রফিকুল ইসলাম। জামেয়া কাসিমিয়া নরসিংদীর অষ্টম শ্রেণীতে প্রথম স্থান অর্জন করেছে। পঞ্চম শ্রেণীতে গোল্ডেন এ প্লাস বৃত্তি পেয়ে ৬ষ্ঠ, সপ্তম ও অষ্টম শ্রেণীতে প্রথম হয়ে কৃতিত্বের স্বাক্ষর রেখেছে সে।
Advertisement
জামেয়া কাসিমিয়া নরসিংদী ইয়াতিমখানার ছাত্র ছোট্ট রফিক ওস্তাদদের দিক-নির্দেশনায় পবিত্র হাদিস মুখস্তের কাজে নিজেকে নিয়োজিত করেন।
প্রথমে ছোট্ট রফিককে ২০টি হাদিস মুখস্তের কথা বলা হলে সে তা মুখস্ত করে। তারপর তাকে ১০০টি হাদিস মুখস্ত করার কথা বলা হয়, সে তাও মুখস্ত করে ফেলে অবশেষে ৫০০ ও ১০০০টি হাদিস মুখস্ত করার কথা বলা হয়। ওস্তাদদের দিক-নির্দেশনায় সে ১০০০ হাজার হাদিস মুখস্ত করে।
ইয়াতিম শিশু রফিকুল ইসলাম শুধু ১ হাজার হাদিস মুখস্ত করেই থেমে যায়নি। সে ১৮০০ হাদিসের বিখ্যাত সংকলন রিয়াদুস সালেহীনও মুখস্ত করেছে।
Advertisement
জামেয়া কাসিমিয়া নরসিংদীর ৪৩তম বার্ষিক মাহফিলে ছোট্ট রফিককে তার কৃতিত্বের জন্য ১০ হাজার টাকা পুরস্কার দেয়া হয়।
ছোট্ট রফিকুলের ওস্তাদদের আকাঙ্খা যে, সে আগামী ৩/৪ বছরের মধ্যে হাদিসের শ্রেষ্ঠ গ্রন্থ বুখারি ও মুসলিমের সব হাদিস মুখস্ত করে হাফেজে হাদিসের মর্যাদা অর্জন করবে।
ইয়াতিম শিশু রফিকুল ইসলাম ছাড়াও ফাজিল শ্রেণীর ছাত্র এহতেশামুল হক রাহিন এবং আলিম প্রথম বর্ষের ছাত্র সিফাত হোসাইন ১০০০ হাদিস মুখস্ত করায় ১০ হাজার টাকা পুরস্কার পান।
আরও পড়ুন > বুখারি শরিফ ৪২ দিনে মুখস্থ করলেন হাবিবুল্লাহ
Advertisement
গত বছর জামেয়া কাসিমিয়ার আরেক ছাত্র হাফেজ হাবিবুল্লাহ মাত্র ৪২ দিনে হাদিসের সর্বোচ্চ গ্রন্থ বুখারি মুখস্ত করেছিলেন।
ছোট্ট রফিকুল ইসলামসহ রাহিন ও সিফাত হোসাইনের জন্য শুভ কামনা। আল্লাহ তাআলা তাদের সকলকে ইলমে হাদিসের খাদেম হিসেবে কবুল করুন। আমিন।
এমএমএস/এমএস