তিনি চলে যাবেন। কনুইয়ের চোটের চিকিৎসার জন্য অস্ট্রেলিয়ায় ফেরার কথা রয়েছে ডেভিড ওয়ার্নারের। তবে পেশাদারিত্বের জায়গায় এতটুকু ছাড় দিতে রাজি নয় অস্ট্রেলিয়ানরা।
Advertisement
যাওয়ার আগে হয়তো দুটি ম্যাচ খেলার সুযোগ পাবেন। সেই দুই ম্যাচের প্রথমটিতে আরও একবার নিজের ব্যাটিং ঝলক দেখালেন ওয়ার্নার। বোঝাই গেল না, চোট নিয়ে খেলছেন।
সিলেটে ঢাকা ডায়মাইটসের বিপক্ষে বলতে গেলে দলকে একাই টেনে নিয়েছেন ওয়ার্নার। অস্ট্রেলিয়ান ওপেনারের ৪৩ বলে ৬৩ রানের ঝড়ো ইনিংসে ভর করেই ৮ উইকেটে ১৫৮ রানের চ্যালেঞ্জিং পুঁজি পেয়েছে সিলেট সিক্সার্স। ফলে জিততে হলে ১৫৯ রান করতে হবে সাকিব আল হাসানের ঢাকাকে।
টস জিতে প্রথমে ব্যাটিং করার সিদ্ধান্ত নেয় সিলেট। দুই ওপেনার লিটন দাস আর সাব্বির রহমানের শুরুটা খারাপ ছিল না। ২৯ বলের জুটিতে তারা তুলেন ৩৮ রান। ১৪ বলে ৪ বাউন্ডারি আর ১ ছক্কায় ২৭ রানে থাকা ভয়ংকর লিটনকে এলবিডব্লিউয়ের ফাঁদে ফেলেন সাকিব।
Advertisement
পরের ওভারের প্রথম বলে আন্দ্রে রাসেলের শিকার হয়ে ফেরেন সাব্বিরও (১৬ বলে ১১)। তৃতীয় উইকেটে আফিফ হোসেন ধ্রুব আর ওয়ার্নার মিলে গড়েছিলেন ৩০ রানের জুটি। ১৭ বলে ২ চার আর ১ ছক্কায় ১৯ রান করা আফিফকে ফিরিয়ে এই জুটিটি ভাঙেন প্রোটিয়া পেসার অ্যান্ড্রু বার্চ।
এরপর অল্প সময়ের মধ্যে অলক কাপালি (০) আর নিকোলাস পুরানকে (৬) হারিয়ে বড় বিপদে পড়ে সিলেট সিক্সার্স। ৮৬ রানের মধ্যে তারা হারিয়ে বসে ৫ উইকেট। সেখান থেকে দলকে টেনে নিয়েছেন ওয়ার্নার।
ষষ্ঠ উইকেটে জাকের আলির সঙ্গে ৬৩ রানের বড় জুটি গড়েন অস্ট্রেলিয়ান ওপেনার। ৪৩ বলে ৮ বাউন্ডারি আর ১ ছক্কায় ৬৩ রানে থাকার সময় সাকিবকে তুলে মারতে গিয়ে মোহাম্মদ নাঈমের ক্যাচ হন তিনি।
এ নিয়ে চলতি বিপিএলে ৬ ম্যাচ খেলে তিনটি ফিফটি করলেন ওয়ার্নার। রংপুর রাইডার্সের বিপক্ষে সর্বশেষ ম্যাচেও ৩৬ বলে হার না মানা ৬১ রানের বিধ্বংসী এক ইনিংস এসেছিল অস্ট্রেলিয়ান এই তারকার উইলো থেকে।
Advertisement
ওয়ার্নার ফিরলেও শেষের দিকে জাকের আলির ১৮ বলে ১টি করে চার ছক্কায় গড়া ২৫ রানের ছোট ঝড়ে লড়াকু পুঁজি পর্যন্ত যেতে পেরেছে সিলেট।
৪ ওভার হাত ঘুরিয়ে ৪২ রান খরচ করলেও ৩টি উইকেট নিয়ে ঢাকা ডায়নামাইটসের সবচেয়ে সফল বোলার অ্যান্ড্রু বার্চই। সাকিব নিয়েছেন ২টি। একটি করে উইকেট আন্দ্রে রাসেল, রুবেল হোসেন আর সুনিল নারিনের।
এমএমআর/এমকেএইচ