জাতীয়

ইজতেমার তারিখ নির্ধারণ হয়নি, ফের সভা বুধবার

তাবলিগ জামাতের বিবাদমান দুই পক্ষকে ডেকে সরকার সভায় বসলেও এক পক্ষ না আসায় বিশ্ব ইজতেমার অভিন্ন তারিখ নির্ধারণ করা যায়নি। তাই আগামী বুধবার ফের সভা ডাকা হয়েছে।

Advertisement

সোমবার বিকেলে স্বরাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের সভাকক্ষে তাবলিগের দিল্লি মারকাজের মাওলানা মোহাম্মদ সাদ কান্ধলভির অনুসারীদের সঙ্গে সভার পর স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী আসাদুজ্জামান খান কামাল সাংবাদিকদের এ তথ্য জানান। মাওলানা সাদ বিরোধী মাওলানা জুবায়ের আহমেদ পন্থীরা উপস্থিত ছিলেন না।

স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী ছাড়াও সভায় ধর্ম প্রতিমন্ত্রী শেখ মোহাম্মদ আবদুল্লাহ এবং সাদপন্থী কাকরাইল মারকাজের শূরা সদস্য ওয়াসিফুল ইসলাম উপস্থিত ছিলেন।

স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী বলেন, ‘আমরা বুধবার সকাল সাড়ে ১০টায় উভয়পক্ষ নিয়ে একসঙ্গে বসবো এবং তাদের ইজতেমার তারিখ ঠিক করতে বলবো। আরেকটি পক্ষ সময় জানতে না পারায় আসতে পারেনি।’

Advertisement

ধর্ম প্রতিমন্ত্রী বলেন, ‘সরকারের পক্ষ থেকে একটি দাবি আছে, তাহলে একসঙ্গে ইজতেমা হতে হবে।’

সভা শেষে সাদপন্থী সৈয়দ আশরাফ আলী সাংবাদিকদের বলেন, ‘আমরা একসঙ্গে ইজতেমা করতে রাজি আছি। তবে আমাদের কিছু দাবি রয়েছে।’

যদিও আশরাফ আলী এরপর বলেন, ‘এখন যে অবস্থা দাঁড়িয়েছে, তাতে একসঙ্গে ইজতেমা হওয়ার সম্ভাবনা দেখছি না।’

তাদের দাবির মধ্যে রয়েছে- আগের মতো নিজামুদ্দিন (নিজামুদ্দিন আউলিয়া) মারকাজের তত্ত্বাবধানে ইজতেমা অনুষ্ঠিত হতে হবে। পছন্দমতো বিদেশি মেহমান আনা ও প্রথম ইজতেমা করার সুযোগ দিতে হবে।

Advertisement

তাবলিগ জামাতের দিল্লির আমির মাওলানা সাদ কান্ধলভীর বিভিন্ন সময়ে দেখা বক্তব্য নিয়ে দু’ভাগে বিভক্ত হয়ে পড়ে বাংলাদেশের তাবলিগ জামাত। আলেমরা সাদ বিরোধী ও সাদপন্থী দুই গ্রুপে বিভক্ত হয়ে বিবাদে জড়িয়ে পড়ে। এই বিভক্তি চরম আকার ধারণ করে গত বছরের জানুয়ারিতে বিশ্ব ইজতেমার সময় মাওলানা সাদের বাংলাদেশে আসার পর। বিরোধীদের বাধার মুখে ইজতেমায় অংশ না নিয়েই মাওলানা সাদকে ওই সময় বাংলাদেশ ছাড়তে হয়েছিল।

গত ১ ডিসেম্বর ইজতেমা মাঠে দুই পক্ষের হতাহতের ঘটনাও ঘটে। টঙ্গীতে তুরাগ নদীর তীরে বিশ্বের মুসলমানদের দ্বিতীয় বড় ধর্মীয় সম্মেলন ‘বিশ্ব ইজতেমা’র আয়োজনও করে আসছিল তাবলিগ জামাত। দুই পর্বে এটি হয়। কিন্তু এবার দু’পক্ষ চলতি মাসে আলাদাভাবে ইজতেমার তারিখ ঘোষণা করে। নির্বাচনের আগে সরকার দুই পক্ষের সঙ্গে সভা করে ইজতেমা স্থগিত করে। সরকারের পক্ষ থেকে তখন জানানো হয়েছিল, নির্বাচন শেষে দু্’পক্ষের সঙ্গে বসে অভিন্ন ইজতেমার তারিখ নির্ধারণ করা হবে।

আরএমএম/জেএইচ/এমএস