বিনোদন

যেভাবে মিস্টার বিনের উত্থান

কমেডি দেখেন অথচ মি. বিনকে চেনেন না এমন লোক খুঁজে পাওয়া কঠিন। আজ থেকে প্রায় ২৫ বছর আগে ব্রিটেনে আইটিভিতে প্রথম প্রচার হয়েছিল জনপ্রিয় কমেডিয়ান মিস্টার বিনের প্রথম পর্ব। পরে এই মি. বিন পরিণত হয়েছিলো পৃথিবীর জনপ্রিয় কমেডি অনুষ্ঠানের একটি হিসেবে। পৃথিবীব্যাপি কোটি কোটি লোককে হাসানো এই জনপ্রিয় চরিত্রের উত্থান কিভাবে হয়েছিলো সেটা নিয়ে নিশ্চয়ই সবার মনে কৌতুহল রয়েছে। আর সেই কৌতুহল কিছুটা দূর করেছেন বিবিসির প্রতিনিধি  লুসি বার্নস। মি. বিনের চরিত্রে অভিনয় করেন ইংরেজ কৌতুকাভিনেতা রোয়ান অ্যাটকিনসন। আর এর নির্বাহী প্রযোজক ছিলেন তারই বন্ধু পিটার বেনেট-জোনস। অক্সফোর্ড বিশ্ববিদ্যালয়ে কমেডি গ্রুপের সাথে অনুষ্ঠান করতেন রোয়ান। তার নাম ছিল ‘দি অক্সফোর্ড রিভিউ’। আর পিটার বেনেট-জোনস ছিলেন কেমব্রিজ বিশ্ববিদ্যালয়ে তাদের প্রতিপক্ষ কমেডি গ্রুপের সদস্য। এর নাম ছিল ‘দি ফুটলাইটস’। তাদের প্রথম পরিচয় হয় ১৯৭৬ সালে, এডিনবরা ফেস্টিভ্যালে।মি. বিনের যাত্রা শুরু হয়েছিল একটা মঞ্চের অনুষ্ঠান হিসেবে। আইডিয়াগুলো যখন দানা বেঁধেছিল মনে তখন তারা খুব হাসতেন। প্রথমে মি. বিনের নাম ঠিক করা হয় মি হোয়াইট। পরে বর্ণবাদের কথা মাথায় রেখে সে নাম বাদ দিয়ে মি. বিন রাখা হয়। আর এই কমেডি সিরিজটি নির্মাণের পেছনে সবচেয়ে বড় অনুপ্রেরণা হয়ে কাজ করেছেন ফরাসি কমেডিয়ান মি. উলোর চরিত্র। কিন্তু টিভিতে এমন একটা অনুষ্ঠান সত্যিই চলবে কি না এ নিয়ে অনেকেই সন্দেহে থাকলেও সেটি প্রথম বুঝতে পেরেছিলেন হাওয়ার্ড ডেভিস। যিনি তখন আইটিভিতে কাজ করেন এবং তিনি ছিলেন বিবিসি কমেডির সাবেক প্রধান। তিনি শুরুতেই আইটিভির সবচেয়ে দামি সময়টার আধঘন্টা মি. বিনের জন্য বরাদ্দ করে দিলেন। আর প্রথম প্রচারের দিন থেকেই মি বিন চরম জনপ্রিয়তা পেয়ে গেল। মি বিনের প্রথম পর্ব প্রচারিত হয় ১৯৯০ সালের পয়লা জানুয়ারি।চরিত্রটিতে বেঢপ জ্যাকেট, মোটা ভুরু, আর উস্কোখুস্কো চুলের জন্য বেশ আলোচনায় এলেন মিস্টার বিন। অল্প কয়েকদিনের মধ্যেই সবার পরিচিত হয়ে উঠলো চরিত্রটি। মি. বিনকে উপস্থিতই করা হয়েছে এমনভাবে যেন সে সামাজিক রীতিনীতির বাইরের একটা কিছু।মি. বিনকে নিয়ে বিবিসির একটা বহুল প্রচলিত উক্তি আছে তা হলো ‘মি. বিনের কাজ-কারবার সবাইকেই হাসাতে পারে। এর হাস্যরস বোঝার জন্য কোন শিক্ষার দরকার নেই, কোন ভাষারও দরকার নেই।’আরএএইচ/এলএ

Advertisement