মাধ্যমিক স্কুল সার্টিফিকেট (এসএসসি) ও সমমান পরীক্ষায় বহু নির্বাচনী প্রশ্ন (এমসিকিউ) পদ্ধতি বাতিলের কথা ভাবছে শিক্ষা মন্ত্রণালয়।
Advertisement
মাধ্যমিক পরীক্ষা সামনে রেখে রোববার সচিবালয়ে জাতীয় মনিটরিং ও আইন-শৃঙ্খলা সংক্রান্ত কমিটির বৈঠকে এ বিষয়ে আলোচনা হয়েছে। সভা শেষে শিক্ষামন্ত্রী দিপু মনি এমন ইঙ্গিত দিয়েছেন।
বৈঠক শেষে এ ব্যাপারে সংবাদ সম্মেলনে দৃষ্টি আকর্ষণ করা হলে শিক্ষামন্ত্রী বলেন, এ ব্যাপারে (এমসিকিউ বন্ধ) যথা সময়ে সিদ্ধান্ত জানানো হবে। এটি নতুন কোনো পদ্ধতিতে আয়োজন করা যায় কি-না সেটি আলাপ-আলোচনা করে একটি নতুন রূপ দেয়া হতে পারে।
সূত্র জানায়, এমসিকিউ তুলে দেয়ার ব্যাপারে বৈঠকে আলোচনা হয়। বিশেষ করে আইন-শৃঙ্খলা বাহিনী এবং বিশেষজ্ঞদের পক্ষ থেকে শিক্ষামন্ত্রীকে অবহিত করা হয় যে, প্রশ্নফাঁসের যে ঘটনা ঘটে সেটা এমসিকিউ প্রশ্ন কেন্দ্রিক। সৃজনশীল প্রশ্নফাঁসের ঘটনা ঘটে না বললেই চলে। আলোচনার একপর্যায়ে সারাংশ করা হয় যে, হুট করেই এমসিকিউ প্রশ্ন বন্ধ করা যাবে না। কমপক্ষে দু’বছর সময় নিয়ে ঘোষণা দিতে হবে। সে ক্ষেত্রে অষ্টম শ্রেণিতে যারা লেখাপড়া করে, তাদের এসএসসি পরীক্ষার সাল ধরে এমসিকিউ বন্ধের বছরটি নির্ধারণ করা যেতে পারে।
Advertisement
এ বিষয়ে সভায় উপস্থিত ঢাকা শিক্ষা বোর্ডের চেয়ারম্যান মু. জিয়াউল হক জাগো নিউজকে বলেন, এসএসসি পরীক্ষার আইন-শৃঙ্খলা ও নিরাপত্তা সভায় এমসিকিউ পরিবর্তনের বিষয়ে আলোচনা হয়েছে। এটি একটি আন্তর্জাতিক পদ্ধতি হলেও আমাদের ব্যবস্থাপনায় ক্রটি থাকায় আমরা বিপদে পড়ে যাচ্ছি। বিগত সময়ে এমসিকিউ প্রশ্ন ফাঁসের প্রমাণ পাওয়া গেছে।
পুরনো এ পদ্ধতি রাখা বা পরিবর্তন করার বিষয়ে এখন নতুন করে ভাবার সময় এসেছে মন্তব্য করে ঢাকা বোর্ডের চেয়ারম্যান বলেন, দীর্ঘদিন ধরে এমসিকিউ পদ্ধতিতে এসএসসি পরীক্ষা আয়োজন করা হচ্ছে। ৫০ নম্বর থেকে বর্তমানে ৩০ নম্বর করা হয়েছে। তাই আরও নম্বর কমানো যায় কি-না? বা বর্তমান পদ্ধতি বাতিল করে নতুন পদ্ধতিতে এ পরীক্ষা আয়োজন করা যায় কি-না তার জন্য দীর্ঘ আলোচনার প্রয়োজন।
নতুন শিক্ষামন্ত্রী এ বিষয়ে খুবই পজিটিভ। তাই দ্রুত এ বিষয়ে আমরা সভা করব। সেখানে এ বিষয়ের সব দিক তুলে ধরে এমসিকিউ পদ্ধতিতে কী ধরনের পরিবর্তন আনা যায় সেসব বিষয়ে আলোচনা করে সিদ্ধান্ত নেয়া হবে বলে জানান ঢাকা বোর্ড চেয়ারম্যান।
এমএইচএম/জেএইচ/জেআইএম
Advertisement