জাতীয়

ত্রিশালের মতো আরও জঙ্গি হামলার পরিকল্পনা করছিলেন রেজা

২০১৪ সালে ত্রিশালে জঙ্গি ছিনতাইয়ের ঘটনা সংগঠনের সদস্যদের মনোবল বৃদ্ধিতে ব্যাপক ভূমিকা রেখেছিলেন রেজা। ২০১৮ সালের শুরুর দিকে দেশে ফিরে এসে স্তিমিত হয়ে যাওয়া জেএমবিকে পুনরায় সংগঠিত করার চেষ্টা করেছিলেন তিনি। হলি আর্টিসান মামলায় আদালতে শুনানি চলছে। এই সুযোগে আবারও জঙ্গি সদস্যদের ছিনতাইয়ের পরিকল্পনা করেছিলেন রিপন।

Advertisement

শনিবার দিনগত রাতে গাজীপুরের বোর্ডবাজার এলাকায় অভিযান চালিয়ে মামুনুর রশিদ ওরফে রিপন ওরফে রেজাউল ওরফে রেজাউল করিম ওরফে আবু মুজাহির ওরফে রেজাকে আটক করে র‌্যাব।

র‌্যাবের দাবি, আটক মামুনুর রশিদ হলি আর্টিসান মামলার চার্জশিটভুক্ত পলাতক আসামি এবং অর্থ, অস্ত্র ও বিস্ফোরক সরবরাহকারী। এ সময় তার কাছ থেকে প্রায় দেড় লাখ টাকা উদ্ধার করা হয়।

রোববার দুপুরে রাজধানীর কারওয়ান বাজারে র‌্যাব মিডিয়া সেন্টারে আয়োজিত এক সংবাদ সম্মেলনে এসব কথা জানান লিগ্যাল অ্যান্ড মিডিয়া উইংয়ের পরিচালক কমান্ডার মুফতি মাহমুদ খান।

Advertisement

তিনি বলেন, বগুড়ার বাসিন্দা রেজা ঢাকার মিরপুর, বগুড়ার নন্দীগ্রাম ও নওগাঁর বিভিন্ন মাদরাসায় পড়াশোনা করেন। ২০১৩ সালে পূর্বপরিচিত ডা. নজরুলের মাধ্যমে জঙ্গিবাদে উদ্বুদ্ধ হয় এবং ধীরে ধীরে সে জেএমবির প্রতি ঝুঁকে পড়ে। পরবর্তী সময়ে জেএমবির সারোয়ার জাহান গ্রুপের জন্য নতুন করে অর্থ ও সদস্য সংগ্রহ করার কাজ হাতে নেয় রেজা।

২০১৫ সালের মাঝামাঝিতে তামিম চৌধুরী ও সারোয়ার জাহানের গোপন বৈঠকে উভয়ের মধ্যে সমোঝতা স্বাক্ষর হয়। এ বৈঠকে রেজা জেএমবির সুরা সদস্য হিসেবে নিয়োজিত হন। উত্তরাঞ্চলের বেশ কয়েকটি জঙ্গি হামলার প্রত্যক্ষ তত্ত্বাবধানে ছিলেন রেজা এবং সেসব ঘটনা রাজীব গান্ধীর নেতৃত্বে সংগঠিত হয়েছিল।

মুফতি মাহমুদ বলেন, হলি আর্টিসান পরবর্তী আইনশৃঙ্খলা বাহিনীর সাঁড়াশি অভিযানে জঙ্গিরা নেতৃত্বহীন হয়ে পড়ে। তখন আত্মগোপনে থেকে রেজা পুনরায় জঙ্গিদের সংগঠিত করার চেষ্টা চালিয়ে যেতে থাকে। এ উদ্দেশ্যে সে ২০১৮ সালের শুরুর দিকে পুনরায় বাংলাদেশে প্রবেশ করে জঙ্গিদের সংগঠিত করতে থাকে।

নির্বাচনের আগে দেশের বিভিন্ন অঞ্চলে বিভিন্ন স্পর্শকাতর স্থানে জঙ্গি হামলার পরিকল্পনা ছিল। তবে আইনশৃঙ্খলা বাহিনীর তৎপরতায় তা সম্ভব হয়নি। ২০১৪ সালে ত্রিশালে জঙ্গি ছিনতাইয়ের ঘটনা সংগঠনের সদস্যদের উজ্জীবিত করতে সহায়তা করেছিল।

Advertisement

তিনি বলেন, ২০১৮ সালের শুরুর দিকে পুনরায় বাংলাদেশে প্রবেশ করে জঙ্গিদের সংগঠিত করতে থাকে। সম্প্রতি তারা ঢাকা, চট্টগ্রামসহ দেশের বিভিন্ন অঞ্চলে বিভিন্ন স্পর্শকাতর স্থানসহ আদালত প্রাঙ্গণে জঙ্গি হামলার পরিকল্পনা করে। যেহেতু এখন হলি আর্টিসান মামলা চলমান রয়েছে সে জন্য আবারও একটি ঘটনা ঘটিয়ে জঙ্গি ছিনতাইয়ের পরিকল্পনা ছিল রিপনের। বিচার বিভাগের সঙ্গে জড়িতদের মধ্যে ভীতির সঞ্চার করা যায় এবং সাধারণ মানুষকে আতঙ্কিত করে বিদেশে দেশের ভাবমূর্তি ক্ষুণ্ন হয়।

জেইউ/বিএ/জেআইএম/এসজি