বাজার সম্প্রসারণে তৈরি পোশাকের পাশাপাশি সম্ভাবনাময় অন্যান্য রফতানি পণ্যে প্রণোদনা দেয়া হবে বলে জানিয়েছেন বাণিজ্যমন্ত্রী টিপু মুনশি।
Advertisement
সচিবালয়ে সোমবার বাণিজ্যমন্ত্রীর সঙ্গে ঢাকা চেম্বার অব কমার্স অ্যান্ড ইন্ডাস্ট্রির (ডিসিসিআই) পর্ষদ সদস্যদের সাক্ষাৎকালে এ কথা বলেন তিনি।
বাণিজ্যমন্ত্রী বলেন, ‘দেশে ব্যবসাবান্ধব পরিবেশ উন্নয়নের লক্ষ্যে সংশ্লিষ্ট নীতিমালার সহজীকরণের কোনো বিকল্প নেই। রফতানির নির্ধারিত লক্ষ্যমাত্রা অর্জনে পণ্যের বহুমুখীকরণ একান্ত আবশ্যক। এ জন্য আমাদের তৈরি পোশাকের পাশাপাশি সম্ভাবনাময় অন্যান্য পণ্যের জন্য প্রণোদনা দেয়া হবে।’ এ ছাড়া বাজার সম্প্রসারণের ওপর গুরুত্বারোপ করা প্রয়োজন বলেও জানান তিনি।
এ সময় দেশের রফতানি বাড়াতে রফতানিমুখী পণ্যের খাতভিত্তিক চাহিদাপত্র প্রণয়ন এবং সে অনুযায়ী কার্যকরী পদক্ষেপ গ্রহণের ওপর জোর দেন বাণিজ্যমন্ত্রী।
Advertisement
ডিসিসিআই সভাপতি ওসামা তাসীর বলেন, ‘২০২৪ সাল নাগাদ এলডিসি পরবর্তী সময়ে বাংলাদেশের অর্থনৈতিক অবস্থান আরও সুদৃঢ় করতে হবে। একই সঙ্গে রফতানি বাণিজ্য সম্প্রসারণ, নতুন বাজার সৃষ্টি ও রফতানি প্রবৃদ্ধিতে বাধা সৃষ্টি করে এমন বিষয়সমূহ নিয়ে বেসরকারিখাতের অংশগ্রহণে একটি সময়োপযোগী নীতিমালা প্রণয়ন করা প্রয়োজন।’
এ সময় রফতানি প্রবৃদ্ধি অব্যাহত রাখতে একটি কমপ্রিহেনসিভ ট্রেড পলিসি প্রণয়ন ও অটোমেটেড শুল্ক ব্যবস্থা নিশ্চিত করার প্রস্তাব করেন তিনি।
ব্যবসা পরিচালনার সূচকে বাংলাদেশের অবস্থানের উন্নয়নের জন্য বাণিজ্য মন্ত্রণালয়ের নেতৃত্বে কোর-কমিটি গঠনের প্রস্তাব করেন ডিসিসিআই সভাপতি। যেখানে বেসরকারি খাতের প্রতিনিধিত্ব নিশ্চিতকরণসহ ঢাকা চেম্বারের প্রতিনিধি রাখার আহ্বান জানান তিনি।
অনুষ্ঠানে বাণিজ্য সচিব মো. মফিজুল ইসলাম, ডিসিসিআইর ঊর্ধ্বতন সহ-সভাপতি ওয়াকার আহমেদ চৌধুরী, সহ-সভাপতি ইমরান আহমেদ, পরিচালক আবুল কাসেম খান, আশরাফ আহমেদ, এনামুল হক পাটোয়ারী, হোসেন এ সিকদার, কে এম এন মঞ্জুরুল হক, ইঞ্জিনিয়ার মো. আল আমিন, মো. রাশেদুল করিম মুন্না, মোহাম্মদ বাশীর উদ্দিন, শামস মাহমুদ এবং এস এম জিল্লুর রহমান এ সময় উপস্থিত ছিলেন।
Advertisement
এসআই/এনডিএস/আরআইপি/এসজি