হঠাৎই পেশিতে টান লেগে ব্যথা হওয়া খুব স্বাভাবিক একটি বিষয়। আপাতদৃষ্টিতে ছোট বিষয় মনে হলেও এটি কিন্তু বেশ ভোগান্তির কারণ হয়ে দাঁড়ায়। পেশির টান বা ব্যথা কীভাবে দূর হবে, ত বোঝার জন্য আগে জানতে হবে, এই ব্যথা কেন হয়। পেশির মধ্যে পানির পরিমাণ কমে গেলে, পেশি তার ফ্লেক্সিবিলিটি বা স্থিতিস্থাপকতা হারায়। সেই কারণেই প্রয়োজনমতো সংকোচন-প্রসারণ করে উঠতে পারে না। তাই হঠাৎ প্রসারণের ফলে সেখানে আঘাত লাগে। পেশিতে প্রয়োজনীয় মিনারেল বা খনিজ পদার্থের অভাবেও এই সমস্যা হতে পারে।
Advertisement
আরও পড়ুন: ওষুধ ছাড়াই সাইনাস দূর করবেন যেভাবে
চিকিৎসকদের মতে, শরীরে পর্যাপ্ত পানি থাকলেও পেশির ব্যথা হতে পারে। তবে শরীর যদি সঠিকভাবে হাইড্রেটেড থাকে, তাহলে টান লাগলেও ব্যথার পরিমাণ খুব বেশি হয় না। তাই যখনই তেষ্টা পাবে অল্প করে পানি খান। এতে আপনার পেশি ফ্লেক্সিবিলিটি বাড়বে। আচমকা টান ধরে গেলেও, সেই ব্যথা কম সময়ের জন্য থাকবে।
Advertisement
শুধু পানির পক্ষে পেশিকে হাইড্রেট রাখা সম্ভব নয়। পেশির ফ্লেক্সিবিলিটি বা স্থিতিস্থাপকতা বজায় রাখার জন্য দরকার লবণও। কারণ লবণে থাকে ইলেকট্রোলাইটস। পেশির কোষের মধ্যে পানি কীভাবে ঢুকবে, কতটা ঢুকবে, কতটাই বা বের হবে, তার পুরোটা নিয়ন্ত্রণ করে এই ইলেকট্রোলাইটস। তাই সোডিয়ামের মতো লবণের শরীরে উপস্থিতিটা খুব দরকারী। না হলে শরীর ডিহাইড্রেট হয়ে যাবে। তাই লবণ-চিনির পানি খেতে পারেন।
ভাত বা পাস্তা জাতীয় এসব খাবার পেশির জন্য খুবই দরকারী। এ ধরনের হাই-কার্বোহাইড্রেট খাবার পেশিকে দ্রুত পুষ্টি জোগায়। পেশির আঘাত সামলে ওঠার জন্য যে প্রয়োজনীয় উপাদানের দরকার হয়, তাও পাওয়া যায়, এই কার্বোহাইড্রেট থেকেই।
যারা নিয়মিত স্ট্রেচিং বা যোগাসন করেন, তাদের পেশির স্থিতিস্থাপকতা অন্যদের তুলনায় বেশি। এবং শরীরের চাহিদার কারণেই তারা বেশি পরিমাণে ফ্লুইড নিতে বাধ্য হন। সব মিলিয়ে পেশির গুণগত মান তাতে ভালো হয়। তাই এই স্ট্রেচিংয়ের দিকে নজর দিতে পারেন। এতে পেশির টান থেকে অনেকটাই মুক্তি পাবেন।
Advertisement
আরও পড়ুন: কাশি সারাতে চকোলেট খান!
চিকিৎসকের পরামর্শে মাল্টিভিটামিন খাওয়াটাও পেশির টানের হাতে থেকে রক্ষা পাওয়ার অন্যতম ভালো রাস্তা। কারণ সহজলভ্য মাল্টি ভিটামিনের মধ্যে সঠিক পরিমাণে ক্যালসিয়াম আর ম্যাগনেসিয়াম থাকে। এই দুটি যৌগই পেশির স্থিতিস্থাপকতা বাড়াতে সাহায্য করে।
এইচএন/এমকেএইচ