আন্তর্জাতিক

বুনো লড়াই : বাঘিনীকে মেরে চিবিয়ে খেল বাঘ

দুই বাঘের লড়াই বিচিত্র নয়, কিন্তু লড়াই শেষে মৃত বাঘিনীকে ছিঁড়ে খাচ্ছে অপর বাঘ; এই দৃশ্য একেবারেই বিরল। আর এ ঘটনাই ঘটেছে ভারতের মধ্যপ্রদেশের কানহা ন্যাশনাল পার্কে। এমন ‘বাঘিনী-খেকো’ বাঘকে নিয়ে রীতিমতো আতঙ্ক তৈরি হয়েছে পার্কের বনকর্মীদের মাঝে।

Advertisement

কানহার ফিল্ড ডিরেক্টর কে কৃষ্ণমূর্তি বলেন, দু’টি বাঘের লড়াই বেঁধেছে এই খবর পেয়ে জঙ্গলের কোর এলাকায় ছুটেছিলেন তারা। লড়াই চলছিল একটি পূর্ণবয়স্ক পুরুষ বাঘ ও একটি কমবয়সী বাঘিনীর। বাঘিনী যুদ্ধে পরাজিত হবে এটাই নিশ্চিত ছিল। বাঘিনীকে উদ্ধার করতেই তাই জঙ্গলে ঢোকেন বনকর্মীরা।

কৃষ্ণমূর্তি বলেন, ‘আমরা পৌঁছানোর আগেই সব শেষ। অবাক করার মতো বিষয় হচ্ছে বাঘিনীর দেহ উদ্ধার করতে গিয়ে দেখি ঘটনাস্থলে পড়ে রয়েছে শুধু খুলি ও থাবার কিছু অংশ। পুরোটাই ছিঁড়েখুঁড়ে খেয়েছে বাঘ। এমন দৃশ্য দেখা যায় না।’

তবে এলাকা দখলের লড়াই হতে পারে বলে ধারণা করছেন কৃষ্ণমূর্তি। বাঘিনীর দেহের অবশিষ্ট অংশ ময়নাতদন্তের জন্য পাঠানো হয়েছে। শিকারি বাঘটিকেও শনাক্ত করার চেষ্টা চলছে। খবর পেয়েই কানহাতে পৌঁছেছেন পশু বিশেষজ্ঞরা।

Advertisement

আরও পড়ুন : চীনের অর্থনীতিতে তিন দশকের মধ্যে রেকর্ড পতন 

তাদের দাবি, দুই বাঘের লড়াই বাধলে, একজন নতি স্বীকার না করা পর্যন্ত লড়াই চলতে থাকে। বেশিরভাগ ক্ষেত্রেই দুর্বল পক্ষকে নিকেশ করেই শান্ত হয় বাঘ। কিন্তু এখানে বাঘিনীকে মেরে তার মাংস খাওয়া হয়েছে, যেটা সাধারণত বাঘের স্বভাব নয়।

বাঘ বিশেষজ্ঞদের মতে, অনেক সময় নিজের শাবকদের খেতে দেখা যায় বাঘকে। তাই প্রসবের পরই শাবকদের নিয়ে আড়ালে চলে যায় বাঘিনী। নিজের সন্তানদের বাঁচাতে পরিচিত এলাকা থেকে প্রায় ২০০ কিলোমিটার দূর পর্যন্তও পাড়ি দিতে দেখা গেছে বাঘিনীদের।

ভারতীয় একটি গণমাধ্যমকে কৃষ্ণমূর্তি বলেন, কানহা ন্যাশনাল পার্কে বাঘের সংখ্যা ভারতের মধ্যে সবচেয়ে বেশি প্রায় ২০ শতাংশ। এখানে বাঘের শিকারেরও কোনো অভাব নেই। সেখান থেকে কীভাবে একটি বাঘ ‘ক্যানিবল’ হয়ে উঠল, সেটাই চিন্তার বিষয়। ন্যাশনাল পার্কের অন্যান্য বাঘের জন্য সেটা মোটেও সুখবর নয়।

Advertisement

এসআইএস/এমকেএইচ