জাতীয়

বাংলাদেশের বালি নেবে মালদ্বীপ

বাংলাদেশের নদীর বালি আমদানি করতে আগ্রহ প্রকাশ করেছে মালদ্বীপ। একই সঙ্গে ওষুধও আমদানির কথা জানায় দেশটি।সম্প্রতি মালদ্বীপ সফরকালে শিল্পমন্ত্রী আমির হোসেন আমুর সঙ্গে অনুষ্ঠিত বৈঠকে মালদ্বীপের উপ-রাষ্ট্রপতি আহমেদ আদিব আব্দুল গাফুর এ আগ্রহের কথা জানান। মালদ্বীপের রাষ্ট্রপতির সচিবালয়ে অনুষ্ঠিত এ বৈঠকে দেশটিতে নিযুক্ত বাংলাদেশের রাষ্ট্রদূত রিয়ার অ্যাডমিরাল কাজী সারোয়ার হোসেন এসময় উপস্থিত ছিলেন।বৈঠকে বাংলাদেশের গভীর জলসীমায় তুনা মাছ আহরণে একটি যৌথ ফিসিং কোম্পানি গঠন এবং মালদ্বীপের সাথে বাংলাদেশের সরাসরি জাহাজ চলাচলের লক্ষ্যে একটি শিপিং লাইন চালুর প্রস্তবেও সম্মত হয়েছে মালদ্বীপ।  বৈঠকে দ্বিপাক্ষিক স্বার্থ সংশ্লিষ্ট বিভিন্ন বিষয়ে আলোচনা হয়। বাংলাদেশ থেকে ওষুধ ও নদীর বালি আমদানি, গভীর সমুদ্রে মৎস্য আহরণে সহায়তা প্রদান, দু’দেশের মধ্যে জাহাজ চলাচলসহ অন্যান্য গুরুত্বপূর্ণ বিষয় নিয়ে আলোচনা হয়।বৈঠকে আমির হোসেন আমু বলেন, বাংলাদেশ বর্তমানে বিশ্বমানের ওষুধ উৎপাদন করছে। এসব ওষুধ ইতোমধ্যে ইউরোপ, আমেরিকাসহ বিশ্বের ৭৪টি দেশে রপ্তানি হচ্ছে। মালদ্বীপও বাংলাদেশ থেকে গুণগতমানের এসব ওষুধ আমদানি করতে পারে। তিনি নতুন করে অর্জিত বাংলাদেশের গভীর জলসীমায় বিদ্যমান তুনা মাছ আহরণে একটি যৌথ ফিসিং কোম্পানি গঠন ও মালদ্বীপের সাথে বাংলাদেশের জাহাজ চলাচলের জন্য একটি শিপিং লাইন চালুর প্রস্তাব করেন।শিল্পমন্ত্রী বলেন, মালদ্বীপে প্রায় ৭৫ হাজার বাংলাদেশি জনশক্তি কাজ করছে। এ জনশক্তি মালদ্বীপের অর্থনৈতিক উন্নয়নে দীর্ঘদিন ধরে গুরুত্বপূর্ণ অবদান রাখছে। তিনি বাংলাদেশি জনশক্তির জন্য ভিসাসহ অন্যান্য কাগজপত্রাদি প্রদান প্রক্রিয়া সহজ করতে মালদ্বীপের উপ-রাষ্ট্রপতির দৃষ্টি আকর্ষণ করেন।জবাবে উপ-রাষ্ট্রপতি আহমেদ আদিব আব্দুল গাফুর বলেন, মালদ্বীপ সরকার বিদেশি শ্রমিকদের সুযোগ সুবিধা বাড়াতে ইতোমধ্যে বেশ কিছু সংস্কার কর্মসূচি বাস্তবায়ন করেছে। এর আওতায় বাংলাদেশি শ্রমিকরাও প্রয়োজনীয় সুবিধা পাচ্ছে। তিনি বাংলাদেশি জনশক্তির জন্য ভিসাসহ অন্যান্য কাগজপত্র প্রদান প্রক্রিয়া সহজ করতে আরো উদ্যোগ নেয়া হবে বলে শিল্পমন্ত্রীকে আশ্বস্ত করেন।এসআই/একে/আরআইপি

Advertisement