টেস্টে হোয়াইটওয়াশের ধকল তখনও বোধহয় সওয়া হয়নি। এর ভেতরেই ওয়ানডেতে দক্ষিণ আফ্রিকার বিপক্ষে মাঠে নামে পাকিস্তান। আর সেখানেই নিজেদের জাত চেনালো তারা। দক্ষিণ আফ্রিকার ঘরের মাঠে তাদেরকে ৫ উইকেটে হারালো বর্তমান আইসিসি চ্যাম্পিয়ন্স ট্রফি জয়ী দলটি। অথচ এই দলের খেলা দেখে কে বলবে কয়েক সপ্তাহ আগেই লাল বলে ধবল ধোলাই হয়েছে তারা!
Advertisement
২৬৭ রানে লক্ষ্যে ব্যাট করতে নেমে দারুণ সূচনা করেন দুই পাকিস্তানি ওপেনার ফখর জামান ও ইমাম-উল-হক। দলীয় ৪৫ রানের মাথায় ওপেনিং জুটিতে চিড় ধরান অলিভিয়ের। ২৫ রান করা ফখরকে ফেরান টেস্ট সিরিজ জয়ের নায়ক এই পেসার।
এরপর বাবর আজমকে নিয়ে ইনিংস মেরামতের কাজ চালিয়ে যান ইমাম। হাফ সেঞ্চুরি থেকে মাত্র ১ রান দূরে থাকার সময় আউট হন বাবর। কিন্তু অন্য প্রান্তে অবিচল থেকে ঠিকই অর্ধশতক তুলে নেন ইমাম। কিন্তু সেঞ্চুরির আশায় থাকা ইমাম ৮৬ রানে ফিরে জেতেই কিছুটা ব্যাকফুটে চলে যায় পাকিস্তান। সেখান থেকে দলকে একাই টেনে তোলে ম্যাচ সেরা মোহাম্মদ হাফিজ।
৬৩ বলে তার অপরাজিত ৭১ রানের সুবাদে ৫ বল হাতে থাকতেই জয়ের বন্দরে পৌছে যায় পাকিস্তান। প্রোটিয়াদের হয়ে দুটি উইকেট নেন অলিভিয়ের।
Advertisement
এর আগে পোর্ট এলিজাবেথে সিরিজের প্রথম ওয়ানডেতে হাশিম আমলার হার না মানা সেঞ্চুরি আর অভিষিক্ত ফন ডার ডাসেনের ৯৩ রানের ইনিংসে ভর করে ২ উইকেটে ২৬৬ রান তুলেছে দক্ষিণ আফ্রিকা।
টসে জিতে প্রথমে ব্যাটিংয়ের সিদ্ধান্ত নেয় দক্ষিণ আফ্রিকা। দুই ওপেনার হাশিম আমলা আর রিজা হেনড্রিকস মিলে গড়েন ৮২ রানের জুটি। ৪৫ রান করে শাদাব খানের শিকার হন হেনড্রিকস।
এরপর দ্বিতীয় উইকেটে পাকিস্তানি বোলারদের রীতিমত হতাশায় ডুবিয়েছেন আমলা আর ফন ডার ডাসেন। এই উইকেটে তারা যোগ করেন ১৫৫ রান।
ক্যারিয়ারের প্রথম ওয়ানডেতেই সেঞ্চুরির খুব কাছে চলে গিয়েছিলেন ডার ডাসেন। কিন্তু তাকে ফিরতে হয় ৭ রানের আক্ষেপ নিয়ে। ১০১ বলে ৬ বাউন্ডারি আর ৩ ছক্কায় ৯৩ রানে থাকা এই ব্যাটসম্যানকে শোয়েব মালিকের ক্যাচ বানান হাসান আলি।
Advertisement
তবে আমলা ঠিকই সেঞ্চুরি তুলে একদম শেষ পর্যন্ত অপরাজিত ছিলেন। ১২০ বল মোকাবেলায় ৭ চার আর ১ ছক্কায় হার না মানা ১০৮ রান করেন তিনি। তার সঙ্গে শেষদিকে ১২ বলে ১৬ করেন ডেভিড মিলার।
আরআর/এমবিআর