কাজ শুরু করেছে তারুণ্য ও নতুনের আধিপত্যের মন্ত্রিসভা। এবার দেশের নীতিনির্ধারণী সর্বোচ্চ এ ফোরামের বেশির ভাগ সদস্যই সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যম তথা ফেসবুকে সরব।
Advertisement
মন্ত্রী, প্রতিমন্ত্রী ও উপমন্ত্রী প্রায় সবারই ফেসবুক অ্যাকাউন্ট ও পেজ রয়েছে। কেউ কেউ নিজেই পরিচালনা করেন এসব। আবার কেউ কেউ ব্যক্তিগত কর্মকর্তাদের সহযোগিতা নেন ফেসবুক পরিচালনায়।
মন্ত্রিসভার সাতজন মন্ত্রী-প্রতিমন্ত্রীর ফেসবুক পেজ ও অ্যাকাউন্ট ভেরিফায়েড অর্থাৎ ফেসবুক কর্তৃপক্ষের স্বীকৃতিপ্রাপ্ত। এসব পেজ ও অ্যাকাউন্টের নামের পাশে নীল বৃত্তের মধ্যে সাদা টিক চিহ্ন রয়েছে। ফেসবুকে অনুসারীর সংখ্যা সাড়ে ২০ লাখ ছাড়িয়ে গেছে, এমন সদস্যও রয়েছেন বর্তমান মন্ত্রিসভায়।
মন্ত্রিসভার সদস্য, তাদের দফতরের কর্মকর্তা ও ফেসবুক পর্যালোচনা করে এসব তথ্য জানা গেছে।
Advertisement
গত ৩০ ডিসেম্বর একাদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচনে আওয়ামী লীগ নিরঙ্কুশ সংখ্যাগরিষ্ঠতা পায়। গত ৭ জানুয়ারি শেখ হাসিনাকে প্রধানমন্ত্রী করে নতুন সরকার গঠন করা হয়। এ সরকারে প্রধানমন্ত্রী ছাড়া ২৪ জন মন্ত্রী, ১৯ প্রতিমন্ত্রী এবং তিনজন উপমন্ত্রী রয়েছেন। নতুন মন্ত্রিসভায় আগের বেশির ভাগ মন্ত্রী, প্রতিমন্ত্রী ও উপমন্ত্রীর ঠাঁই হয়নি।
ফেসবুকে মন্ত্রীদের পদচারণা
ডাক, টেলিযোগাযোগ ও তথ্যপ্রযুক্তি মন্ত্রণালয়ের মন্ত্রীর দায়িত্বে রয়েছেন প্রযুক্তিবিদ মোস্তাফা জব্বার। তিনি বিশেষত্ব নিয়ে সরব রয়েছেন ফেসবুক অ্যাকাউন্টে। তার অ্যাকাউন্টটি ভেরিফায়েড। পোস্টের নিচে কমেন্টের যথাসাধ্য জবাব দিতে চেষ্টা করেন টেলিযোগাযোগমন্ত্রী। ফেসবুকে অ্যাকাউন্টের নাম বাংলা অক্ষর দিয়ে না লেখা হলে কাউকে ফ্রেন্ড করেন না মোস্তাফা জব্বার।
বর্তমান মন্ত্রিসভার সবচেয়ে সিনিয়র মন্ত্রী আ ক ম মোজাম্মেল হক। তিনি মুক্তিযুদ্ধ বিষয়ক মন্ত্রণালয়ের দায়িত্বে রয়েছেন। তার একাধিক ফেসবুক ফ্যান পেজ ও অ্যাকাউন্ট রয়েছে। তবে তিনি ফেসবুক চালানোর সময় পান না।
Advertisement
‘আলহাজ এড. আ ক ম মোজাম্মেল হক’ নামের পেজ চালান মন্ত্রীর নাতি রেদওয়ানুল মজিদ। তিনি বলেন, ‘নির্বাচনের সময় প্রচারণার জন্য আমরা এ পেজ খুলি। এখানে মোটামুটি মন্ত্রী মহোদয়ের সব আপটেড দেয়া হয়।’ তবে দেখা গেছে এ পেজে সর্বশেষ পোস্ট দেয়া হয়েছে ৯ জানুয়ারি।
সড়ক পরিবহন ও সেতুমন্ত্রী ওবায়দুল কাদের ফেসবুকে বেশ সক্রিয়। তার ফেসবুক অ্যাকাউন্টে প্রতিদিনই কর্মকাণ্ডের ছবিসহ আপডেট দেন তিনি। তার অ্যাকাউন্টটি ভেরিফায়েড।
শিক্ষামন্ত্রী দীপু মনির ও ভেরিফায়েড ফেসবুক অ্যাকাউন্ট রয়েছে। তিনিও ফেসবুকে বেশ সক্রিয়। তার ব্যক্তিগত কর্মকর্তা মইনুদ্দিন জানান, মন্ত্রী এই ফেসবুক অ্যাকাউন্টটি নিজেই পরিচালনা করেন।
স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী আসাদুজ্জামান খান কামালের ফেসবুক পেজটিও ভেরিফায়েড। সেখানে নিয়মিত আপডেট দেয়া হয়। পেজে পাঁচ লাখ ৬০ হাজারেরও বেশি অনুসারী রয়েছে। তবে মন্ত্রীর দফতর থেকে জানা গেছে, ব্যস্ততার জন্য মন্ত্রী সেভাবে পেজটি পরিচালনা করতে পারেন না, এক্ষেত্রে তিনি ঘনিষ্ঠজনদের সহযোগিতা নেন।
ভূমিমন্ত্রী সাইফুজ্জামান চৌধুরীর একটি ফেসবুক পেজ রয়েছে। এটি পরিচালনা করেন মন্ত্রীর ব্যবসায়িক প্রতিষ্ঠানের একজন কর্মকর্তা; যার নাম আবদুল আজিজ। পেজে গিয়ে দেখা যায়, গত ১৬ ডিসেম্বরের পর আর কোনো পোস্ট দেয়া হয়নি।
অর্থমন্ত্রী আ হ ম মুস্তফা কামাল ও সেভাবে ফেসবুক ব্যবহার করেন না বলে তার দফতর থেকে জানা গেছে। তবে তার নামে একটি অ্যাকাউন্ট ব্যক্তিগত কর্মকর্তারা পরিচালনা করেন। তবে সেটিও আপডেটেড নয়। দেখা গেছে, সেখানে সর্বশেষ পোস্টটি গত ২১ ডিসেম্বরের।
স্থানীয় সরকার পল্লী উন্নয়ন ও সমবায়মন্ত্রী মো. তাজুল ইসলামের ফেসবুক অ্যাকাউন্ট রয়েছে। তবে সেটিতে ২০১৭ সালের ২৭ জুলাইয়ের পর কোনো পোস্ট দেয়া হয়নি।
এছাড়া পররাষ্ট্রমন্ত্রী এ কে আব্দুল মোমেন, পরিকল্পনামন্ত্রী এম এ মান্নান, শিল্পমন্ত্রী নুরুল মজিদ মাহমুদ হুমায়ুন, বস্ত্র ও পাটমন্ত্রী গোলাম দস্তগীর গাজী, রেলপথমন্ত্রী নুরুল ইসলাম সুজন, পার্বত্য চট্টগ্রাম বিষয়কমন্ত্রী বীর বাহাদুর উশৈসিং, গৃহায়ন ও গণপূর্তমন্ত্রী শ ম রেজাউল করিমের ফেসবুক অ্যাকাউন্ট রয়েছে। কৃষিমন্ত্রী ড. আব্দুর রাজ্জাক; পরিবেশ, বন ও জলবায়ু পরিবর্তনমন্ত্রী মো. শাহাব উদ্দিন এবং তথ্যমন্ত্রী ড. হাছান মাহমুদের ফেসবুক পেজ রয়েছে।
আইনমন্ত্রী আনিসুল হক ফেসবুক ব্যবহার করেন না বলে তার দফতরের কর্মকর্তারা জানান। কিন্তু আনিসুল হকের নামে ফেসবুক পেজ খুঁজে পাওয়া গেছে। তবে এগুলোকে ভুয়া বলেছেন মন্ত্রীর দফতরের কর্মকর্তারা।
সমাজকল্যাণমন্ত্রী নুরুজ্জামান আহমেদের ফেসবুক পেজ রয়েছে। তবে তিনি নিজে ফেসবুক ব্যবহার করেন না। তার ব্যক্তিগত কর্মকর্তারা সেটি পরিচালনা করেন। খাদ্যমন্ত্রী সাধন চন্দ্র মজুমদারের ফেসবুক অ্যাকাউন্ট রয়েছে, তিনিও তা নিজে পরিচালনা করেন না।
নতুন বাণিজ্যমন্ত্রী টিপু মুনশি কোনো ফেসবুক ব্যবহার করেন না বলে তার দফতরের কর্মকর্তারা জানিয়ছেন।
বিজ্ঞান ও প্রযুক্তিমন্ত্রী ইয়াফেস ওসমানের ফেসবুক অ্যাকাউন্ট রয়েছে। ফেসবুক ব্যবহার করেন কিনা জানতে চাইলে তিনি বলেন, ‘ব্যবহার করি তো ভাই। কিন্তু ফেসবুক ব্যবহার করি বলতে তো ভয় লাগে। কারণ ফেসবুকে আবার কোনো ফেস চলে আসে। আমার ফেসবুকে ম্যাক্সিমাম কবিতা যায়। এছাড়া অন্য কিছু যায় না। ফেসবুক আমি নিজেও ব্যবহার করি, অনেক সময় আমার ছেলেও সাহায্য করে।’
মন্ত্রিসভার সদস্যদের ফেসবুক ব্যবহারের বিষয়ে দৃষ্টি আকর্ষণ করা হলে ডাক, টেলিযোগাযোগ ও তথ্যপ্রযুক্তিমন্ত্রী মোস্তাফা জব্বার জাগো নিউজকে বলেন, ‘আওয়ামী লীগ ২০০৯ সালে সরকার গঠন করে যে প্রতিশ্রুতি দিয়েছে তার দুটি শব্দ হচ্ছে ডিজিটাল বাংলাদেশ। ডিজিটাল বাংলাদেশ গড়ে তুলবে বলে যে সরকার প্রতিশ্রুতি দেয় সেই সরকার ডিজিটাল প্রযুক্তি ব্যবহার করবে না, এটা ধারণাতেই থাকা উচিত নয়।’
‘কিন্তু একটি বিষয় নিঃসন্দেহ ছিল যে, ডিজিটাল প্রযুক্তি সর্বস্তরে সমভাবে বিস্তৃত হয়নি। বিশেষ করে মন্ত্রীদের মধ্যে কিছু কিছু বয়স্ক ব্যক্তি ছিলেন যারা ডিজিটাল প্রযুক্তি হয়তো নিজেরা ব্যবহার করতে পারেননি, কিংবা ওই প্রযুক্তির সঙ্গে অভ্যস্ত নন।’
তিনি বলেন, ‘এবারের মন্ত্রিসভায় দেখতে পাবেন অপেক্ষাকৃত তরুণরা বেশি, দ্বিতীয়ত যেটা দেখতে পাবেন সেটা হলো, আমরা ২০১৮ সালে প্রথম ডিজিটাল মিডিয়াকে নির্বাচনের জন্য ব্যবহার করেছি। সেটি আমরা অত্যস্ত সফলতার সঙ্গে করতে সক্ষম হয়েছি। সেই হিসেবে আমাদের মন্ত্রিসভা ডিজিটাল মন্ত্রিসভা হবে এটাই স্বাভাবিক।’
এবারের মন্ত্রিসভায়ও কেউ কেউ আছেন যারা সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে নেই- এ বিষয়ে দৃষ্টি আকর্ষণ করা হলে মন্ত্রী বলেন, ‘থাকতে পারেই, বিকজ (কারণ) আমি এটা প্রত্যাশা করি না যে, মন্ত্রিসভার সকলেই সমভাবে প্রযুক্তি ব্যবহার করবে। আমার ধারণা ডিজিটাল প্রযুক্তির সঙ্গে সম্পর্কযুক্ত মন্ত্রিসভায় আমার চেয়ে পুরনো মানুষ নেই। আমার হাতে তো ডিজিটাল প্রযুক্তি যেটা প্রয়োজন সেটা তো থাকবেই।’
‘শুধু সোশ্যাল মিডিয়া ব্যবহার করি না, আমি এর সঙ্গে রিলেডেট টেকনোলজি কথা বলার জন্য, যোগাযোগের জন্য ব্যবহার করি, মেইলের জন্য ব্যবহার করি’ বলেন মোস্তাফা জব্বার।
বাংলায় আইডি না হলে ফেসবুকে ফ্রেন্ড করেন না- দৃষ্টি আকর্ষণ করা হলে তথ্য প্রযুক্তিমন্ত্রী বলেন, ‘হ্যাঁ, আমার রাষ্ট্র ভাষা বাংলা। সংবিধানে কোনো দ্বিতীয় ভাষা নেই যেটা ব্যবহার করা উচিত। ফেসবুকসহ দুনিয়াতে এমন কোনো টেকনোলজি নেই যেখানে আমি বাংলা ব্যবহার করতে পারি না। আমি যদি বাংলা ব্যবহার করতে পারি তাহলে কী কারণে ভিন্ন ভাষা ব্যবহার করব?’
তিনি বলেন, ‘ফেসবুকে দু-একজন আছেন, তিনি বিদেশে বসবাস করেন বা অতিগুরুত্বপূর্ণ কিন্তু বাংলা ব্যবহার করতে পারেন না, এমন দু-চারজন ছাড়া বাকি সবার ক্ষেত্রে অবশ্যই প্রিকন্ডিশন (পূর্বশর্ত) নাম বাংলা অক্ষর দিয়ে লিখতে হবে।’
মন্ত্রী আরও বলেন, ‘আমার এখানে যদি কেউ রোমান হরফ দিয়ে বাংলা লেখে তাকে আমি আনফ্রেন্ড করি।’
প্রতিমন্ত্রীরাও আছেন ফেসবুকে
মন্ত্রিসভার সদস্যদের মধ্যে তথ্য ও যোগাযোগ প্রযুক্তি প্রতিমন্ত্রী জুনাইদ আহমেদ পলকের ফেসবুক পেজে অনুসারীর সংখ্যা সবচেয়ে বেশি। তার অনুসারীর সংখ্যা ২০ লাখ ৫৮ হাজার। নানা কর্মকাণ্ড ও সংবাদ নিয়ে জুনাইদ আহমেদ সব সময়ই ফেসবুকে সরব থাকেন। বিভিন্ন উপলক্ষে ফেসবুক লাইভেও আসেন তিনি। সম্প্রতি তিনি হেলমেট ছাড়া মোটরসাইকেলে চড়ার ছবি ফেসবুকে দিয়ে সমালোচিতও হন।
বিদ্যুৎ, জ্বালানি ও খনিজ সম্পদ প্রতিমন্ত্রী নসরুল হামিদ বিপু। পাঁচ লাখ ৩৪ হাজার অনুসারীর ভেরিফায়েড ফেসবুক পেজ রয়েছে তার। নানা পোস্টের মাধ্যমে প্রতিদিনই ফেসবুকে সক্রিয় এ প্রতিমন্ত্রী।
পররাষ্ট্র প্রতিমন্ত্রী শাহরিয়ার আলমের ফেসবুক পেজ রয়েছে। ভেরিফায়েড পেজে অনুসারীর সংখ্যা নয় লাখ ৩৩ হাজারেরও বেশি। এ তরুণ প্রতিমন্ত্রীও ফেসবুকে বেশ সরব।
যুব ও ক্রীড়া প্রতিমন্ত্রী জাহিদ আহসান রাসেলের ফেসবুক পেজ রয়েছে। তরুণ এ প্রতিমন্ত্রীর ফেসবুকে দেড় লাখের বেশি অনুসারী। জনপ্রশাসন প্রতিমন্ত্রী ফরহাদ হোসেন ও ফেসবুকে সক্রিয়।
প্রবাসী কল্যাণ ও বৈদেশিক কর্মসংস্থান প্রতিমন্ত্রী ইমরান আহমেদের একটি ফেসবুক পেজ রয়েছে। যদিও সেখানে সর্বশেষ পোস্টের তারিখ ২০১৭ সালের ১১ জুন।
সংস্কৃতি বিষয়ক প্রতিমন্ত্রী কে এম খালিদ বাবুর ফেসবুক পেজ রয়েছে এবং সেটি নিয়মিত আপডেট হয়। ফেসবুকে ছবিতে-স্ট্যাটাসে এ প্রতিমন্ত্রীর রয়েছে সরব উপস্থিতি।
জানতে চাইলে কে এম খালিদ জাগো নিউজকে বলেন, ‘আমি ফেসবুক ব্যবহার করি। লোকজন আছেন তারা মেইনটেইন করেন। ফেসবুক ব্যবহার না করে তো উপায় নেই।’
শ্রম ও কর্মসংস্থান প্রতিমন্ত্রী মন্নুজান সুফিয়ানের নামে ফেসবুক অ্যাকাউন্ট রয়েছে। তবে তিনি নিজে ফেসবুক অ্যাকাউন্টটি চালান না। তার পক্ষে কর্মকর্তারা এটি পরিচালনা করেন বলে প্রতিমন্ত্রীর দফতর থেকে জানা গেছে।
শিল্প প্রতিমন্ত্রী কামাল আহমেদ মজুমদারের একটি পেজ ও একটি ফেসবুক অ্যাকাউন্ট রয়েছে। প্রতিমন্ত্রীর ব্যক্তিগত কর্মকর্তা শহিদুল ইসলাম বলেন, ‘ফেসবুক পেজ ও অ্যাকাউন্ট পরিচালনায় আমরা প্রতিমন্ত্রী মহোদয়কে সহযোগিতা করি।’
প্রাথমিক ও গণশিক্ষা প্রতিমন্ত্রী জাকির হোসেনের ফেসবুক অ্যাকাউন্ট রয়েছে। তিনি বলেন, ‘ফেসবুক ব্যবহার করি, তবে কম।’ এরপর এ বিষয়ে কথা বলার জন্য তিনি তার ছেলে সৌরভ হোসেনকে দেখিয়ে দেন। সৌরভ বলেন, ‘আব্বার ফেসবুক অ্যাকাউন্ট আছে। সেটা আপডেটও থাকে।’
নৌপরিবহন প্রতিমন্ত্রী খালিদ মাহমুদের ফেসবুক অ্যাকাউন্ট রয়েছে। তবে দেখা গেছে গত ১ জানুয়ারির পর সেখানে কোনো পোস্ট দেয়া হয়নি।
মৎস্য ও প্রাণিসম্পদ প্রতিমন্ত্রী মো. আশরাফ আলী খান খসরুর ফেসবুকে একটি পেজ রয়েছে। তিনি জাগো নিউজকে বলেন, ‘আমার ফেসবুক অ্যাকাউন্ট নেই কিন্তু একটি পেজ আছে ‘‘বীর মুক্তিযোদ্ধা আশরাফ আলী খান খসরু এমপি’’ নামে। আমিও চালাই, লোকজন আছে তারাও চালায়।’
স্থানীয় সরকার পল্লী উন্নয়ন ও সমবায় প্রতিমন্ত্রী স্বপন ভট্টাচার্যের একটি ফেসবুক অ্যাকাউন্ট ও পেজ রয়েছে। তিনি প্রতিদিনই ফেসবুক অ্যাকাউন্টে পারিবারিক-পেশাগত কর্মকাণ্ডের কিছু না কিছু ছবি দিয়ে থাকেন।
স্বাস্থ্য ও পরিবার কল্যাণ প্রতিমন্ত্রী মুরাদ হাসানের ফেসবুক অ্যাকাউন্ট রয়েছে। তিনি ফেসবুকে নিয়মিত বিভিন্ন কর্মকাণ্ডের ছবি ও স্ট্যাটাস দেন। তার একটি ফেসবুক পেজও রয়েছে।
সমাজকল্যাণ প্রতিমন্ত্রী শরীফ আহমেদের ফেসবুক অ্যাকাউন্ট রয়েছে। সেখানে গিয়ে দেখা গেছে, সেটি মোটামুটি কার্যকরও রেখেছেন তিনি।
দুর্যোগ ব্যবস্থাপনা ও ত্রাণ প্রতিমন্ত্রী ডা. মো. এনামুর রহমানের ফেসবুক পেজ রয়েছে। তার ব্যক্তিগত কর্মকর্তারা সেটি পরিচালনা করেন বলে জানা গেছে। বেসামরিক বিমান পরিবহন ও পর্যটন প্রতিমন্ত্রী মো. মাহবুব আলী ও ফেসবুকে রয়েছেন।
তবে ধর্ম প্রতিমন্ত্রী শেখ মোহাম্মদ আব্দুল্লাহর কোনো ফেসবুক অ্যাকাউন্ট বা পেজ নেই বলে তার দফতরের কর্মকর্তারা জানিয়েছেন।
ফেসবুকে উপমন্ত্রীরাও
শিক্ষা উপমন্ত্রী মহিবুল হাসান চৌধুরী নওফেলের ফেসবুক অ্যাকাউন্ট ও পেজ দুটোই রয়েছে। তার পেজে ফলোয়ারের সংখ্যা তিন লাখ ৫৬ হাজারেরও বেশি। তিনি ফেসবুকে বেশ সক্রিয়।
পানিসম্পদ উপমন্ত্রী এ কে এম এনামুল হক শামীমের ফেসবুক পেজ রয়েছে। সেটা মোটামুটি আপডেটও। এ উপমন্ত্রীর পেজে অনুসারীর সংখ্যা এক লাখ ৩৯ হাজার।
পরিবেশ, বন ও জলবায়ু পরিবর্তন উপমন্ত্রী হাবিবুন নাহারের ফেসবুক পেজ আছে। তবে তিনি নিজে ফেসবুক ব্যবহার করেন না বলে জানা গেছে।
আরএমএম/এনডিএস/জেআইএম