আন্তর্জাতিক

বাড়ি বাড়ি পিৎজা বিতরণ করছেন বুশ!

একটি বাড়ির সামনে কয়েকজন ব্যক্তি দাঁড়িয়ে রয়েছেন। তাদের সামনে দণ্ডায়মান একজন বয়স্ক ব্যক্তি। হাতে তিনটি পিৎজার বক্স। সাদা টি-শার্ট পরিহিত ওই ব্যক্তিটি আর কেউ নন-সাবেক মার্কিন প্রেসিডেন্ট জর্জ ডব্লিউ বুশ। দেশটির সরকারি কর্মকর্তা-কর্মচারীদের বাড়ি বাড়ি গিয়ে পিৎজা বিতরণ করছেন তিনি।

Advertisement

সম্প্রতি যুক্তরাষ্ট্রে দীর্ঘমেয়াদি অচলাবস্থার কারণে সরকারি কর্মকর্তা-কর্মচারীরা বেতন পাচ্ছেন না। তাদের সহায়তায় প্রেসিডেন্ট বুশের এই উদ্যোগ। এ ব্যাপারে সাবেক মার্কিন প্রেসিডেন্ট জর্জ ডব্লিউ বুশ ফেসবুক ও ইন্সটাগ্রামে জানান, সিক্রেট সার্ভিস ও ফেডারেল সরকারের অধীনে কর্মরতদের প্রতি তিনি ও তার স্ত্রী লোরা কৃতজ্ঞ। কারণ বেতন ছাড়াই তারা প্রায় একমাস ধরে দেশের জন্য কাজ করছেন। তিনি আরও লিখেছেন, আমরা সেইসব জনগণকেও ধন্যবাদ জানাই যারা এসব সরকারি কর্মকর্তা-কর্মচারীদের পাশে দাঁড়িয়েছেন। আসলে চলমান এই অচলাবস্থা শেষ হওয়ার দরকার। উভয়পক্ষের নেতাদের উচিত রাজনীতিকে বাইরে রেখে একসঙ্গে কাজ করা।

মেক্সিকো সীমান্তে দেয়ালের বরাদ্দ পাওয়া নিয়ে ডোনাল্ড ট্রাম্পের একগুঁয়েমির জেরে যুক্তরাষ্ট্রের সরকার ব্যবস্থায় সৃষ্টি হওয়া অচলাবস্থা অতীতের সব রেকর্ড ছাপিয়ে গেছে। গত ২১ ডিসেম্বর মধ্যরাতের পর থেকেই শুরু হয় এই অচলাবস্থা। কেন্দ্রীয় সরকারের প্রায় আট লাখ কর্মচারী বেতন পাচ্ছেন না।

এর আগে ১৯৯৫-৯৬ সালে তৎকালীন প্রেসিডেন্ট বিল ক্লিনটনের আমলে সর্বোচ্চ ২১ দিন অচল ছিল যুক্তরাষ্ট্র সরকার।

Advertisement

মেক্সিকো সীমান্তে দেয়াল নির্মাণের জন্য দাবিকৃত ৫৭০ কোটি মার্কিন ডলার বরাদ্দ ছাড়া কোনো অর্থবাজেটে স্বাক্ষর করবেন না বলে স্পষ্ট জানিয়ে দিয়েছেন ট্রাম্প। অন্যদিকে বিরোধী ডেমোক্রেটিক নিয়ন্ত্রিত যুক্তরাষ্ট্রের কংগ্রেসের নিম্নকক্ষ হাউজ অব রিপ্রেজেনটেটিভের নেতারা ‘জনগণের করের টাকায়’ ট্রাম্পকে তার নির্বাচনী প্রতিশ্রুতি পূরণ করতে না দেয়ার ‘প্রতিজ্ঞা’ করেছেন। যদিও ডিসেম্বরের শেষ দিকে যখন এই অবচলাবস্থার শুরু হয় তখন প্রতিনিধি পরিষদ রিপাবলিকানদের নিয়ন্ত্রণে ছিল। তখন নিম্নকক্ষে ট্রাম্পের দাবি মেনে নিয়ে একটি অর্থবাজেট অনুমোদন পেয়েছিল, যা উচ্চকক্ষ সিনেটে গিয়ে আটকে যায়। এখন প্রতিনিধি পরিষদের নিয়ন্ত্রণ বিরোধীদের হাতে চলে যাওয়ায় আর বিপাকে পড়েছেন ট্রাম্প।

রাজনৈতিক উত্তাপের মধ্যে দাঁড়িয়ে প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্প বলছেন, শাট ডাউন চলবে। ২২ ডিসেম্বর থেকে শুরু হওয়া ‘শাট ডাউন’ কত দিন চলবে, কেউ বলতে পারছেন না। যেসব কারণে এ অচলাবস্থার নিরসন হতে পারে তার কোনোটাই হওয়ার সম্ভাবনা নেই বলে মনে করছেন মার্কিন রাজনৈতিক বিশ্লেষকেরা।

সূত্র: নিউজ ডটকম ডট স্কাই

এসআর/এমএস

Advertisement