জন এবং প্রযুক্তি ও জ্ঞানভিত্তিক অর্থনীতিতে দেশের তাৎপর্যপূর্ণ রূপান্তরের বিষয়টি উল্লেখ করেন তিনি। এ ছাড়া তিনি দেশে সুষ্ঠু বিনিয়োগ পরিবেশ সৃষ্টির লক্ষে চলমান মেগা প্রকল্পগুলোর বর্ণনা দেন।
বাংলাদেশ শিল্প ও বণিক সমিতি ফেডারেশনের (এফবিসিসিআই) সিনিয়র সহ-সভাপতি সম্মেলনে জানান, অর্থনৈতিক নীতি পরিকল্পনা ও কাঠামো তৈরির লক্ষে এফবিসিসিআই ইকোনমিক ইনস্টিটিউট প্রতিষ্ঠা করার উদ্যোগ নিয়েছে, যা বাণিজ্য ও অর্থনীতি বিষয়ে নীতিগত সহায়তা করবে। এ ইনস্টিটিউটের নলেজ পার্টনার হচ্ছে নীতি পরিকল্পনা ও কাঠামো প্রণয়নের ক্ষেত্রে বিশ্বের নাম করা জ্যাকব অ্যান্ড করডোভা।
তিনি জানান, দেশে মানবসম্পদের বহুমুখী চাহিদা পূরণে দক্ষ জনশক্তি তৈরির লক্ষে ‘এফবিসিসিআই টেকনিক্যাল ও ভোকেশনাল ট্রেনিং ইনস্টিটিউট’ প্রতিষ্ঠা করা হয়েছে। দেশের তাৎপর্যপূর্ণ অর্থনৈতিক অগ্রযাত্রা ও চতুর্থ শিল্প বিপ্লবের পরিপ্রেক্ষিতে নতুন নতুন উদ্ভাবনের প্রয়োজনে বিজ্ঞান, প্রযুক্তি, প্রকৌশল ও গণিতে দক্ষ মানবসম্পদ তৈরির লক্ষে ‘এফবিসিআই ইউনিভার্সিটি’ প্রতিষ্ঠা করা হচ্ছে।
‘ব্যবসা-বাণিজ্য সংক্রান্ত বিভিন্ন বিরোধ দ্রুত নিষ্পত্তির মাধ্যমে ব্যবসা পরিচালনা ব্যয় কমানোর লক্ষে এফবিসিসিআইতে ‘এফবিসিসিআই আরবিট্রেশন সেন্টার’ প্রতিষ্ঠা করা হয়েছে। রাজধানীর অদূরে পূর্বাচলে ‘এফবিসিসিআই আইকনিক টাওয়ার’ নির্মাণ করা হবে, যাতে দেশের ইতিহাস, সমৃদ্ধি ও ভবিষ্যত অগ্রযাত্রার প্রতিফলন থাকবে,’- উল্লেখ করেন ফজলে ফাহিম।
Advertisement
এসআই/জেডএ/পিআর