টুর্নামেন্ট শুরুর আগেই জানিয়েছিলেন জীবনের সেরা একটি সুযোগ এবারের বিপিএলের আসরটি। কেননা জাতীয় দলে ফিরতে হলে যে নিজেকে প্রমাণ করতে হবে মাঠের পারফরম্যান্সেই। কিন্তু টুর্নামেন্টের প্রথম ছয় ম্যাচে সে কাজটি করতে পারেননি বাংলাদেশ ক্রিকেট দলের ডানহাতি ব্যাটসম্যান সাব্বির রহমান।
Advertisement
সিলেট সিক্সার্সের হয়ে খেলতে নেমে প্রথম ছয় ম্যাচে তার ইনিংসগুলো ছিলো ৭, ০, ১২, ৬, ২০ ও ১১- সাকুল্যে ৫৬ রান। তবু তাকে টানা খেলিয়েছে সিলেট ফ্র্যাঞ্চাইজি। অবশেষে সিলেট পর্বে নিজ দলের শেষ ম্যাচে জ্বলে উঠেছে সাব্বিরের ব্যাট।
বর্তমান চ্যাম্পিয়ন রংপুর রাইডার্সের বিপক্ষে করেছেন ফিফটি, খেলছেন দুর্দান্ত দাপটের সঙ্গে। ইনিংসের দ্বিতীয় ওভারেই ওপেনার লিটন দাসের বিদায়ে দলের পুরো দায়িত্ব চলে আসে মিডল অর্ডার ব্যাটসম্যান থেকে ওপেনার বনে যাওয়া সাব্বিরের কাঁধে। দায়িত্ব নিয়ে শুরু থেকেই খেলতে থাকেন উইকেটের চারপাশে ব্যাট ঘুরিয়ে।
মুখোমুখি পঞ্চম বলে মাশরাফি বিন মর্তুজাকে দারুণ এক পুল শটে ইনিংসের প্রথম বাউন্ডারি মারেন সাব্বির। পরের ওভারে স্কুপ শটে বাউন্ডারিতে পাঠান শফিউল ইসলামকে। নিজের ফিফটি পেরুনোর আগে সাব্বিরের ব্যাটে চারের মার এ দুটিই।
Advertisement
এরপর শুধু হাঁকিয়েছেন ছক্কা। ইনিংসের ১২তম ওভারে নিজের টি-টোয়েন্টি ক্যারিয়ারের ১৩তম পঞ্চাশ ছোঁয়ার আগে ফরহাদ রেজার ডেলিভারিকে ২ বার, নাহিদুল ইসলাম ও সোহাগ গাজীর ডেলিভারিকে একবার করে হাওয়ায় ভাসিয়ে সীমানা ছাড়া করেন তিনি।
সব মিলিয়ে ২ চার ও ৪ ছক্কার মারে মাত্র ৩৪ বলে নিজের পঞ্চাশ পূরন করেন তিনি। ফিফটি পেরিয়েই থেমে যাননি সাব্বির। টি-টোয়েন্টি ক্যারিয়ারে নিজের দ্বিতীয় এবং বিপিএলের প্রথম বাংলাদেশি হিসেবে দুইটি সেঞ্চুরি হাঁকানোর আশা বাঁচিয়ে রেখে খেলতে থাকেন এ হার্ডহিটার ব্যাটসম্যান।
মাত্র ১৫ ওভারেই সাব্বিরের ব্যক্তিগত সংগ্রহ গিয়ে পৌঁছায় ৭৪ রানে। শেষের ৩০ বল থেকে সাব্বির ২৬ রান করতে পারলেই হয়ে যেত এবারের আসরের প্রথম ব্যক্তিগত সেঞ্চুরি। কিন্তু ক্যারিবিয়ান নিকলাস পুরান পরের ওভারগুলোয় তাণ্ডবলীলা চালালে তেমন ব্যাটিংয়ের সুযোগই পাননি সাব্বির।
যে কারণে ১৯ ওভার শেষে ৫০ বলে ৫ চার ও ৬ ছক্কায় সাব্বির অপরাজিত থাকেন ৮৫ রানে, যা এবারের আসরের সর্বোচ্চ ব্যক্তিগত সংগ্রহ। শফিউল ইসলামের করা শেষ ওভার থেকে ১৫ রান নিতে পারলে হয়ে যাবে সেঞ্চুরি, এ ভাবনা থেকেই প্রথম বলে ছক্কা হাঁকানোর চেষ্টা করেন তিনি।
Advertisement
কিন্তু ঠিকঠাক ব্যাটে-বলে না হওয়ায় ক্যাচ উঠে যায় লংঅফে। পরম নির্ভরতায় সে বলটি তালুবন্দী করে সাব্বিরকে সাজঘরের পথ দেখিয়ে দেন রিলে রুশো। সেঞ্চুরি করতে না পারলেও এতোদিন ধরে চলা অফফর্ম দূর করে নিজের সেরা সময়ের আভাস ঠিকই দিয়েছেন সাব্বির রহমান রুম্মন।
এসএএস/এমএস