নোয়াখালীর সুবর্ণচর উপজেলায় গণধর্ষণের ঘটনার রেশ কাটতে না কাটতেই এবার জেলার কবিরহাট উপজেলায় তিন সন্তানের জননীকে গণধর্ষণের অভিযোগ পাওয়া গেছে।
Advertisement
সিঁধ কেটে শুক্রবার রাতে গৃহবধূর ঘরে ঢুকে অস্ত্রের ভয় দেখিয়ে তিন সন্তানসহ তাকে জিম্মি করে ধর্ষণ করে তিন ব্যক্তি। এরপর পালিয়ে যায় তারা। কবিরহাট উপজেলার ধানসিঁড়ি ইউনিয়নের নবগ্রামে এ ঘটনা ঘটে।
এ বিষয়ে কবিরহাট থানা পুলিশের ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মির্জা মো. হাছান বলেন, ধর্ষণের কথা জানিয়ে দুপুরে এক গৃহবধূ থানায় এসে অভিযোগ করেছেন। শুক্রবার রাতে একই এলাকার জাকের হোসেনসহ তিন ব্যক্তি ওই গৃহবধূর ঘরে ঢুকে তাকে ধর্ষণ করে পালিয়ে যায়।
গৃহবধূর অভিযোগ পাওয়ার পরই অভিযান চালিয়ে জাকের হোসেনকে (২৮) আটক করেছে পুলিশ। এ ঘটনায় থানায় মামলার প্রক্রিয়া চলছে।
Advertisement
ওসি আরও বলেন, ভুক্তভোগী গৃহবধূর স্বামী একটি মামলায় গ্রেফতার হয়ে নোয়াখালী কারাগারে আছেন। বাড়িতে স্বামী না থাকার সুযোগে ওই ব্যক্তিরা ঘরে ঢুকে তাকে ধর্ষণ করে। এর মধ্যে জাকের হোসেনকে চিনতে পেরেছেন গৃহবধূ। ডাক্তারি পরীক্ষার জন্য গৃহবধূকে নোয়াখালী জেনারেল হাসপাতালে পাঠানো হবে।
গত ৩০ ডিসেম্বর একাদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচনের ভোট গ্রহণের রাতে স্বামী-সন্তানদের বেঁধে রেখে সুবর্ণচরের এক নারীকে ধর্ষণ করা হয়। পরদিন ৩১ ডিসেম্বর দুপুর সাড়ে ১২টার দিকে তাকে নোয়াখালী জেনারেল হাসপাতালে ভর্তি করা হয়। একই দিন তার স্বামী বাদী হয়ে নয়জনের নাম উল্লেখ করে চরজব্বার থানায় মামলা করেন।
এর মধ্যে এজাহারে নাম থাকা ছয়জন এবং বাকি পাঁচজনকে গ্রেফতার করেছে পুলিশ। এ ঘটনায় সারা দেশে ব্যাপক তোলপাড় সৃষ্টি হয়। গত বৃহস্পতিবার নোয়াখালী জেনারেল হাসপাতাল ছেড়ে যান ওই নারী।
ধর্ষণের শিকার সুবর্ণচরের ওই নারী অভিযোগ করেন, ধানের শীষে ভোট দেয়ার কারণে দেখে নেয়ার হুমকি দেয়া হয়। এরপর ওই দিনই রাতে তার স্বামী-সন্তানদের বেঁধে রেখে ওই নারীকে ধর্ষণ করা হয়।
Advertisement
মিজানুর রহমান/এএম/এমকেএইচ