দেশজুড়ে

মিয়ানমারে কোনো ইয়াবার কারখানা নেই : দাবি বিজিপির

মিয়ানমারের বর্ডার গার্ড পুলিশ (বিজিপি) ও বর্ডার গার্ড বাংলাদেশের (বিজিবি) মধ্যে রিজিয়ন কমান্ডার পর্যায়ের বৈঠক অনুষ্ঠিত হয়েছে। সোমবার মিয়ানমারের মংডু শহরে এই বৈঠক অনুষ্ঠিত হয়।

Advertisement

সোমবার সকাল ১০টায় টেকনাফ ট্র্রানজিট ঘাট দিয়ে বিজিবির রিজিয়ন কমান্ডার ব্রিগেডিয়ার জেনারেল আইনুল মোর্শেদ খান পাঠানের নেতৃত্বে ১০ সদস্যের প্রতিনিধি দল মিয়ানমারের মংডুর উদ্দেশে রওনা দেন। বৈঠক শেষে বিজিবি প্রতিনিধি দল বিকেল ৫টায় টেকনাফ ফিরে আসে।

মিয়ানমার বিজিপির পক্ষ থেকে বৈঠকে নেতৃত্ব দেন ব্রিগেডিয়ার জেনারেল মিন্টু।

টেকনাফ ট্রানজিট ঘাটে ফিরে বিজিবির রিজিয়ন কমান্ডার ব্রিগেডিয়ার জেনারেল আইনুল মোর্শেদ খান পাঠান সাংবাদিকদের ব্রিফ করেন। তিনি বলেন, বৈঠকে মাদক এবং সীমান্তের গুরুত্বপূর্ণ বিষয় নিয়ে আলোচনা হয়েছে। মিয়ানমার থেকে ইয়াবা পাচার নিয়ে তাদের দৃষ্টি আকর্ষণ করেছি, তারাও সেদেশে ইয়াবার বিরুদ্ধে কঠোর অবস্থান নিয়েছে বলে আমাদের জানিয়েছে। গত তিন মাসে তারা আসামিসহ ইয়াবার ৫/৭টি চালান আটক করেছে । বৈঠকে বিজিবির পক্ষ থেকে নাইক্ষ্যংছড়ির তুমব্রু শূন্য রেখায় ব্রিজ নির্মাণ বিষয়টি তুলে ধরলে তারা বিষয়টি নিয়ে দুঃখ প্রকাশ করেন। বিজিপির পক্ষ থেকে দাবি করা হয় তারা সেখানে ব্রিজ নির্মাণ করছেন না, শুধু পিলার দিয়ে কাঁটাতারের বেড়াটা চলমান করা হচ্ছে।

Advertisement

ব্রিগেডিয়ার জেনারেল আইনুল মোর্শেদ খান পাঠান আরও বলেন, এ বৈঠকে মিয়ানমারে ইয়াবা কারখানার বিষয়ে বলা হলে তারা মিয়ানমারে কোনো কারখানা নেই বলে দাবি করেন। দুই পক্ষের বৈঠকে মিয়ানমারের জেলে আটক বাংলাদেশি জেলেদের ফিরিয়ে আনার ব্যাপারে আলোচনা হয়েছে। এছাড়া সীমান্তের আরও বেশ কয়েকটি গুরুত্বপূর্ণ বিষয়ে ফলপ্রসূ আলোচনা হয়েছে।

ইয়াবা প্রসঙ্গে তিনি বলেন, মাদকের বিরুদ্ধে প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা জিরো টলারেন্স ঘোষণা করেছেন। সীমান্তে মাদকের পাচার রোধে বিজিবি কঠোর অবস্থানে থাকবে।

সায়ীদ আলমগীর/আরএআর/আরআইপি

Advertisement