দেশজুড়ে

পলাশে গণধর্ষণের শিকার এক তরুণী

নরসিংদীর পলাশে এক তরুণী (১৯) গণধর্ষণের শিকার হয়েছে। ওই সময় ধর্ষণের ভিডিও ধারণ করে তা ইন্টারনেটে ছড়িয়ে দেয়ার হুমকি দেয়া হয়। এই ঘটনায় জড়িত থাকার অভিযোগে সোমবার দুপুরে ২ জনকে গ্রেফতার করেছে পুলিশ।  তাদের কাছ থেকে ভিডিওয়ের মেমোরি কার্ড উদ্ধার করা হয়েছে।এর আগে গত শনিবার সন্ধ্যায় উপজেলার ডাঙ্গা ইউনিয়নের ভিরিন্দা গ্রামে এই ঘটনা ঘটে। এলাকাবাসী ও নির্যাতিতার পরিবারের লোকজন জানায়, শনিবার সন্ধ্যায় মেয়েটি পলাশ উপজেলার ভিরিন্দা গ্রাম থেকে রিকশাযোগে ঘোড়াশাল যাচ্ছিল। পথে ভিরিন্দা গ্রামের আবদুল সালামের ছেলে আবদুল হামিদ (২০) ও আবদুল হকের ছেলে তারেককে (২২) আসমত আলীর ছেলে জাহাঙ্গীরসহ ৭ যুবক রিকশার গতিরোধ করে। পরে তাকে পার্শ্ববর্তী একটি জঙ্গলে নিয়ে পালাক্রমে গণধর্ষণ করে এবং ধর্ষণের দৃশ্য মোবাইলের মাধ্যমে ভিডিও করে। ধর্ষণের ঘটনা কাউকে জানালে ভিডিও ফুটেজ ইন্টারনেটে ছেড়ে দেওয়া হবে বলে হুমকি প্রদান করে। পরে বিষয়টি জানাজানি হলে স্থানীয় ইকবাল মেম্বার ও জালাল মেম্বার ধর্ষিতার পরিবারকে ভয়ভীতি প্রদর্শন ও মোটা অংকের অর্থের বিনিময়ে ঘটনাটি ধামাচাপা দেয়ার চেষ্টা করে। ধর্ষিতার পরিবার প্রলোভনে রাজী না হয়ে বিষয়টি পুলিশকে জানান। এরই প্রেক্ষিতে সোমবার দুপুরে ধর্ষণের দায়ে অভিযুক্ত ভিরিন্দা গ্রামের আবদুল সালামের ছেলে আবদুল হামিদ (২০) ও আবদুল হকের ছেলে তারেককে (২২) গ্রেফতার করে পুলিশ।এ ব্যাপারে জালাল মেম্বার সাংবাদিকদের জানান, এলাকাবাসীর চাপে ১০ হাজার করে ৭ জনের ৭০ হাজার টাকার বিনিময়ে ঘটনাটি মিমাংসার আলোচনা হয়েছিল। কিন্তু তা পরে আর করা হয়নি।পলাশ থানা পুলিশের ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা আবুল কালাম আজাদ জানান, এ ঘটনার মূল নায়ক জাহাঙ্গীরকে গ্রেফতারের চেষ্টা চলছে। গ্রেফতারকৃতদের মধ্যে তারেকের কাছ থেকে ভিডিও করা মেমোরি কার্ডও উদ্ধার করা হয়েছে। এই ঘটনায় নির্যাতিত মেয়েটির মা বাদী হয়ে থানায় মামলা দায়েরের প্রস্তুতি চলছে। মামলার পর নির্যাতিত মেয়েটিকে ডাক্তারি পরীক্ষার জন্য নরসিংদী সদর হাসপাতালে পাঠানো হবে।সঞ্জিত সাহা/এমএএস/আরআইপি

Advertisement