বিপিএলের চলতি আসরে এখনো পর্যন্ত ব্যাট-বলে সেরা পারফর্মার কে?- টুর্নামেন্টের প্রথম দিন থেকে খোঁজ রাখা যে কেউ এমন প্রশ্নের উত্তরে এক বাক্যে বলবেন চিটাগং ভাইকিংসের দক্ষিণ আফ্রিকান অলরাউন্ডার রবি ফ্রাইলিংকের নাম।
Advertisement
টুর্নামেন্ট শুরুর আগে যে চিটাগং ভাইকিংসের ব্যাপারে আলোচনা ছিল না খুব বেশি, সে চিটাগংই এখন সব দলকে অবাক করে দিয়ে উপহার দিচ্ছে বিস্ময়ের। এখনো পর্যন্ত খেলা ৬ ম্যাচ শেষে তাদের জয় ৫ ম্যাচে। টুর্নামেন্টে এখনো পর্যন্ত সবচেয়ে কম ম্যাচ হেরেছে তারাই। চিটাগংয়ের এই দুর্দান্ত পারফরম্যান্সের পেছনে সবচেয়ে বড় অবদান রয়েছে দক্ষিণ আফ্রিকার ‘দীর্ঘদেহী’ অলরাউন্ডার ফ্রাইলিংকের। এখনো পর্যন্ত চিটাগংয়ের ৫ জয়ের ২ ম্যাচের সেরা খেলোয়াড় ছিলেন অধিনায়ক মুশফিকুর রহীম। বাকি তিন ম্যাচেরই সেরা খেলোয়াড় ছিলেন রবি ফ্রাইলিংক।
টুর্নামেন্টের উদ্বোধনী ম্যাচ থেকেই শুরু ফ্রাইলিংকের ম্যাচ জেতানো পারফরম্যান্সের। যা চলমান রয়েছে চিটাগংয়ের সবশেষ ম্যাচ পর্যন্ত। সোমবার শক্তিশালী ঢাকা ডায়নামাইটসের বিপক্ষে ম্যাচে বল হাতে মাত্র ১৯ রানে ২ উইকেট নেয়ার পর ব্যাট হাতে ১০ বলে ২৫ রানের ঝড়ো ইনিংস খেলে দলকে পৌঁছে দিয়েছেন জয়ের বন্দরে।
এছাড়া সবমিলিয়ে এখনো পর্যন্ত ৫ ম্যাচ খেলে ফ্রাইলিংক উইকেট শিকার করেছেন ১১টি, ইকোনমি রেট ৭.৩৬। ব্যাট হাতে ১১৩ গড়ে ও ১৮২.২৫ স্ট্রাইকরেটে করেছেন ১১৩ রান।
Advertisement
অথচ তাকে ছাড়াই সিলেট আন্তর্জাতিক ক্রিকেট স্টেডিয়ামে নিজেদের শেষ ম্যাচটি খেলেছে চিটাগং ভাইকিংস। খুলনা টাইটানসের বিপক্ষে সে ম্যাচে জিততে সমস্যা না হলেও, দলের সেরা পারফর্মারকে বাইরে রেখে খেলতে নামায় চোখ কপালে উঠেছিল সবার। দলের পক্ষ থেকে জানানো হয়েছিলো অসুস্থতার কারণে খেলেননি ফ্রাইলিংক।
কিন্তু তার অসুস্থতা কি ধরনের ছিলো তা জানা গেলো সোমবারের ম্যাচ শেষে। ম্যাচসেরার পুরস্কার গ্রহণ করতে এসে পুরস্কার বিতরণী অনুষ্ঠানে ফ্রাইলিংক জানিয়েছেন তার অসুস্থতার ধরন।
তিনি বলেন, ‘আসলে মাকড়সার কামড়ে অসুস্থ হয়ে পড়েছিলাম। তাই গত ম্যাচ খেলা হয়নি। আমি সৌভাগ্যবান যে এই ম্যাচের আগে ফিট হতে পারছি। হয়তো ব্যাটিং করতাম না, কিন্তু এ ছাড়া আর কোনো উপায় ছিলো না আমাদের।’
এসময় শক্তিশালী ঢাকাকে মাত্র ১৩৯ রানে বেঁধে রাখতে পারায় বোলিং ডিপার্টমেন্টের প্রশংসা করেন ফ্রাইলিংক। সাথে এও জানিয়ে দেন যে এখনো পর্যন্ত নিজেদের সেরা খেলাটি খেলতে পারেনি তারা।
Advertisement
ফ্রাইলিংকের ভাষ্যে, ‘ঢাকার মতো দলকে ১৪০ রানের নিচে আটকে রাখাটা দারুণ ব্যাপার ছিলো। তারা চ্যাম্পিয়ন দল। আমাদের বোলাররা ভালো করেছে। তারা সবসময় শিখতে চায়, আরো ভালো করতে চায়। তবে আমরা এখনো আমাদের সেরা খেলা খেলতে পারিনি, হয়তো নিজেদের ৮০ শতাংশ দিতে পেরেছি মাঠে।’
এসএএস/জেআইএম