চলতি রবি মৌসুমে জামালপুর জেলায় ব্যাপক পরিমাণ সরিষার আবাদ হয়েছে। সরিষা চাষ প্রচুর লাভজনক হওয়ায় এবার অনেক কৃষক যোগ দিয়েছেন। এখন আবহাওয়া অনুকূলে থাকলে ভালো ফলন পাওয়ার আশা করছেন তারা।
Advertisement
জানা যায়, এবার ২১ হাজার ৩৫৮ হেক্টর জমিতে সরিষা চাষের লক্ষ্যমাত্রা নির্ধারণ করা হয়েছিল। সেখানে আবাদ হয়েছে ১৭ হাজার ২শ ৯০ হেক্টর জমিতে।
সদর উপজেলার পলাশতলা গ্রামের সুলতান মিয়া, আব্দুল বারেক, জামাল মিয়া, গিয়াস উদ্দিন ও মিজানুর রহমান জানান, তারা জমিতে আগাম জাতের সরিষার আবাদ করেছেন। ধানের দাম না থাকায় ধান আবাদে প্রতি বছরই ধান চাষে লোকসান হচ্ছে। তাই বিকল্প ফসল হিসেবে এবার তারা সরিষা চাষে উৎসাহী হয়ে উঠেছেন।
> আরও পড়ুন- শীতে ধনেপাতা চাষ করুন টবে
Advertisement
শ্রীপুর গ্রামের চাষি আকছেদ আলী, জব্বার মিয়া ও কামাল উদ্দিন বলেন, ‘সরিষা চাষে সার এবং কীটনাশক লাগে সামান্য। পানি সেচ ও নিরানি লাগে না। একেবারে খরচ খুব কম এবং কম সময়ে ঘরে উঠানো যায়। বর্তমানে বাজারে সরিষার দামও বেশ ভালো।’
জেলা কৃষি সম্প্রসারণ অধিদফতরের উপ-পরিচালক কৃষিবিদ মো. আমিনুল ইসলাম বলেন, ‘চলতি মৌসুমে জেলায় ব্যাপক জমিতে সরিষার আবাদ হয়েছে। চলতি বছর হেক্টর প্রতি সরিষার উৎপাদন লক্ষ্যমাত্রা ধরা হয়েছে ১.২৯ মেট্রিক টন। বাড়তি আয় হিসেবে মৌমাছির বাক্স স্থাপনের মাধ্যমে মধু আহরণ করা হয়। এছাড়া মৌমাছির পরাগায়নের ফলে সরিষার উৎপাদন বেড়ে যায়।’
> আরও পড়ুন- যেভাবে চাষ করবেন ক্যাপসিকাম
তিনি বলেন, ‘সরিষার রোগ দমনে মাঠে উপ-সহকারী কৃষি কর্মকর্তারা চাষিদের বিভিন্ন পরামর্শ দিচ্ছেন। কৃষকরা সরিষার মাঠে ফসল পরিচর্যায় ব্যস্ত সময় পার করছেন। এ সময় পোকা-মাকড়সহ বিভিন্ন রোগের আক্রমণ বেশি হওয়ায় কাঙ্ক্ষিত ফসল ঘরে তুলতে বাড়তি পরিচর্যা করতে হচ্ছে।’
Advertisement
আসমাউল আসিফ/এসইউ/পিআর