জাতীয় ঐক্যফ্রন্টের আহ্বায়ক ও গণফোরাম সভাপতি ড. কামাল হোসেন একবারও জাতির জনক বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান হত্যার বিচার চাননি বলে মন্তব্য করেছেন আইনমন্ত্রী আনিসুল হক।
Advertisement
শুক্রবার সন্ধ্যায় ব্রাহ্মণবাড়িয়ার আখাউড়া উপজেলা পরিষদ মাঠে আয়োজিত গণসংবর্ধনা অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথির বক্তব্যে তিনি এ মন্তব্য করেন।
আইনমন্ত্রী আনিসুল হক ব্রাহ্মণবাড়িয়া-৪ আসনের সংসদ সদস্য। টানা দ্বিতীয়বারের মতো আইন, বিচার ও সংসদ বিষয়ক মন্ত্রণালয়ের দায়িত্ব পাওয়ায় আখাউড়া উপজেলা আওয়ামী লীগ এ গণসংবর্ধনার আয়োজন করে।
ড. কামাল হোসেনকে উদ্দেশ্য করে আইনমন্ত্রী বলেন, একবারের জন্যও কামাল হোসেন বলেননি বঙ্গবন্ধু হত্যাকাণ্ডের বিচার হওয়া উচিত। তিনি নিজেকে সংবিধান প্রণেতা ও বিরাট আইনজীবী পরিচয় দেন। কিন্তু যার বদৌলতে তিনি এত পরিচিত হয়েছেন তার হত্যার বিচারের কথা একবারও বললেন না তিনি।
Advertisement
আনিসুল হক বলেন, ১৯৭১ সালে বঙ্গবন্ধুকে পাক হানাদার বাহিনীরা গ্রেফতার করলো। আর কামাল হোসেনকে নিয়ে গেল তারা। উনি ওইখানে ৯ মাস ভালো কাজ করে থেকে গেলো। তারপর বঙ্গবন্ধু ওনাকে নিয়ে আসলো। কারণ বঙ্গবন্ধু ওনাকে স্নেহ করতেন।
তিনি বলেন, ১৫ আগস্ট যখন খুনি মোস্তাক বঙ্গবন্ধুকে আক্রমণ করল এবং হত্যা করল কামাল হোসেন তখন লন্ডন শহরে। ওনি আর ফিরে না। ওনাকে মোস্তাক মন্ত্রী বানিয়েছিল। আবার ১৯৮১ সালে উনি আওয়ামী লীগের ঘাড়ে ওঠে নির্বাচন করলেন।
বিএনপির সমালোচনা করে আইনমন্ত্রী বলেন, এতিমের টাকা চুরির জন্য খালেদাকে ৫ বছরের সাজা দিয়েছেন আদালত। তিনি আপিলে গিয়ে বাঙালিকে হাইকোর্ট দেখালেন। হাইকোর্ট তাকে ১০ বছরের সাজা দিয়েছেন। তার ছেলে তারেক রহমান ২২ জনকে হত্যার কারণে ১২ বছরের সাজাপ্রাপ্ত। তারেক রহমানকে বিদেশ থেকে ফিরিয়ে এনে তার রায় কার্যকর করা হবে।
তিনি বলেন, শেখ হাসিনার নেতৃত্বে বাংলাদেশের উন্নয়নে আমরা সফল হয়েছি। যে বাংলাদেশকে তলাবিহীন ঝুড়ি-মিসকিনের দেশ বলা হতো সেই দেশকে শেখ হাসিনা সারাবিশ্বে উন্নয়নের রোল মডেল হিসেবে পরিচিত করেছেন।
Advertisement
আখাউড়া উপজেলা আওয়ামী লীগের আহ্বায়ক জয়নাল আবেদীনের সভাপতিত্বে অনুষ্ঠানে আরও বক্তব্য রাখেন- আখাউড়া পৌরসভার মেয়র তাকজিল খলিফা ও উপজেলা পরিষদের মহিলা ভাইস চেয়ারম্যান পিয়ারা আক্তার প্রমুখ।
আজিজুল সঞ্চয়/এএম/পিআর