৩৮ জন সাংবাদিক ও মানবাধিকার কর্মীকে গ্রেফতার করতে ওয়ারেন্ট জারি করেছে আফ্রিকার দেশ সুদান। ‘উত্তেজক’ এবং ‘মিথ্যা সংবাদ’ ছড়ানোর অভিযোগে তাদের বিরুদ্ধে এই পরোয়ানা জারি করেছে দেশটির রাষ্ট্রীয় নিরাপত্তা প্রসিকিউশন। স্থানীয় গণমাধ্যমের বরাত দিয়ে শনিবার কাতারভিত্তিক সংবাদমাধ্যম আলজাজিরা এক প্রতিবেদনে এ তথ্য জানিয়েছে।
Advertisement
দেশটির টেলিভিশন চ্যানেল সুদানিয়া২৪ বলছে, রাষ্ট্রীয় কৌশলীর কার্যালয় দেশটির ফৌজদারি অপরাধ আইনের ৬৬, ৬৯ এবং ৭৭ নাম্বার ধারা ও সাইবারক্রাইম আইনের ১৭ নাম্বার ধারায় ওই সাংবাদিকদের বিরুদ্ধে গ্রেফতারি পরোয়ানা জারি করেছে।
সুদানি এ টেলিভিশন চ্যানেল বলছে, দেশে উত্তেজনা তৈরি, জন অশান্তি, মিথ্যা সংবাদের প্রচার এবং জনগণের মাঝে অশান্তি তৈরির চেষ্টার বিরুদ্ধে শাস্তির বিধান রয়েছে আইনের এসব ধারায়। দেশের মানুষের প্রতিবাদ-বিক্ষোভের ছবি ও ভিডিও সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমে দেশ এবং বিদেশ থেকে ছড়ানোর অভিযোগ আনা হয়েছে ওই সাংবাদিকদের বিরুদ্ধে।
আরও পড়ুন : ৯৬ টাকায় হতে পারেন বাড়ির মালিক!
Advertisement
অভিযুক্তদের মধ্যে সাংবাদিক এবং অনলাইন অ্যাক্টিভিস্টরাও রয়েছেন; এদের মধ্যে অন্তত ২৮ জন সুদানের বাইরে বসবাস করেন।
সাংবাদিকদের বিরুদ্ধে গ্রেফতারি পরোয়ানার এই নির্দেশ দেশটিতে গত ১৯ ডিসেম্বর শুরু হওয়া বিক্ষোভ-সমাবেশের একমাসের মাথায় জারি করা হলো। জীবন-যাপনের মান ক্রমান্বয়ে খারাপ আকার ধারণ করছে অভিযোগ এনে দেশটির হাজার হাজার মানুষ বিক্ষোভ-প্রতিবাদ শুরু করেছেন ডিসেম্বরের শেষের দিকে।
এই বিক্ষোভ থেকে দেশটির প্রেসিডেন্ট ওমর আল-বশিরের নেতৃত্বাধীন সরকারকে ক্ষমতা থেকে বিদায়ের দাবিও উঠেছে। সুদানে গত ৩০ বছর ধরে ক্ষমতায় রয়েছেন প্রেসিডেন্ট বশির।
আরও পড়ুন : গরুর জন্য শ্মশান!
Advertisement
দেশটিতে অর্থনৈতিক সংকট এতটাই গুরুতর আকার ধারণ করেছে যে, মুদ্রাস্ফীতি ও বৈদেশিক মুদ্রার রিজার্ভে তীব্র ঘাটতি দেখা দিয়েছে। যার ফলে নিত্যপ্রয়োজনীয় খাদ্য-সামগ্রী ও ওষুধের দাম দ্বিগুণেরও বেশি হয়েছে।
সুদানি রাজনৈতিক বিশ্লেষক ওসমান মেরঘানি বলেন, ‘শাসন ব্যবস্থায় পরিবর্তন অানতে সফল হবে এই আন্দোলন। এটি হতে পারে নতুন কোনো রাজনৈতিক দলের ক্ষমতা গ্রহণ অথবা ক্ষমতাসীন দল থেকে বশিরকে সরিয়ে তার জায়গায় নতুন কাউকে স্থলাভিষিক্ত করার মাধ্যমে।
সূত্র : আলজাজিরা।
এসআইএস/এমকেএইচ